বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী হয়রানি রোধে নানান পদক্ষেপ
চিকিৎসা শেষে ভারত ফেরত অসহায় হয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি ও অর্থ খরচ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসনের করোনা প্রতিরোধ কমিটি। জটিল রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাসহ যানবাহন ও হোটেল খরচ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশনে দালাল শ্রেণির বহিরাগতদের প্রবেশ রোধেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
শনিবার (৭ মে) সকালে বেনাপোল বন্দরের প্যাছেঞ্জার টার্মিনাল ও ইমিগ্রেশন ভবনে সাটানো যাত্রী সুবিধার এমন নোটিস চোখে পড়ে।
ভারত ফেরত যাত্রী রহিম জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি ও হয়রানি রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাকে অনেকটা তারা উপকৃত হবেন। চলমান ক্রান্তিকাল সময়ে এ নির্দেশনা বহাল রাখার আহবান জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলীফ রেজা জানান, ভারত ফেরত যাত্রীরা যাতে কোন ভাবে দালাল শ্রেণির মানুষের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয় এ জন্য ইমিগ্রেশন ও বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে ব্যানার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত যাত্রীদের সাথে থাকা কাগজ পত্র পরীক্ষা করে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীদের হোটেল ও যানবাহন ভাড়া সাশ্রয়ে সংশিষ্টদের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। কিলোমিটার প্রতি নন এসি যানবাহন ভাড়া ১২.৫০ টাকা ও এসিতে ১৭.৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। হোটেল ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে হোটেল মালিকদের।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার বিচিত্র মল্লিক জানান, গতকাল ভারত থেকে ৩১৮ জন ফিরেছেন। এর মধ্যে ৫ জন ছিল করোনা পজিটিভ। এরা ভারতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হন। আক্রান্ত যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে ও সাধারণ যাত্রীদের যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের ১৪ দিন হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন খরচ গত বছর সরকার বহন করলেও এবার যাত্রীদের নিজেদের ব্যয় করতে হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, ভারতের করোনার নতুন ভেরিয়ান্ট রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের ভ্রমণ সীমান্ত পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে নতুন করে কোন পাসপোটধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেনি। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আটকা পড়েছিল তারা ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরছেন।