বিশেষ কায়দায় ঢাকা ছাড়ছে মানুষ!



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তায় তীব্র যানজট। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গণপরিবহনগুলোতে মানুষ জোর-জবরদস্তি করে উঠছে। কোথাও কোথাও বাসের বন্ধ দরজা জোরপূর্বক খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে হেলপারদের। স্টপেজগুলোতে যাত্রীদের অপেক্ষার সাথে দীর্ঘ হচ্ছে লাইনও। সব যাত্রীরাই সাধ্যমতো বহন করছেন একাধিক বড় বড় ব্যাগ। কেউ একা তো কেউ পুরো পরিবার নিয়ে লড়ছেন বাসে ওঠার যুদ্ধে। এ যেন সাধারণ কোনো যাত্রা নয়। শহর ছেড়ে প্রাণপণে পলায়নের সর্বাত্মক যাত্রা। সকাল থেকে রাজধানী শহরের ভেতরের বাস স্টপেজগুলোর দৃশ্যপট ছিলো এমনই। বিকেল হতেই আরও ব্যতিক্রম দৃশ্য চোখে পড়ে নগরীর সীমান্তবর্তী বাসস্ট্যান্ড গাবতলী এলাকায়। সকাল থেকে বাসে উঠতে যারা যুদ্ধ করেছেন তারাই এসে এখানে জড়ো হয়ে নতুন যুদ্ধের সাথে লিপ্ত হয়েছেন। ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাওয়ার এই যুদ্ধটা খুব সহজ নয়।

গাবতলী এলাকা সরেজমিন ঘুরে এবং ঘরমুখো যুবক তুষারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঢাকায় আমি নিউমার্কেটে একটা দোকানে সেলসম্যানের কাজ করি। কাল থেকে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাবে। তাই গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আজই ঢাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সকাল ১১টায় বের হয়ে এলিফেন্ট রোড থেকে গাবতলী এসেছি দুপুর দেড়টায়। তখন থেকে ঢাকা ছাড়ার গাড়ি খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছি না।

ঘরমুখো মানুষের ঢল

কোনো গাড়িই তো চালু নেই, যাবেন কিভাবে তাহলে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাস না যাক। অনেক কিছুতে করেই যাচ্ছে মানুষ। আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ, আমি ঢাকা থেকে বের হতে পারলেই ভেঙে ভেঙে যেতে পারবো।

কথার একপর্যায়ে সাংবাদিক বুঝতে পেরে এড়িয়ে যান তিনি। তবে গাবতলী এলাকা ঘুরে তার কথার সত্যতা পাওয়া যায়। পিকআপ, মিনি পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক ও প্রাইভেটকারসহ নানা বাহনে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে একটু ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চড়া দাম দিয়ে।

গাবতলী ব্রিজের ঢাকার বাসস্ট্যান্ড প্রান্তে বাড়ি ফিরতে চাওয়া মানুষদের টার্গেট করে এগিয়ে আসে পিকআপ, মিনি পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকের চালক অথবা হেলপার। উভয়পক্ষ দর কষাকষি করে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ভাড়া মেটায়। তারপর ফোন নম্বর আদান প্রদান করে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা ব্রিজের ওপারে কোনো এক নির্দিষ্ট স্থানের ঠিকানা দিয়ে চলে যায়। এরপর যাত্রীরা সেখানে গিয়ে গাড়িতে উঠে নির্দিষ্ট স্থান থেকে যাত্রা করেন।

ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন মানুষ

বাড়ি ফিরতে চাওয়া চল্লিশোর্ধ্ব আসমা বেগমকে এক পিকআপের হেলপারের সাথে কথা বলা শেষ করে হেটে ব্রিজ পার হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই পারে গিয়া গাড়িত উঠুম। এই পারে টেরাকে (ট্রাকে) উঠলে টেরাফিক (ট্রাফিক) পুলিশ ধরব।

কোথায় যাবেন আর কত টাকায় যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে, হাতের বস্তা টেনে নিতে নিতে টানা টানা সুরে তিনি জবাব দিলেন, যামু টাঙ্গাইল। গাড়িও সেহানেই যাইবো। সবার থাইকা না কি সাত, আটশ টেহা নেয়। আমি মুরুব্বী মানুষ বইলা ৪০০ টাহায় রাজি হইছে। লগে একটা নাতি আছে তার জন্য দেওন লাগব ২০০ টাহা!

গাবতলী ব্রিজ পার হয়ে আমীনবাজার বাসস্ট্যান্ডের আগে গেলেই দেখা মেলে বাস্তব চিত্র। পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, মিনি পিকআপ ভরে ভরে বিশেষ কায়দায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, নানা নিরাপত্তা ঝুঁকি উপেক্ষা করে নিম্নআয়ের এসব মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন।

অনেকে প্রাইভেটকার ভাড়া করে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন

একটু সচ্ছল যারা তারা যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে। এক্ষেত্রে অবশ্য তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকেই যাত্রা শুরু করতে পারছেন। তবে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড ও মাজার রোড এলাকা থেকে তাৎক্ষণিক এসব পরিবহন ভাড়া করেও যাচ্ছেন অনেকেই। এমন একজন নূর হোসেন। তিনি তার মা ও বোনকে নিয়ে দিনাজপুর যাবেন। তাই এদিকে এসে একটি মাইক্রোবাসের সাথে কথা বলেছেন। তিনজনের জন্য সারে সাত হাজার টাকা ভাড়ায় দিনাজপুর পৌঁছে দেবে এমন কথা হয়েছে সেই মাইক্রোবাস চালকের সাথে। মোট সাতজন নিয়ে যাবে ওই মাইক্রোতে। প্রায় ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মাইক্রোবাসটি ভাড়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

যদিও এসব বিষয়ে কড়া নজরদারি রয়েছে উল্লেখ করে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পণ্যবাহী পরিবহন যাতে কোনোভাবে যাত্রীবাহী পরিবহনে রূপ না নিতে পারে। প্রয়োজনে জেলা পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। যেখানে অনিয়ম, সেখানে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। গণপরিবহন পরিচালনায় সরকার যখন যে নির্দেশনা দেবে, তা কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে।

   

বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এরই মধ্যে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে বরগুনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তার ওপর নানা অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসছেন। এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৭ জন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন ভর্তি হন। আর ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তবে হঠাৎ করে এভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শয্যা সংকট দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে এমনই দেখা গেছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা মোসা. তামান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে গত শনিবার তালতলী থেকে জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। হাসপাতালে কোনো শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে এখানে শুধু আইভি স্যালাইন দিচ্ছে। বাকি ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছি। অনেক রোগী সিট পাইনি, তাই মেঝেতে ঠাই হয়েছে।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গরমের এ সময় ডায়রিয়া বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লাযুক্ত পানি পান করাসহ বিভিন্ন কারণে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টোরে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

;

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;