খুলনায় লক্ষা‌ধিক ক্ষুদে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
খুলনায় লক্ষা‌ধিক ক্ষুদে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ

খুলনায় লক্ষা‌ধিক ক্ষুদে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে খুলনায় ১ লাখ ৫০ হাজার ১৫১ জন শিশু বঙ্গবন্ধু সমাবেশ ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন (অনুকৃতি) করেছে।

রোববার (৭ মার্চ) বিকালে মহানগরীর বয়রাস্থ খুলনা সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং চাইল্ড ইন্টিগ্রিটি ও শিশু বঙ্গবন্ধু ফোরাম'র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ শিশু বঙ্গবন্ধু সমাবেশ এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করা হয়। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর মতো একই ভঙ্গিতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ১৯ মিনিটের ভাষণ প্রদান করে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপ‌তিত্বে অনুষ্ঠানে জুম ওয়েবিনারের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানায়, মূল অনুষ্ঠানস্থলে মহানগরীর শ্রেষ্ঠ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত ১৫১ জন শিশু বঙ্গবন্ধুর (ক্ষুদে শিক্ষার্থী) কণ্ঠে এবং একই সঙ্গে সমগ্র জেলা থেকে জুম ওয়েবিনারে সংযুক্ত ১ লাখ ৫০ হাজার জন শিশু বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে একযোগে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে যে সময়ে ভাষণ দিয়েছিলেন ঠিক একই সময়ে জেলাব্যাপী সমস্বরে ধ্বনিত হয় বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী ভাষণ।

এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অ‌াজ ৭ই মার্চ। যেদিন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়ে‌ছিলো। সে ডাক থেকেই বাঙ্গালী জা‌তি ১৯৭১ সালেই স্বাধীনতা ছি‌নিয়ে অ‌ানে। বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমানের জন্ম হয়ে‌ছিলো বলেই স্বাধীনতার সূর্য উ‌দিত হয়ে‌ছিলো। ‌সেই ঐ‌তিহা‌সিক ক্ষণকে লক্ষা‌ধিক ক্ষুদে বঙ্গবন্ধু অ‌াবারও স্মরণীয় করে রাখলো। এ‌টি সারা বাংলাদেশের ভেতরে এক‌টি ব‌্যতিক্রমী আয়োজন। ক্ষুদে শিশুরা স‌ঠিক ই‌তিহাস জানুক এটাই কাম‌্য সবার। এখান থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তারা একদিন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তারাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে যেখানে কোন দুর্নীতি, শোষণ, নীপিড়ন থাকবে না।

অনুষ্ঠানে অ‌তি‌থি হিসেবে উপ‌স্থিত ছিলো, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলমগীর কবির, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সু‌জিত অ‌ধিকারী, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপ‌তি এস এম জা‌হিদ হোসেন প্রমুখ।

   

স্বস্তির বৃষ্টিতে খুলনায় কৃষকের মাথায় হাত!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার খুলনায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষাবাদ হয় এ জেলায়।

এখন মৌসুম বোরো ধান ঘরে তোলার। এমন সময় দেশের উপর দিয়ে মাস জুড়ে চলে তাপপ্রবাহ। অতিরিক্ত গরমে ধান কাটা থেকে বিরত থাকেন এ জেলার কৃষকেরা। ঠিক সেই মুহূর্তে সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় খুলনার উপর দিয়ে বয়ে যায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি। আর এ বৃষ্টিতে কৃষকের কপালে ভাঁজ পড়েছে। অধিকাংশ ধান শীষ থেকে ঝরে পড়েছে। গাছও নুয়ে পড়েছে। আবার কোথাও বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর খুলনার ৯টি উপজেলায় ৬৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে চাষ হয়েছে ৬৪ হাজার ৮শ ৬০ হেক্টর জমিতে। মাঠে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে লেগেছিল তৃপ্তির হাসি। কিন্তু সেই হাসি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুমের শেষের দিকে বৃষ্টিতে জেলার বেশ কিছু এলাকার কৃষকেরা বেকায়দায় পড়ে গেছেন। বৃষ্টিতে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে শীষ থেকে ঝরে গেছে ধান। দমকা হাওয়ায় ধানগাছ এলেমেলো হয়ে নুয়ে পড়েছে। আর বৃষ্টির পানি জমে থাকায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে পাকা ধান। কৃষকেরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে শ্রমিক সংকট ছিল। ফলে সময়মতো ধান কাটতে পারেননি। এর খেসারত এখন দিতে হচ্ছে তাদের।

জেলার পাইকগাছা সোনাদানা এলাকার কৃষক মো. আফজাল হোসেন জানান, গরমের জন্য ধান কাটায় শ্রমিক সংকট ছিল। সেজন্য আমরা পরিবারের সবাই মিলে শুক্র, শনিবারে ধান কাটবো বলে চিন্তা করলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি আমাদের সেই প্ল্যান (পরিকল্পনা) নষ্ট করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সব ধান ঘরে তুলতে পারবো কি না জানি না!

ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষক মো. আমজাদ আলী মোড়ল জানান, ৫০ শতক জমির মধ্যে ২০ শতকের মতো জমির ধান কাটা হয়েছে। সেই ধান মাঠে রয়েছে। বাকি ধান এখনো কাটা হয়নি। এরই মধ্যে বৃষ্টি। প্রায় সব ধান ঝরে গেছে। এখন কিছু করার নেই।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খুলনা জেলায় ৬৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে ৬৪ হাজার ৮শ ৬০ হেক্টর জমিতে। কৃষকের চাহিদার তুলনায় এবার ফলনও বেশ ভালো হয়েছিল। বেশির ভাগ কৃষকেরা ধান ঘরে তুলেছেন। কিন্তু ১০ শতাংশের কৃষকের ধান এখনো মাঠে রয়েছে। ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খুলনায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ১১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

;

সবার মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সব জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে এসডিজি লক্ষ্যগুলো সম্পৃক্ত। তাই দেশের সকলের মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অনুকূলে ইউএনডিপি কর্তৃক সরাসরি বাস্তবায়নাধীন 'স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় 'এমপি'স এনগেইজমেন্ট ইন মনিটরিং অ্যান্ড ইম্পলেমেন্টিং এসডিজিস: প্রগ্রেস অ্যান্ড প্রায়োরিটিস ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেশনে যোগ তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল ও সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ঘোষিত সভাগুলোতে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও একইভাবে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয় সংসদ সদস্যরা বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করে চলেছেন। জাতীয় সংসদের নতুন সদস্যদের এসডিজির বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। এসডিজি'র উপর উপস্থাপিত আজকের সেশন থেকে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দশটি উদ্যোগের বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা কাজ করলে, এসডিজি বাস্তবায়নের কাজও অগ্রসর হবে।

তিনি বলেন, বাজেট সেশনে সংসদ সদস্যরা এসডিজি বিষয়ে কথা বলতে পারেন এবং কোন ক্ষেত্রে কত বরাদ্দ তা দেখতে পারেন। সংসদ সদস্যরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। মন্ত্রণালয় কিভাবে এসডিজি বাস্তবায়ন করছে সে সম্পর্কে আলাদা বৈঠক করা যেতে পারে এবং সংসদ সদস্যদের মতামত নেয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু , মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি , শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাজ্জাদুল হাসান এমপি, বিপ্লব হাসান এমপি, এম এ মান্নান এমপি, আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, জারা জেবিন মাহবুব এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, লায়লা পারভীন এমপি, অনিমা মুক্তি গোমেজ এমপি এবং সংসদ সদস্যগণ ও ইউএনডিপি'র প্রতিনিধিসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এই সেশনে উপস্থিত ছিলেন।

;

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতায় দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। তিনি (ফিরোজ আহমেদ স্বপন) যথার্থই বলেছেন। বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে গেছে। তারা সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। অপপ্রচার করে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে।

তিনি বলেন, মজার বিষয় হলো, যারা পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন, তারা এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যারা করেন, তারা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম যেগুলো আছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, তাদের যে নিবন্ধিত পোর্টাল এবং যেসব পোর্টাল আবেদন করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে- পুরো তালিকা বিটিআরসিকে পাঠাব। এর বাইরে যত অনলাইন পোর্টাল আছে, যারা একটি আবেদনও করেনি, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য (বিটিআরসিকে) অনুরোধ জানাব।

;

নগরীতে বর্তমানে বন্যা হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই: সিসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগরীতে আগাম বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অপ্রত্যাশিত বন্যা হয়ে গেলেও সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সিসিকের।

মঙ্গলবার (৭ মে) নগরীর ক্বীন ব্রিজ এলাকায় সুরমা নদী পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুরমা নদীর পানির লেভেল ১০.৮০ সেন্টিমিটারের বেশি বেড়ে গেলে বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে পানির লেভেল ৭.৩৬ সেন্টিমিটারের নিচে রয়েছে। এতে ধারণা করা যাচ্ছে যে, সিলেট নগরীতে বর্তমানে বন্যা হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

মেয়র আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। যদি বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সব ধরনের সহযোগিতার প্রস্তুতি রয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের।

এসময় অ্যাসেসমেন্ট/রি—অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সিলেট নগরীর সর্বস্তরের জনগণ মেয়র পদে নির্বাচিত করেছেন। জনগণের ভোগান্তি বা ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ আমাকে দিয়ে হবে না।

তিনি বলেন, হোল্ডিং কর নিয়ে যদি কোনরূপ অসংগতি/অমিল পাওয়া যায় অবশ্যই ফরম—ডি এর মাধ্যমে আপত্তি করার ব্যবস্থা রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে নগরবাসীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তি বা কষ্ট হয় এমন কোনো কাগজে আমি স্বাক্ষর করবো না। আর এই বিষয়টি সম্মানিত নাগরিকদের সাথে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত পৌঁছাবো।

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;