‘রিয়েল হিরো’ ইউএস বাংলার পাইলট জাকারিয়া



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ইউএস বাংলার পাইলট জাকারিয়া

ইউএস বাংলার পাইলট জাকারিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

দেড় শতাধিক যাত্রীসহ কক্সবাজারের আকাশে পৌঁছে গেছে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ। জানালা দিয়ে নিচে বিস্তৃত নীল সাগর হাতছানি দিয়ে ডাকছে যাত্রীদের। ফ্লাইটটির অবতরণ মুর্হূত তখন, কিন্তু নামলো  না।  যান্ত্রিক ত্রুটি আঁচ করতে পেরে নিরাপদে অবতরণের সুযোগ খুঁজছিলেন পাইলট  জাকারিয়া সবুজ। কিন্তু কক্সবাজারের এয়ারপোর্টে জরুরি অবতরণের প্রয়োজনীয় সুবিধা না থাকায় পাইলট প্লেন ঘুরিয়ে নেন পাইলট। এরপর রওনা হোন চট্টগাম বিমানবন্দরে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় অনটাইমে প্লেনটি শাহজালাল এয়ারপোর্ট থেকে কক্সাবাজরে উদ্দেশ্যে উড়াল দেয়। কক্সবাজারের আকাশে পৌঁছে যান্ত্রিক ত্রুটির সংকেত পায়। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত অবস্থা জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে জরুরি অবতরণের অনুমতি চান পাইলট। তড়িৎ গতিতে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে। রানওয়ের দিকে মুখ করে সাজানো হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও জরুরি অ্যাম্বুলেন্স।

কিছুক্ষণ পর রানওয়ে দিকে ফ্লাইটটি নিয়ে আসেন ক্যাপ্টেন জাকারিয়া। তার সামনে আর কোনো বিকল্প তখন নেই। পেছনের চাকা নামিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত এয়ারপোর্টের রানওয়ে স্পর্শ করলো ইউএস বাংলার বোয়িং বিএস ১৪১।

আতংকগ্রস্থ যাত্রীর চোখে মুখে তখন আশার আলো। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে নামার অপেক্ষা। তখনও গতি ঝাড়িয়ে প্লেন ছুটে চলছে সামনের দিকে। নোজ গিয়ার না খোলা অবস্থায় কোন ধরণের ধাক্কা বা  আঁকা বাঁকা পথে না গিয়ে প্লেন রানওয়ে ধরে সোজাসোজি চলতে থাকলো।

এ দৃশ্য এয়ারপোর্টের আশেপাশে থাকা বহুলোক তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করছিলেন। স্বাভাবিক ল্যান্ডিংয়ের মতই উড়োজাহাজটি রানওয়ে স্পর্শ করে সামনের দিকে যাচ্ছে। তখন প্লেনের সামনে চাকা বা নোজ গিয়ার নামছে না। এ অবস্থায়ও প্লেন সোজাসোজি চলছে লাইনচুতি ঘটছে না। গতি নিয়ন্ত্রণের পর সামনের  অংশ  রানওয়ের গায়ে হালকা স্পর্শ খায়।

তখন পেছন থেকে ছুটে আসছে একের পর এক ফায়ার সার্ভিসে জরুরি গাড়ি। প্লেন সামলে নেন পাইলট জাকারিয়া। তারপর যাত্রীরা একে একে নিরাপদে জরুরি নির্গমন দরজা দিয়ে নামতে থাকেন।

যান্ত্রিক ত্রুটির পরও প্লেনের এমন সফল ও নিরাপাদ ল্যান্ডিংয়ের পর প্রশংসা ভাসছেন পাইলট জাকারিয়া এবং ফাস্ট অফিসার রউফ।

তাদেরকে হিরো আখ্যা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট ভেসে উঠছে। হাসিমুখে তাদের ছবিও দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বহু পাইলট ক্রু এ ফ্লাইট সংশ্লিষ্টরা তাদের যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাপ্টেন জাকারিয়ার ছবি দিয়ে তার সাহসিকতা ও চমৎকার ল্যান্ডিংয়ের ভুয়সী প্রশংসা করছেন।

পাইলট জাকারিয়া তার প্রতিক্রিয়া বলেন ‘আমার প্রধান দায়িত্ব ছিল, যাত্রীদের কীভাবে সুস্থ ও নিরাপদে নিচে নামানো যায়। সেটাই করেছি। মাথায় যদি অন্য কিছু আনি তাহলে এদিকে মনোযোগ দিতে পারতাম না।’

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-পিআর) কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে ১১ টা ৩০ এ অনটাইমে ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। কক্সবাজারে এয়ারপোর্টে জরুরি ল্যান্ডিং সুবিধা না থাকায় চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাইলট । অত্যন্ত সফল ও দক্ষতার সঙ্গে প্লেনটি অবতরণ করে।

তিনি আরো জানান, ইউএসব বাংলা শুরু থেকেই ফ্লাইট সেফটির ব্যাপারে সতর্ক। নেপাল দুর্ঘটনার পরও আরও বেশি সতর্ক। আজকে যা হয়েছে তা যে কোনো এয়ারলাইন্সের বেলায় ঘটতে পারত।  

বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট লেফট্যান্টেন্ট আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘অসাধারণ দক্ষতা  এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বে পরিচয় দিয়েছেন ক্যাপ্টেন জাকারিয়া সবুজ ও ফাস্ট অফিসার সাইয়্যেদ রউফ।

আরেকজন লিখেছেন, ‘স্যালুট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া এবং ফাস্ট অফিসার রউফ। অসাধারণ দক্ষতার জন্য।  অ্যাভিয়েশন ওর্য়াল্ড  তোমাদের জন্য গর্বিত।

 শামসুদ্দোহা নামে একজন লিখেছেন, ‘অভিজ্ঞ ল্যান্ডিং। পাইলট বহু মানুষের জীবন রক্ষা কারেছেন। ক্যাপ্টেনের কাছে এর চেয়ে আর কোনো ভালো বিকল্প ছিলো না। তা না হলে তাকে সাগরে বা অন্যকোন জায়গায় প্লেন নামাতে হতো যেখানে অনেক হাতাহতের আর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটত।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের পাঁচটি গাড়ি ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়।

ফ্লাইটে ১১ শিশুসহ (ইনফ্যান্ট) ১৬৪ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা। এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ফ্লাইট সফলতার সঙ্গে তারা পরিচালনা করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে দেশের কোন এয়ারলাইন্সের এত ফ্লাইট পরিচালনা এটাই প্রথম দেশে।

এভিয়েশনগুলো নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের গত বছরের নিরীক্ষায় বাংলাদেশ বিমান ও ইউএস-বাংলার নম্বর ৭০-এর ওপরে। বিশ্বের গড় হচ্ছে ৬০।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;