গৌরীপুরে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ড



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
গৌরীপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ড

গৌরীপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার রবিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মে) বেলা ১১টায় পৌর শহরের স্টেশন রোড এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গৌরীপুর পৌর শহরের স্টেশন রোড এলাকায় আলী হায়দার রবিনের মাল্টি ক্যাবল নেটওয়ার্ক নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে শহরের ডিশ ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের কন্ট্রোল রুমে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে টিভি চ্যানেলর রিসিভার, ল্যাপটপ, অপটিক্যাল মিটারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আলী হায়দার রবিন বলেন, আইপিএসের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে টিভি চ্যানেলের ১৪ টি রিসিভার, ২টি ল্যাপটপ, অপটিক্যাল মিটারসহ অন্যান্য প্রয়োজনী যন্ত্রপাতি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিক অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ টাকার মত। তবে কন্ট্রোল রুমে সংযোগ দেয়ার পর জানা যাবে আরো কোন যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা।

   

আইনি সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, এটা তার অধিকার: আনিসুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনগত সহায়তা পাওয়া কারো প্রতি করুণা নয় বরং এটা তার অধিকার। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার সমান অধিকারের কথা সন্নিবেশ করে গেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উপলক্ষে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, দুঃখজক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাবার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল সহায়সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

কিন্তু ২০০১ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে সাত বছর শেখ হাসিনা সরকারে না থাকায় নাগরিকদের এই অধিকার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, বলেন তিনি।

এরপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার দ্বিতীয়বার দায়িত্বে এলে আবারও আইনি সহায়তা কার্যক্রম আলোর মুখ দেখে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই অভিযাত্রায় তার সরকার আইনগত সহায়তা কার্যক্রম রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপনসহ ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এর ধারাবাহিকতায় আমরা প্রত্যেকটি উপজেলা ও ইউনিয়নে লিগ্যাল এইড কমিটি এবং চৌকি আদালত ও শ্রম আদালতে বিশেষ লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করি। শ্রম আদালতে শ্রমিক আইনি সহায়তা সেল আমরা চালু করি। আমরা দরিদ্র অসহায় মানুষ যেনো দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এসে ন্যায় বিচার পান। সেজন্য ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম শুরু করি।

আনিসুল হক বলেন, সরকারি আইনি সহায়তা আরও সহজ করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে টোল ফ্রি জাতীয় হেল্প লাইন ১৬৪৩০ সার্ভিস চালু করেছি।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে জুলাই ২০১৫ সাল থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৪৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এইবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

;

মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক

মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী হয়ে ফেরিতে চড়ে বোয়ালখালী যাওয়ার পথে হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে পড়ে মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী (৫৫) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষক বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল নয়টার এই ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত ওই শিক্ষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

ওই শিক্ষকেরা পরিচিতজনরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাদ্রাসা খোলায় সকালে তিনি নগরীর চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলৈন। সকাল ৯টার দিকে কালুরঘাটের পশ্চিম পাড় থেকে হেঁটে ফেরিতে উঠেন ওই শিক্ষক। এরপর হঠাৎ ঢলে পড়েন তিনি।

শিকক্ষের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আঞ্জুমানে আজিজিয়া মাবুদিয়া সুন্নিয়া সংগঠনের সদস্যসচিব কাজী মো. এমরান কাদেরী। তিনি বলেন, মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী আমাদের সংগঠনের সহসভাপতি ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে মৃতঘোষণা করেন চিকিৎসক। ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণে তিনি মাথা ঘুরিয়ে ঢলে পড়েছেন।

মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরীর বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার লেমশীখালীতে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

দুপুর ২টায় খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপরে বাদে এশা ২য় জানাজা শেষে কুতুবদিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

;

নদীতে গোসলে নেমে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় খোয়াই নদীতে নেমে নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আলাপুর গ্রামের কাছে নদীতে জুনাইদের (১০) মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এর আগে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয়রা মোশাহিদের (৬) লাশ উদ্ধার করে।

জানাগেছে. শনিবার দুপুর ২টার দিকে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে নামে দুই ভাই মোশাহিদ ও জুনাইদ। এক পর্যায়ে তারা পানিতে তলিয়ে যায়।

নিহত জুনাইদ ও মোশাহিদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুকড়িপাড়া গ্রামের ছালেক মিয়ার পুত্র।

শিশুদের মা মনোয়ারা খাতুন জানান, দুই ছেলেকে নিয়ে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে তাদের খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে নদীতে গোসলে যায়। এরপর তাদের খালাতো ভাই বাড়িতে গিয়ে জানায়, তারা দুই জন নদীতে তলিয়ে গেছে।

শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মো. মোবারক হুসেনে ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই ভাই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হলে স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করে একজনের লাশ উদ্ধার করে। অপরজনের লাশ রোববার সকালে নদীতে ভেসে ওঠে।

;

যশোরে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
আহসান হাবিব

আহসান হাবিব

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে আহসান হাবিব নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আহসান হাবিব যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান শিক্ষক আহসান হাবিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এজেডএম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হাবিব আজ সকালে মাঠে কাজ করে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, আজ সকালে ওই স্কুলশিক্ষককে (আহসান হাবিব) মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন যে আজ সকালে রোদের মধ্যে তিনি মাঠে কাজ করে স্কুলে গিয়েছেন। স্বজনদের দাবি, তার হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা এখনো চূড়ান্ত রিপোর্ট পাইনি। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের ধারণা, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন।

;