নিহত আলাউদ্দিনকে করা হলো বিস্ফোরক মামলার ৩৬ নম্বর আসামি!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটের নাটকীয়তার যেন কোনো শেষ নেই। এবার কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’পক্ষের সংঘাত সংঘর্ষে মামলার আসামি থেকে রেহাই পায়নি সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া সিএনজি চালক শ্রমিকলীগ কর্মী আলাউদ্দিনও।

সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে মির্জা কাদেরের অনুসারী কোম্পানীগঞ্জের চরকালী গ্রামের মৃত আলী আজ্জমের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন পিটনের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে দায়ের করা অভিযোগে আলাউদ্দিনকে ৩৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তাও আলাউদ্দিন মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর। মামলায় তার ছোট ভাই এমদাদ হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী সালাহ উদ্দিন পিটন (৪১), পিতা আলী আজ্জম, ৩নং ওয়ার্ড চরকালী, চরফকিরা বাদী হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিকেলে আদালতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে ১০৫ জন সন্ত্রাসী মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা কামাল পাটোয়ারীসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে জখম করেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় মামলার ৩১-৫৫ নং আসামিগণ (৩২ নং এমদাদ হোসেন ও ৩৬ নং আলাউদ্দিন) গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করে ভীতি সৃষ্টি করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি কাদের মির্জার অনুসারী সালাউদ্দিন পিটন কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তাই সোমবার পিটন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী ও নিহত আলা উদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯মার্চ মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন (৪০) নিহত হয়।

এরআগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরদিন শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।