চিঠি পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগে  দেশ ছাড়েন পি কে হালদার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশত্যাগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষেধাজ্ঞার চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পি কে হালদার দেশ ছাড়েন বলে আদালতে তথ্য দিয়েছে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন শাখা।

সোমবার (০১ মার্চ) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পি কে হালদার বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে কানাডায় বিলাসী জীবনযাপন করছেন পি কে হালদার।’

গত বছরের ২২ অক্টোবর ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো চিঠি পৌঁছায় ২৩ অক্টোবর বিকেল চারটায়। আর পি কে হালদার সীমান্ত অতিক্রম করেন বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে। বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। দুদক আইনজীবী বলছেন, তার পালিয়ে যাওয়ার পেছনে দুদকের কোনো দায় নেই।

চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পথে বসিয়ে যখন কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করে পি কে হালদার দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন তিন যেন দেশ ছাড়তে না পারে ইমিগ্রেশনকে চিঠিতে জানায় দুদক। সরকারি ডাকের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠায় দুদক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, চিঠিটি যখন ইমিগ্রেশনের হাতে পৌঁছে এর ১৩ মিনিট আগে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশ ছাড়েন প্রশান্ত কুমার হালদার। পি কে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দুদকের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উচ্চ আদালত। প্রশ্নের মুখে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও।

ইমিগ্রেশন পুলিশের এ রিপোর্ট আগামী ১৫ মার্চ দাখিল করা হবে হাইকোর্টে। এরপরই নির্ধারিত হবে কার দায়ে সেদিন পালিয়ে গেলেন পি কে হালদার।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ পাচারের মামলায় আলোচিত ব্যাংকার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের প্রায় ৫৯ একর জমি জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত। এসব জমির মধ্যে রাজধানীর পূর্বাচলসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা পিকের প্রায় ৫৯ একর জমি রয়েছে।

একইদিন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দীনের তত্ত্বাবধানে পিকে হালদারকে অর্থ লোপাটে সহযোগিতা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় রিমান্ডে আনা হয় অবন্তিকা বড়ালকে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বলা হয়, পিকে হালদারের ধানমন্ডির সাড়ে চার কোটি টাকার ফ্ল্যাটটি অবন্তিকা বড়ালের নামে পাওয়া গেছে।

এছাড়া পি কে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন সুখদা কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারও তিনি। সুখদাসহ পারিবারিক বিভিন্ন কোম্পানির নামে পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাবে যে ১৬৫ কোটি টাকার লেনদেন হয় এবং অর্থপাচার হয় সেখানেও অবন্তিকা বড়ালের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

গত ২৯ ডিসেম্বর পি কে হালদারের রাজধানীর ধানমন্ডির দুই ফ্ল্যাট ও রূপগঞ্জের প্রায় ৬ একর জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ক্রোক করা ফ্ল্যাট দুটি হচ্ছে- রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩৯নং সড়কের ১২নং ফ্ল্যাট এবং পুরাতন ৬নং সড়কের ১৭নং প্লটে নির্মিত ভবনের ৭ম তলায় ২ হাজার ৬০৩ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট।

গত ২ ডিসেম্বর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

কানাডায় অবস্থানকারী পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট ফাইন্যান্স থেকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২ হাজার ৫০০  কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

   

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;