ট্রাফিক দাঁড়ালেই লেগে যাবে জ্যাম!



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ট্রাফিক দাঁড়ালে লেগে যাবে জ্যাম!

ট্রাফিক দাঁড়ালে লেগে যাবে জ্যাম!

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বাত্মক লকডাউনে নাগরিক চলাচল নিয়ন্ত্রণের কারণে ভোগান্তি হলেও বিগত দিনগুলোতে ঢাকায় চোখে পড়েনি চিরচেনা জ্যামের চিত্র। জরুরি সেবার আওতাধীন যানবাহনগুলো বাদে ব্যক্তিগত গাড়ি আর রিকশার দখলেই আছে ঢাকার রাস্তা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ নাগরিকদের খুব একটা ঘরের বাহির হতে দেখা যায়নি।

তবে রোববার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর চিত্র অনেকটাই পালটে গেছে। রাস্তায় চোখে পড়েছে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি, প্রাইভেট কার, ব্যক্তিগত ও ভাড়ায় চালিত মোটর বাইক, অল্প সংখ্যক সিএনজিসহ রিকশার আধিক্য ছিলো উল্লেখ করার মতো। যেন ট্রাফিক দাঁড়ালেই নগরে জ্যাম লেগে যাবে!

বেলা ১১ টা বেজে ১৫ মিনিট। রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার সড়কে  যানবাহনের জটলা। প্রথম দেখায় সাধারণ পুলিশ চেকিংয়ের কারণে সৃষ্ট জটলা মনে হলেও আসলে এটি সিগন্যাল জনিত যানজট! প্রাইভেট কারে কিছুক্ষণ বসে থেকে পরিস্থিতি বুঝে উঠতে না পেরে কৌতুহল নিয়েই গাড়ি থেকে নেমে আসেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চিকিৎসক।

জরুরি সেবার আওতাধীন যানবাহনগুলো বাদে ব্যক্তিগত গাড়ি আর রিকশার দখলেই আছে ঢাকার রাস্তা

রিয়াদ হোসেন নামের ওই চিকিৎসক সামনে পেছনে গাড়ির জটলা দেখে বিস্ময় নিয়ে বলেন, এতো জ্যাম লেগে গেছে। মানুষ তো ঘরেই থাকতে চায় না। এত এত গাড়ি রাস্তায় থাকলে বিধিনিষেধ আর নির্দেশনা দিয়ে কী হবে! 

কথা শেষ না হতেই পাশে দাঁড়ানো এক রিকশা চালক গলার গামছায় কপালের ঘাম মুছতে মুছতে সেই চিকিৎসককে উদ্দেশ্য করে বললেন, স্যার প্যাট(পেট) তো আর লকডাউন মানে না। ঘরে খাওন নাই তাই ঘরের বাইর ওয় মানুষ। কামাই রুজি বন্ধ থাকলে মানুষের প্যাটে ভাত যাইবো না। খালি প্যাটে মাথা কাজ করে না।

এর মধ্যে সিগন্যাল ছেড়ে দিলে যথা সম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে যে যার মতো সামনের দিকে এগিয়ে গেলো।

১১ টা বেজে পঞ্চাশ মিনিট। রাজধানীর কাটাবন সিগন্যালের দুই পাশেই দীর্ঘ যানবাহনের সারি।এখানেও বিভিন্ন যানবাহনে আটকা থাকা সাধারণ যত্রীদের মধ্যে কৌতুহল 'রাস্তায় কি জ্যাম লাগলো?' এক রিকশা চালক রিকশা রেখে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখে এসে জানালেন, 'জ্যাম লাগছে রাস্তায়।' পাশে থাকা এক মোটর বাইক চালক বললেন, মুভমেন্ট পাসের কারণে রাস্তায় বেশি মানুষ দেখা যাচ্ছে। এই মুভমেন্ট পাস না থাকলে এত মানুষ ঘরের বাইরে আসার সাহসই পেতো না। যাদের জরুরি দরকার তাদের জন্য এই পাস উপকারী হলেও বেশিরভাগ মানুষই এটার অপব্যবহার করছে।

রোববার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর চিত্র অনেকটাই পালটে গেছে

নিজেকে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক রিকশা আরোহী তার কথায় দ্বিমত পোষণ করে বলেন, বিষয়টা মোটেও সেরকম নয়। ১৪ তারিখ থেকে গতকাল পর্যন্ত নানা ছুটি কাটিয়েছে সারাদেশের অধিকাংশ মানুষ। তাই রাস্তায় তেমন কোন মানুষ দেখা যায়নি এতদিন। আজ আমি অফিসের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছি। কাজ না থাকলে বের হতাম না নিশ্চয়।

এদিকে নগরীর ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এসব এলাকার স্থায়ী চেকপোস্টগুলোতে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত তৎপর ছিলো পুলিশ। মোটর বাইক ও প্রাইভেট কারগুলো খুব গুরুত্বসহকারে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, মুভমেন্ট পাস দেখে তারপর নাগরিকদের যাত্রা নিশ্চিত করছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। কাগজপত্রে অসামঞ্জস্যতা থাকলে বিধি অনুযায়ী মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে বাইক চালকদের। তবে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বেশ কিছুটা নমনীয় আচরণ করতে দেখা গেছে আইন শৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ সদস্যদের।

সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাইলে ধানমন্ডি রাসেলস স্কয়ার পুলিশ বক্সের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাজমুল বলেন, আমরা মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিতে পারি মাত্র।কিন্তু নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা নিজেকেই ভাবতে হবে। জোর করে, জরিমানা করে কাউকে সচেতন করা যায় না।লকডাউনের শুরুর দিন থেকে দেখেছি বাহিরে আসা অধিকাংশ মানুষই খুবই সিলি কারণে ঘরের বাহির হয়েছে। এটা মোটেও কাম্য নয়।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;