দর্শনার্থী-জনবল সংকটে বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর। ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সংরক্ষিত পুরাকীর্তির একটি বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর। প্রচার-প্রচারণার অভাবে উদ্বোধনের পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও জাদুঘরে বাড়েনি দর্শনার্থীদের সংখ্যা। এর ফলে এক প্রকার ঝিমিয়ে পড়েছে এই জাদুঘরের কার্যক্রম। তাছাড়া বরিশালের অধিকাংশ মানুষই জানেনা এই জাদুঘর সম্পর্কে ।

দর্শনার্থীদের অভিযোগ রয়েছে, প্রচারণা এবং অব্যবস্থাপনার কারণেই এই বিভাগীয় জাদুঘরটি পরিচিত হতে পারেনি বরিশালবাসীর কাছে। এছাড়াও রয়েছে প্রত্নবস্তুর অভাব। আর এখনো ব্যবস্থাপনার অভাবে হয়নি কোনো স্কুল প্রোগ্রাম।

তবে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন দিবসকে ঘিরে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশ কয়েকবার চিঠি দিলেও তেমন কোনো সাড়া পায়নি তারা।

উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাকিবুল হাসান অন্তর বার্তা২৪.কমকে বলে, ‘আগে বিভাগীয় জাদুঘর সম্পর্কে জানতাম না। তাই অনেকটা কৌতূহলবশত দুই বন্ধু এখানে এসেছি। তবে জাদুঘরে এসে ইতিহাস ঐতিহ্যের অনেক কিছুই জানতে পেরেছি।’

সাকিবুল হাসান অন্তর আরও জানায়, বিভাগীয় জাদুঘরে প্রত্নবস্তুর অভাব রয়েছে। আরও কিছু প্রত্নবস্তু যোগ হলে, এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আর ছোট-বড় সকলেরই একবার এই জাদুঘর ঘুরে দেখা উচিত বলে মনে করে অন্তর।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/06/1538807519020.jpg

এদিকে এই বিভাগীয় জাদুঘরে রয়েছে জনবল সংকট। স্থায়ী কোনো জনবল এই জাদুঘরে নেই। তাছাড়া বর্তমানে বিভাগীয় জাদুঘরে যে কয়জন কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছে তাদের অধিকাংশ শেরে ই বাংলা স্মৃতি জাদুঘর ও খুলনা আঞ্চলিক প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অফিসের কর্মচারী।

দর্শনার্থী সংকটের বিষয়ে জাদুঘরের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা সহকারী কাস্টডিয়ান শাহিন আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, জাদুঘর সম্পর্কে এখনো বরিশালের মানুষ পুরোপুরি অবগত নয়। এর ফলে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে না। তবে ইতোমধ্যে ব্যানার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ জাদুঘরে দর্শনার্থীর পদচারণা বাড়ানোর জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন দর্শনার্থী জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এছাড়াও জাদুঘর পরিদর্শনে বয়স্ক দর্শনার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরাও আসছে। আর জাদুঘরের সামনেই শিশুদের জন্য আলাদা কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জনবল সংকটের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা বার্তা২৪.কমকে জানান, বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরে স্থায়ী জনবল নেই। অন্য জাদুঘর এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মচারীদের দিয়েই এই জাদুঘর পরিচালিত হচ্ছে। তবে বিভাগীয় জাদুঘরে স্থায়ী ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিষয়টি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিভাগীয় জাদুঘর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় জাদুঘর প্রদর্শনীর সময়সূচিকে শীত ও গ্রীষ্মকালীন দুটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে।

এতে ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শীতকালীন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শনিবার সকাল ৯টা-৫টা এবং সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হয়।

অন্যদিকে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শনিবার সকাল ১০টা-৬টা এবং সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হবে। এছাড়াও রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/06/1538807542928.jpg

তাছাড়া জাদুঘর পরিদর্শনে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ টাকা, স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা এবং সার্কভুক্ত দেশ সমূহের পর্যটকদের জন্য ২৫ টাকা প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য জাদুঘরটি বিনামূল্যে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিভাগীয় জাদুঘরের ২ তলায় ৯টি গ্যালারিতে বিভাগের ভৌগোলিক, প্রাকৃতিক পরিচিতি ও খ্যাতনামা ব্যক্তিদের তথ্য ও চিত্র, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লোকশিল্প এবং বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

ইতিহাস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরটি (বরিশাল পুরাতন কালেক্টরেট ভবন) নিম্ন-গাঙ্গেয় অববাহিকায় নির্মিত ঔপনিবেশিক শাসনামলের প্রথম প্রশাসনিক ভবন বলে মনে করা হয়। দ্বিতল এই ভবনটি পাশ্চাত্য ও স্থানীয় ইন্দো-মুসলিম স্থাপত্য রীতির সংমিশ্রণে নির্মাণ করা হয়। এটা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাতলা ইট, টালিম লোহা ও কাঠের বর্গা এবং চুন-সুরকি। আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনায় নির্মিত এই ভবনটির দৈর্ঘ্য ৯৪ মিটার এবং প্রস্থ ২১ মিটার। প্রায় ১.২ মিটার উঁচু খিলান যুক্ত স্তম্ভের উপরে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এই জাদুঘরের নিচতলায় ১৪টি কক্ষ এবং দোতলায় ৯টি কক্ষ রয়েছে।

