সিন্ডিকেট খুঁজতে গঠিত সাব কমিটি আড়াই মাসেও বৈঠকে বসতে পারেনি



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাজ মুষ্টিমেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি। এমন অভিযোগ একজন আইন প্রণেতার। অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব কমিটি গঠন করে দেয়। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অষ্টম বৈঠকে সাব কমিটি গঠন করা হয়। ওই সাব কমিটিকে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হলেও ২০২১ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত তারা কোন বৈঠকই করতে পারেননি।

অনিয়ম খুঁজতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিনকে। আর কমিটির অপর সদস্য হলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির। অষ্টম বৈঠকে কমিটি গঠন করার পর বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) নবম বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। নবম বৈঠকে অষ্টম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরা হয় বলে কমিটি সূত্রে জানা যায়।

সাব কমিটি গঠনের পর দুই সদস্য একদিনের জন্যও বসতে পারেননি এমনকি বিষয়টি নিয়ে কোন আলাপ আলোচনাও হয়নি। তারপরেও অগ্রগতি নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অনিয়মের বিষয়টি কমিটিতে উত্থাপন করেন কমিটির সদস্য ও রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক। তিনি কমিটিকে বলেন, মুষ্টিমেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান একাধিক কাজ পাওয়ায় কাজের মান যথাযথ হয় না। এছাড়াও ঠিকাদারগণ সিন্ডিকেট করে কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এক প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সে ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ কার্যক্রম সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। তিনি দরপত্রে অনিয়ম, সিন্ডিকেট ও কাজের মান যথাযথ না হওয়ার বিষয়গুলি তদন্ত করে দেখার জন্য সাব কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

তার সেই প্রস্তাব আমলে নিয়ে কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন সাব কমিটি গঠন করেন। বৈঠকে সভাপতি বলেন, ঠিকাদারদের সিন্ডিকেটের কারণে কতিপয় ঠিকাদার ঘুরে ফিরে কাজ পাওয়ায় কাজের মান ও গতি দুটোই সন্তোষজনক হয় না এবং নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও সৃষ্টি হয় না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বিবেচনায় নিয়ে জনস্বার্থে কাজের গতি ও মান বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একই ঠিকাদার বার বার কাজ পাওয়া এবং একটি প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র প্রদর্শন করে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাব কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেন।

মূল কমিটির বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী এতদিনে সেই তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় আড়াই মাস পরে নবম বৈঠক হলেও সাব কমিটি কোন বৈঠক করতে পারেনি বলে মূল কমিটিকে জানিয়েছে। এমনকি সাব কমিটি আরও তিন মাস সময় চেয়েছে। তবে সভাপতি তিন মাস না, পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছে।

এবিষয়ে সাব কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির বার্তা২৪.কম-কে মোবাইল ফোনে বলেন, কমিটির আহ্বায়ক উনি করোনায় আক্রান্ত। যে কারণে আমরা বসতে পারিনি। এখনো কোন বৈঠক হয়নি। আমরা বসলে তখন বিস্তারিত বলতে পারব।

ঠিকাদার সিন্ডিকেট বা অনিয়ম এবিষয়ে আপনার অভিমত কী? এর জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ না। এটা আসলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এই জিনিসটা তুলে ধরেছি। এখন বসলে বিষয়টা বলতে পারব।

কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির এর কথার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় কমিটির আহ্বায়ক শেখ সালাউদ্দিন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। তবে বর্তমানে তিনি করোনামুক্ত বলে জানা গেছে কমিটি সূত্রে।

বিষয়টি নিয়ে কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন ও অভিযোগ উত্থাপনকারী কমিটি সদস্য মো. এনামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কমিটির সভাপতির ফোন অন্য একজন রিসিভ করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, স্যার তো ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন পরে কথা বলবেন। এর এক ঘণ্টা পর যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় স্যার ঘুমিয়ে আছেন।

   

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো অজ্ঞাত নারীর মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী মেরিন ড্রাইভ সড়কের মেম্বার ঘাটা নামক এলাকায় সমুদ্রের পানিতে ভেসে এসেছে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ। মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

বুধবার (২২ মে) রাত ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ কল পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, মানুষজন জড়ো হতে দেখে সেখানে গিয়ে দেখলাম সমুদ্রের পানিতে উঠানামা করছে একজনের মরদেহ। পরে ৯৯৯ -এ কল দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯৯৯ -এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। নারীর মরদেহটি কার পরিচয় তৎক্ষনাৎ পাওয়া যায়নি। মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিচয় না মেলায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। 

;

যশোরে জেলি পুশ করা ২৬০ কেজি চিংড়ি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর থেকে ২৬০ কেজি জেলি পুশ করা বাগদা চিংড়ি মাছ জব্দ করেছে র‌্যাব-৬। 

বুধবার (২২ মে) বিকেলে রাজারহাট বাজারে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি এ এস পি হাবিবুর রহমান। মাছ ধ্বংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন- যশোর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ।

একই সাথে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ওই মাছের মালিক খুলনা পাইকগাছা উপজেলার শামুকপোতা গ্রামের মা ফিশের প্রশান্ত মন্ডলকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

যশোরের কোম্পানি এ এস পি হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে তারা জানতে পারেন একটি ট্রাকে জেলি পুশ করা চিংড়ি মাছ পাইকগাছা থেকে মণিরামপুর হয়ে যশোরের দিকে আসছে। তখন আমরা ১৬ জন সদস্য বিশিষ্ট তাৎক্ষণিক রাজার হাট এলাকায় অবস্থান করি। ট্রাকের মধ্যে ১৮ ট্রেতে জেলি পুশ করা চিংড়ি মাছের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এক পর্যায় গাড়িতে থাকা কামাল হোসেন স্বীকারও করেন। পরে তাদেরকে জরিমানা করে জেলি পুশ করা সব মাছ ধ্বংস করা হয়।

