বুড়িমারী দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ, চলছে আমদানি-রফতানি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আমদানি-রফতানি

আমদানি-রফতানি

করোনার কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবস্থিত বুড়িমারী-চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সকল ধরনের পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারত ও ভুটান থেকে পণ্য পরিবহন চালু রয়েছে।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোন যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন স্বাস্থ্য সহকারী ভারতীয় ট্রাকচালকদের প্রাথমিকভাবে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহ হওয়ায় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সব সীমান্ত ১৪ দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে যারা আসবেন তাদের সীমান্তে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এদিকে ভারত সীমান্ত দিয়ে জনচলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও পণ্য আমদানি-রফতানি চলবে। বুড়িমারী স্থল বন্দর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারত ও ভুটান থেকে পণ্য পরিবহন চালু রয়েছে।

সরেজমিনে বুড়িমার স্থলবন্দর গিয়ে দেখা যায়, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে শুধু ভারত ও ভুটান থেকে থেকে পণ্য পরিবহন আসতে । তবে কোন যাত্রী পারাপার হতে দেখা যায়নি। যে সময় ভারতীয় ট্রাক চালক বাংলাদেশে আসছেন তাদের প্রাথমিকভাবে থার্মল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্র পরীক্ষা করেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন স্বাস্থ্য সহকারী এই কাজ করছেন।

বিজ্ঞাপন

ভারতের আসাম থেকে আসা ট্রাক চালক শাহ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এবং সনদ প্রদান করছেন। সেই সনদ দেখিয়ে ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছি।

এ সময় বাংলাদেশি চালক সাত্তার আলী বলেন, করোনা পরীক্ষার সনদ দেখিয়ে ট্রাক নিয়ে আমরাও ভারতে প্রবেশ করছি।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরের স্বাস্থ্য উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রাসেল আহম্মেদ জানান, আমরা ভারতীয় ট্রাক চালকদের থার্মল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্র পরীক্ষা করেই বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছি। চালকদের তাপমাত্র বেশি হলে ভারতে ফিরত পাচ্ছি।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে উভয় দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। সোমবার থেকে আগামী ১৪ দিন এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার কেফায়েত উল্লাহ মজুমদার বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা পরীক্ষা করে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি কারক সমিতির সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী আসা যাওয়া বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলছে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত আমদানি-রফতানি চলবে। তবে কোন ভারতীয় ট্রাক চালক বাংলাদেশে রাত্রী যাপন করতে পারবেনা।