রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের ভূমিকায় সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার থেকে প্রত্যাগত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কমিটির সভাপতি।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভারতের দ্বীমুখী ভূমিকায় সংসদীয় কমিটির সভাপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পাশাপাশি তাদের ভূমিকা দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া ভাসানচরে ‘চর’ শব্দের কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় বৈঠকে।

কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, “রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অনেক আলোচনা হলেও সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ইতিবাচক কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বরং মাল্টিলেটারাল সাপোর্ট দিন দিন কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন এবং মিয়ানমারকে মিসাইল সরবরাহ করে প্রকারান্তরে মিয়ানমারকে সমর্থন দিচ্ছে।  ভারতের এই দ্বিমুখী ভূমিকা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি অন্তরায়- যা খুবই দুঃখজনক।”

ওই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,“রোহিঙ্গা সমস্যাটি সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার এবং এটি সমাধানের দায়িত্ব তাঁদের। কিন্তু এটা সমাধানের ক্ষেত্রে তাঁদের আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বর্তমানে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) একটি মামলা চলমান আছে, যা পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক অর্থের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কাছে আর্থিক সহায়তা চাওয়া হলেও তেমন কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তবে আইসিজে এর অন্তবর্তীকালীন রায় বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। বিভিন্ন মিটিংয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও বাস্তবে তারা কোনো কথাই রক্ষা করছে না। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর যথাযথ ভূমিকা পালন করলে সমস্যাটি সমাধানের পথ উন্মুক্ত হতো।”

ভাসনচর নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় ২০১৮ সালে একটি প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠান ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আবাসন তথা বিল্ডিং নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাকরে যার ভিত্তিতে সেখানে ১৭ ফুট উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আবাসিক ভবন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাসপাতাল সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গা আগ্রহ প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় সেখানে গিয়েছে। এখানে কোন রোহিঙ্গাকে জোর করে নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, স্থানটির নাম ‘ভাসানচর’ হওয়ায় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এটিকে ‘চর’ হিসেবেই প্রচার করে এবং চরগুলো সাধারণত জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে যায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি একটি দ্বীপ এবং জোয়ারের সময় এটি ডুবে যায় না। এই ভুল ধারণা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সেখানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে আপত্তি জানিয়ে আসছে। তাই ভাসানচরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ইউএন প্রটেকশন কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

বৈঠকে ভারত থেকে যথাসময়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অভিবাদন জানানো হয়। সেইসাথে পরবর্তীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাকসিন আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভারত থেকে ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়াটি চলমান রাখতে যথাযথ তদারকি করার সুপারিশ করা হয়।     

বৈঠকে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), কাজী নাবিল আহমেদ, মো. হাবিবে মিল্লাত এবং মো. আব্দুল মজিদ খান অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইথিওপিয়ায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;