মুক্তা হত্যা: মূল পরিকল্পনাকারী ও তার ছেলেকে গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

পাবনা: পাবনার সাঁথিয়ায় কলেজছাত্রী মুক্তি খাতুনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ডা. জাহেদ আলী (৫৫) ও তার ছেলে জীবনকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডা. জাহেদ মুক্তি হত্যা মামলার ২ নাম্বার আসামি এবং মূল পরিকল্পনাকারী।

নিহত মুক্তি উপজেলার নাগডেমড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের মেয়ে এবং পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্রী।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও সালাম গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ১৯ আগস্ট রোববার দুপুরে সালামের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেলের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনার সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ পরিবারের অন্যান্য পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে যান।

পরে হামলাকারীরা পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের মেয়ে মুক্তি খাতুনকে (২২) ঘর থেকে টেনে উঠানে নিয়ে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই হামলায় তার চাচাতো বোন আফরোজা খাতুন (৩০) এগিয়ে গেলে তারা তাকেও পিটিয়ে আহত করে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ মুক্তি খাতুনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মোজ্জাম্মেল হক বাদী হয়ে ঘটনার রাতেই ৩২ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা করেন (নং ১৭)। ওই সময়ে অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

   

ব্রীজের নিচে পড়েছিল লাগেজ, খুলেই মিললো মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় ব্রীজের নিচে একটি ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি পুলিশ)। তবে এখন পর্যন্ত ওই মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

রোববার (২ জুন) সকালে ১১টার দিকে সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সুতিয়া নদীর ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ব্রিজের নিচে একটি কালো রঙের ট্রলি ব্যাগ থেকেত মাথা, দুই পা, বিছিন্ন অবস্থায় আলাদা আলাদা পলিথিনে মোড়ানো যুবকের অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি ফারুক হোসেন আরও বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

;

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্র, স্যালাইনসহ হাসপাতালে সার্বিক প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হলে এ বিষয়ে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (২ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেনেভা ও লন্ডন ট্যুর নিয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্র, স্যালাইনসহ হাসপাতালে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হলে এ বিষয়ে আরও উদ্যোগ নেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা উচিত। শিগগিরই এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, যে প্রকল্প জনগণের উপকারে আসবে না, আগামী বাজেটে সেই প্রকল্প না রাখার পদক্ষেপ নেয়া হবে।

;

গাইবান্ধায় পাপিয়া হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় পাপিয়া হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার

গাইবান্ধায় পাপিয়া হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে পাপিয়া হত্যা মামলার এক নম্বর আসামিসহ তিন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা।

রোববার (২ মে) সকাল পৌনে দশটার দিকে র‍্যাবের স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ আল বশির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে শনিবার দিনগত ভোর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার চর কাশিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাপিয়া হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি রাব্বি মিয়া (২৬), চার নম্বর আসামি পাপুল মিয়া (৩০) ও ৮ নম্বর নারী আসামি ইসমত আরা বেগম (২৬)। তাদের মধ্যে রাব্বি ও পাপুল উপজেলার বিরামের ভিটা এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে। এছাড়া আসামি পাপুল ও ইসমত আরা বেগম স্বামী-স্ত্রী।

মামলার এজাহার ও র‍্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে নিহত পাপিয়া ও তার আপন চাচা দুলা মিয়ার সাথে বিরোধ চলছিল। গত ১৮ মে সকালে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ রোপন করতে যান দুলা মিয়াসহ তার লোকজন। এ সময় পাপিয়া গাছ রোপনে বাঁধা দিলে প্রথমে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে চাচা দুলা মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভাতিজি পাপিয়ার গলায় প্রচন্ডভাবে আঘাত করে ৷ এতে পাপিয়ার শ্বাসনালি কেটে গিয়ে প্রচন্ড রক্তাপাত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা গুরতর আহত পাপিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পরদিন ১৯ মে নিহত পাপিয়ার ভাই আরিফুজ্জামান (৪৫) বাদি হয়ে মৃত শায়েখ আলীর ছেলে চাচা চাঁন মিয়া (৬০) ও দুলা মিয়া (৬২), চাঁন মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (২৬) ও পাপুল মিয়া (৩০), রাব্বি মিয়ার স্ত্রী পারভিন আক্তার (২৩), দুলা মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৪৮), পাপুল মিয়ারর স্ত্রী ইসমোতারা বেগম (২৬) এবং মৃত নয়া মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৪০) সহ আরও ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পলাশবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতার হওয়া আসামিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। পরে ছায়া তদন্তে র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ও র‍্যাব-১১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল শনিবার ভোর রাতে নারায়ণগঞ্জের চর কাশিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিনই অপর এক অভিযুক্ত নারী পারভিন আক্তারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ।

;

নোয়াখালীতে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
নোয়াখালীতে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

নোয়াখালীতে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১।

শনিবার (১ জুন) রাতে উপজেলার মিরওয়ারিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আবুল কাশেম বাবুল (২৭) উপজেলার আমানউল্যাপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের আরিফুর রহমানের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, আসামি বাবুল একজন অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত সে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা এলাকায় অস্ত্র এবং মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ২০১৯ সালের ৩০ মে তাকে আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ ১টি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ২টি কার্তুজ ও ৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বেগমগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র ও একটি মাদক মামলা রুজু হয়।

ওই অস্ত্র মামলায় আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি বাবুলকে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে সে গ্রফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;