প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়, পাঁচ নারীসহ গ্রেফতার ১১
রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচ নারীসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (০৫ মার্চ) দুপুরে রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ নীলফামারী থেকে রিয়াজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ব্যবসায়ীক কাজে রংপুরের ধাপ এলাকায় আসেন। এ সময় চক্রটি তাকে কৌশলে রংপুর নগরীর নুরপুর করবস্থান এলাকার একটি ৪ তলা বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মারপিট করে আড়াই লাখ টাকা ও তার বন্ধুর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই চক্রটিকে ধরতে অভিযানে নামে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চক্রের মূলহোতা বীনা রানী ওরফে মুক্তা ওরফে সুমীকে (২৫) রংপুর নগরীর ধাপ এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে সুমীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম কচি (৩৪), আহসান হাবিব (২৫), শ্রী বিষ্ণু রায় আকাশ (১৯), সেকেন্দার রাজা রাজা, শ্যামল ওরফে নুর ইসলাম (৫৫), সোহাগী ওরফে রাজিয়া ৩২), জোনাকি ওরফে তিশা (২১), জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাতী (২০), শাহনাজ (৩৫) ও লিজা মনিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৩টি মোবাইল ফোন, ৩টি এটিএম কার্ড ও নগদ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি নগরীর আলমনগর ঘোড়াপীর মাজার এলাকায় একই কায়দায় গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তাকে জিম্মি করা হয়। পরে তার ব্যাংকের এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে বুথ থেকে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেয় চক্রটি। এছাড়া তার পরিবারের কাছ থেকে বিকাশে মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা ও নগদ ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৮৫ হাজার টাকা আদায় করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
ওসি আব্দুর রশিদ জানান, সংঘবদ্ধ চক্রটি অভিনব কৌশলের মাধ্যমে দীর্ঘদিন হতে গ্রামের সহজ সরল লোকজনদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতো। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।