রাজশাহীতে শেষ হলো অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় নাট্যোৎসব

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহীতে শেষ হলো ছয়দিনের অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় নাট্যোৎসব। প্রখ্যাত নাট্যকার, আইনজীবী, সমাজকর্মী, ইতিহাসবিদ ও প্রত্মতত্ত্ববিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়-এর জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী থিয়েটার পঞ্চমবারের মতো এর আয়োজন করেছিল। গত ১ মার্চ জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ উৎসব শুরু হয়েছিল। শনিবার (০৬ মার্চ) রাতে সেখানেই আয়োজন শেষ হলো।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে বেগবান করতে না পারলে আমরা আমাদের আদি বাংলাকে তুলে আনতে পারব না। সেই দিক থেকে সংস্কৃতি চর্চার খুব গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সাহিত্যই আমাদের বাঙালি হিসেবে তুলে ধরতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাঙালি স্বত্ত্বা, মুক্তিযুদ্ধ আর অসাম্প্রদায়িক চেতনা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই তাহলে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। আমি যদি সংস্কৃতির ওপর না দাঁড়িয়ে রাজনীতি করি তাহলে আমার সেই রাজনীতি পদচ্যুত হতে বাধ্য। সেই কারণে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আমি রাজনৈতিক সংগঠনের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেই।’

বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের এখন একটি সোনালী অধ্যায় চলছে। দুই দেশের মধ্যে যদি বেশি করে সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করা যায় তাহলে সেই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদ ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক খোরশেদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন নাট্যজন তাজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মনোয়ার ইসলাম বকুল। উৎসব আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব কামার উল্লাহ সরকার কামার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি নিতাই কুমার সরকার। অনুষ্ঠান শেষে এই উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে ঢাকার শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ‘চম্পাবতী’ নাটক মঞ্চস্থ হয়। উৎসবের প্রথম দিন মঞ্চস্থ হয়েছিল রাজশাহী থিয়েটারের ‘পুত্রহীন’। এছাড়া ২ মার্চ রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘের ‘গিরগিটি’, ৩ মার্চ রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমির ‘বাতিঘর’, ৪ মার্চ বগুড়া থিয়েটারের ‘দ্রোহ’ এবং ৫ মার্চ বিবর্তন যশোরের ‘পেজগী’ নাটক মঞ্চস্থ হয়।