যশোর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ বলেন, চিংড়ি মাছের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য কিছু অসৎ ব্যবসায়ী জেলি পুশ করে। কিন্তু তারা বোঝে না জেলি মানব দেহের জন্য কি পরিমাণ ক্ষতি। এ জেলিতে ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ হওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি। তবে এ ধরনের অন্যায় মাছ চাষিরা করে না। এগুলো করে একটি অসৎ ব্যবসায়ী চক্র। আমরা গোপন তথ্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। ‘মা ফিশ’র প্রশান্ত মন্ডলকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

;

এমপি আনোয়ারুলের নিহতের ঘটনায় ঢাকায় মামলা, যা আছে এজাহারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) রাত আটটায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলা নং-৪২। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তিনি থানায় অভিযোগ করলেও সেটি মামলা হিসেবে রুজু হয় রাত আটটায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্যের মেয়ে মামলা করেছে। তবে আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। সংখ্যা কত সেটাও উল্লেখ করা হয়নি।

মামলার এজাহারে যা যা উল্লেখ করা হয়েছে: 

মামলার বাদি ডরিন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৯ মে তার বাবা ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার মানিকমিয়া এভিনিউয়ের ন্যাম ভবন (সংসদ সদস্যদের আবাসিক ভবন) থেকে গ্রামের বাড়ী ঝিনাইদহ যাওয়ার জন্য বের হন। দুই দিন পর ১১ মে বিকেল পৌনে পাঁচচার দিকে তার বাবার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। কিন্তু তার সাথে কথা বার্তার এক পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন, তার বাবা অসংলগ্ন কথা বার্তা বলছেন। এরপর তিনি তার বাবার ফোনে একাধিকবার কল করলেও সেটি বন্ধ পান। পরে ১৩ মে তার বাবার ভারতীয় সিম নম্বর থেকে উজির মামা নামের একজনের মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। তাতে জানানো হয়, 'আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সাথে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দিব।'

এছাড়াও আরও কয়েকটি বার্তা আসে। সেই ম্যাসেজগুলি আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরনকারীরা করে থাকতে পারে। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় আমার বাবার খোঁজ খবর করতে থাকি। আমার বাবার কোন সন্ধান না পেয়ে আমার বাবার বন্ধু শ্রী গোপাল বিশ্বাস গত ১৮ মে কলকাতার রাধানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আমরা আমার বাবাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে আমার বাবাকে অপহরণ করেছে। আমার বাবাকে সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে সামান্য বিলম্ব হলো। শেষে তিনি উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন পুলিশকে।

ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ মে রাত আটটা থেকে ১৩ মে যেকোন সময়।

এর আগে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, নিহত এমপির মেয়ে আমাদের কাছে এসেছেন। তার বাবা বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন। এরপর আর পাওয়া যায়নি। সেখানে কী ঘটেছে, এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করার জন্য এসেছেন। মামলা কীভাবে কোথায় করবেন, তা আমরা বলেছি। তার বাবা সংসদ ভবন এলাকায় থাকতেন। সেখান থেকে তিনি ভারতে গেছেন। আমরা তাকে বলেছি শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করতে। মামলা করতে আমাদের কর্মকর্তারা তাকে সহযোগিতা করছে। মামলাটি আজকের মধ্যেই হবে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এ মাসের ১২ মে ভারতে বেড়াতে যান। সেখানে তিনি কলকাতায় একজনের ফ্লাটে ওঠেন। এরপর ১৩ মে বিকেলে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে তার পরিবার জানায়। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছিলেন ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ।

সর্বশেষ বুধবার (২২ মে) সকালে কলকাতার গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করে যে, কলকাতায় আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনার পর তার মেয়ে দুপুরে ডিবিতে গিয়েছিল। সেখান থেকে বের হয়ে তিনি বিকেলে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। 

;

সোনা চুরি করে বিদেশ পালানোর সময় কর্মচারী ধরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সোনা চুরি করে বিদেশ পালানোর সময় কর্মচারী ধরা

সোনা চুরি করে বিদেশ পালানোর সময় কর্মচারী ধরা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান শপিং মলের একটি সোনার দোকান থেকে ২২ ভরি ওজনের ৬টি নেকলেস চুরি করে বিদেশ পালানোর সময় কর্মচারী চন্দন ধরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য মতে চুরি হওয়া ১৪ ভরি ৪ আনা সোনা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর বুধবার (২২ মে) তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

গ্রেফতার চন্দর ধর চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানাধীন বেতাগী ইউনিয়নের মধ্য বেতাগী বণিকপাড়ার গৌরাঙ্গ চন্দ্র ধরের ছেলে। তিনি বিপণিবিতান শপিং মলের চৌধুরী জুয়েলার্সের কর্মচারী ছিলেন।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক জানান, গত ২৩ মার্চ চৌধুরী জুয়েলার্সের কর্মচারী চন্দন ধর ২২ ভরি ওজনের ৬টি সোনার নেকলেস চুরি করে পালিয়ে যায়। ঘটনা টের পেয়ে দোকান মালিক কাঞ্চন মল্লিক থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ এপ্রিল মামলা নেয় থানা পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে বিদেশ পালানোর চেষ্টাকালে আসামি চন্দন ধরকে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরীর হাজারী গলি এবং হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকা থেকে ১৪ ভরি ৪ আনা ওজনের সোনা উদ্ধার করা হয়।

;