তৃতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি মামুনুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের তিনটি বিয়ের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এই বিয়ের কথা স্বীকার করলেও প্রতিটি বিয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি মামুনুল হক।

রোববার (১৮ এপ্রিল) মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর তেজগাঁও উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হলে তিনি এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

মামুনুল হকের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, নিজের বোনকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের স্ত্রী দাবি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ১১ এপ্রিল একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন মো. শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি। তার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন ‘আমি তাকে বিয়ে করেছি। সে আমার তৃতীয় স্ত্রী।’ তৃতীয় বিয়ে নিয়ে তার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি-না সে বিষয়ে জানতে চাইলে মামুনুল হক কিছুই বলতে পারেননি।

হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, পর পর তিনটি বিয়ে। সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে যে মেয়েটিকে নিয়ে গেছেন তাকে নিজের বিয়ে করা স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। কিন্তু আপনার স্ত্রীকে (প্রথম স্ত্রী) আপনি বলেছেন ওই নারী অন্যজনের স্ত্রী। এসব কথা কেনো বললেন, এ বিষয়ে আমরা মামুনুলকে প্রশ্ন করি। কিন্তু এসব বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের বিষিয়ে ডিসি তেজগাঁও আরও বলেন, শেষ ধাপে আমরা জিজ্ঞাসা করি, শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি জিডি করেছেন যে তার বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বোনকে আপনি বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে তিনি (মামুনুল হক) কেনো সম্পূর্ণ তথ্য জানেন না। তাকে আমরা জিজ্ঞাসা করি বিয়ে তো বৈধ বিষয়, তাহলে আপনার শালাকে (শাহজাহান) এ বিষয়ে কেনো জানাননি। এসব প্রশ্নেরও তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। মামুনুল শুধু বলেছেন ‘আমি তাকে বিয়ে করেছি।

জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপি নামে এক নারীকে নিজের স্ত্রী দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক। তবে লিপিকে কবে-কোথায় বিয়ে করছেন এ বিষয়ে তিনি পুলিশকে কোনো তথ্য দেননি, দেখাতে পারেননি সন্তোষজনক কোনো প্রমাণ। এছাড়াও তৃতীয় স্ত্রী এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়েও পুলিশকে সুনির্দিষ্ট কিছুই জানাননি হেফাজতের এই নেতা।

এর আগে রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে বেলা ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ডিসি তেজগাঁও জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়ও সহিংসতা করায় একাধিক মামলায় মামুনুল হকের নাম রয়েছে। প্রথমে তাকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। পরে একে একে সব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।