উল্লেখ, বরিশাল কালেক্টরেটের এই ভবনটি ২০০৩ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে এবং ২০০৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২০১৫ সালে শুরু হয় জাদুঘরে রূপান্তরের কাজ। পরবর্তীতে একই বছরের ৮ জুন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি এই জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। এর আগে ১৮২১ সালে বরিশাল পুরাতন কালেক্টরেট ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

   

অধ্যাপককে ঘুষি-লাথি, ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপককে মারধরের অভিযোগ উঠায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সাফাতুন নূর চৌধুরী। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মোঃ সাফাতুন নুর চৌধুরী (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা, চন্দনাইশ) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের কাজ করছিলেন সহযোগী অধ্যাপক কে এম আতিকুর রহমান। এ সময় সেমিনার কক্ষে ঢুকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফাতুন নুর একটি নষ্ট পাখা দেখিয়ে তা মেরামত করে দিতে বলেন। শিক্ষক আতিকুর রহমান ফ্যানটি নতুন করে লাগানো হবে বলে জবাব দেন। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে সাফাতুন নূর জানালার পর্দার পাইপ খুলে ফ্যানে আঘাত করলে অফিস সহায়ক প্রযুক্ত পালের মাথায় সজোরে লাগে। তাকে উদ্ধার করে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সাফাতুন নূর অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং শিক্ষক আতিকুর রহমানকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এতে ওই শিক্ষক আহত হন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবদুল খালেক বলেন, আমরা এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম জানান, কলেজের সেমিনার কক্ষে নষ্ট পাখা নিয়ে এক ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ছাত্র শিক্ষককে মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

;

কর্ণফুলীতে নিখোঁজের দুইদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে বাংলাবাজার ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. শফি (৩৩) কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহছেন আলী পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, বুধবার (১৫ মে) দুপুরে কর্ণফুলী নদীতে এফভি মায়া-৩ নামে একটি ফিশিং ট্রলার থেকে নৌকায় মাছ নামাচ্ছিলেন শফি। পরে অসতর্কতাবশত নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও তাৎক্ষণিক কোনো সন্ধান মেলেনি। ৪৮ ঘণ্টা পর বুধবার সকালে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে লাশটি ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি একরাম বলেন, শফির পরিবার আমাদের জানিয়েছে তার মৃগী রোগ ছিল। আমরা ধারণা করছি নদীতে পড়ে যাওয়ার আগে তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীতে লালনের অসাম্প্রদায়িকতার সাধনা আমাদের ধারণ করা উচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, লালন মহৎ দর্শনের জাগ্রত প্রতীক। লালন মানবতাবাদ, সুফিবাদ, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেছেন। তিনি যে মানবতাবাদী সমাজ চেয়েছিলেন, সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি।

শুক্রবার (১৭ মে) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে "মানুষের করণ সেকি সাধারণ জানে কেবল রসিক যারা" প্রতিপাদ্যে জাতীয় পর্যায়ে ফকির লালন শাহ এর ২৫০তম আবির্ভাববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের তিন জেলায় নয় দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, লালন মানবতাবাদকে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। গান ও সৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্রষ্টাকে খুঁজেছেন তিনি। আমরা বাঙালিরও মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতার পথে হেঁটে বড় অর্জন করেছি। লালন আমাদের অনুপ্রেরণার অসীম উৎস।

মন্ত্রী ফিলিস্তিনে শহিদের কথা স্মরণ করে বলেন, বর্তমান অরাজকতা, অস্থিরতা, যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীতে লালনের মানবতার, অসাম্প্রদায়িকতার সাধনা আমাদের সকলের মধ্যে ধারণ করা উচিত।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটস শিক্ষক ও লালন গবেষক অধ্যাপক ডা. আনিসুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভিন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ভারতীয় হাই কমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী সহ অনেকে।

;

গাজীপুরে এক সঙ্গে তিন সন্তান জন্ম দিলেন গৃহবধূ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে একত্রে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন গৃহবধূ আফসানা আক্তার। তিন সন্তানসহ ওই গৃহবধূ পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সন্ধ্যার গাজীপুরের এলিট কেয়ার হাসপাতালের বেডে গিয়ে দেখা যায় এ ঘটনা। সিজারের পর মা ও শিশুদের পাশাপাশি বেডে রাখা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে ওই গৃহবধূ আফসানার প্রসববেদনা উঠলে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে জরুরি অপারেশনের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিনজন সন্তান প্রসব করেন তিনি।

এলিট কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সজীব জানান, হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নাফিসা আনোয়ার মারিয়ানা আগে থেকেই আফসানাকে দেখভাল করছিলেন। বিষয়টি অনেকটাই ক্রিটিক্যাল ছিল। হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকার পরও ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ওই গৃহবধূকে সিজার করা হয়। এতে সন্তান ও মা সুস্থ রয়েছেন।

এদিকে এমন বিড়ল ঘটনায় মা সন্তানেরা সুস্থ থাকায় আনন্দে আত্মহারা পরিবারের স্বজনরা। গৃহবধূ আফসানার স্বামী প্রকৌশলী মো. রিপন মিয়া বলেন, তিন সন্তান এবং আমার স্ত্রী সুস্থ রয়েছেন এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি খুশির বিষয়।

;