রংপুরে বিলুপ্ত প্রজাতির লক্ষ্মী প্যাঁচা উদ্ধার
রংপুরে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি লক্ষ্মী প্যাঁচা উদ্ধার করা হয়েছে। ঝড়ের কবলে অসুস্থ হয়ে পড়া প্যাঁচাটিকে একঝাঁক কাক আক্রমণ করলে এক তরুণ প্যাঁচাটিকে উদ্ধার করে খাঁচায় বন্দি করে। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা প্যাঁচাটিকে নিয়ে যান।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্য প্রাণি ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে রংপুর ধাপ ইঞ্জিনিয়ারপাড়ায় বিরল প্রজাতির প্যাঁচা উদ্ধারের খবর পেয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা সেখানে উপস্থিত হই। পরে অসুস্থ প্যাঁচাটি বন বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে প্যাঁচাটির চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে রংপুরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এতে প্যাঁচাটি অসুস্থ হয়ে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার কবি মাহবুবুজ্জামানের বাড়ির উঠানে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ প্যাঁটির উপর এক ঝাঁক কাক আক্রমণ করে। এসময় মাহবুবুজ্জামানের ছেলে জাগরণ ইসলাম প্যাঁচাটিকে উদ্ধার করে খাঁচায় বন্দি করে। পরে খবর পেয়ে সামাজিক বন বিভাগের রংপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, বন্য প্রাণি ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায়, বোটম্যান গোলাম নুর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্যাঁচাটিকে চিকিৎসার জন্য বন বিভাগে নিয়ে যান।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এটি বিলুপ্ত প্রজাতির লক্ষ্মী প্যাঁচা। ডিম পাড়ার আগে এরা সাধারণত পাকা ভবন বা বাড়িঘরের পরিত্যক্ত কার্নিশে বাসা বেঁধে ডিম পাড়ে। আর এ সময়ে এরা গভীর বন থেকে লোকালয়ে এলেও এখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। এ ছাড়া কাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিও এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তাই এ সময় এরা ভীষণ অসহায় হয়ে পড়ে।
সামাজিক বন বিভাগের রংপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১৬ প্রজাতির প্যাঁচা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি লক্ষ্মী প্যাঁচা। লক্ষ্মী প্যাঁচা বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত প্রায়। প্যাঁচাটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে আবার প্রকৃতিতে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।