ঈদের আগে বাজারের দিকে মানুষের ঢল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের আগের দিনও রাজশাহীতে মানুষের ঢল বাজারের দিকে। তাই শহরজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। রিকশা-অটোরিকশার এই জট সামাল দিতে ঘাম ঝরছে ট্রাফিক পুলিশের। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) নগরীতে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সকালে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অসহনীয় যানজট। সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে রাজশাহী কলেজ পর্যন্ত প্রায় আধাকিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে রিকশা-অটোরিকশার কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে।

এই সড়কটির একপাশে নগরীর আরডিএ মার্কেট। এই মার্কেটের সামনে ফুটপাতে বসেছে টুপি, আতর-সুরমা, কসমেটিকস, ইমিটেশন, ছেলেদের বেল্টসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দোকান। রাস্তার অপর পাশে ফুটপাতেই বসেছে শাড়ি-লুঙ্গিসহ হকারদের অস্থায়ী দোকানপাট। এসবের ভেতর দিয়েই রাস্তার ওপর দিয়ে ব্যাগ হাতে হেঁটে যাচ্ছেন মানুষ।

রাস্তা পারাপারেও বেশিরভাগ মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করছেন না। বাজার করতে আসা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের রাস্তা দিয়েই চলাচলের কারণে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

সাহেববাজার এলাকায় একদল পুলিশ সদস্যকে যানজট মোকাবিলায় কাজ করতে দেখা গেছে। হ্যান্ড মাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, কোন রিকশা-অটোরিকশা যেনো না দাঁড়ায়। কিন্তু মানুষের চলাচলের কারণে রিকশা-অটোরিকশার চালকদের ব্রেক কষতেই হচ্ছিলো। পুলিশের ওই ঘোষণায় কোনো কাজই হচ্ছিলো না। রাস্তা ও ফুটপাতে মানুষ ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করছিলেন।

রাজশাহী কলেজের সামনে থেকে সাহেববাজার হয়ে জিরোপয়েন্টে এসে অটোরিকশার চালক আবু জাফর (৩০) বলেন, এইটুকু পথ পাড়ি দিতে তার ২৫ মিনিট সময় লাগলো। আগে জানলে অন্য রাস্তা ঘুরে এইটুকু পার হতেন।

জাফর বলেন, দিনে এইটুকু রাস্তা পাঁচ-ছয়বার পার হতে গেলে দিন এখানেই শেষ হবে। অন্য কোথাও আর গাড়ি চালানো লাগবে না।

নগরীর রেলগেট, লক্ষ্মীপুর, নিউমার্কেট, শিরোইলসহ অন্যান্য এলাকাতেও তীব্র অটোজট দেখা গেছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার অনির্বান চাকমা বলেন, শহরে কয়েকদিন ধরেই যানজট দেখা যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার আরও বেশি। যানজট ঠেকাতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি তাই থানা পুলিশও কাজ করছে। তাও যানজট ঠেকানো যাচ্ছে না।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাত থেকে মার্কেটের ভেতর-সবখানেই মানুষের ভিড়। ঈদের শেষ মূহুর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা বলতে ছিলো শুধু মাস্ক। এর বাইরে বাজারে স্বাস্থ্যবিধির কিছুই ছিলো না। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সরকারের তরফ থেকে কড়া নির্দেশনা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কোনো চেষ্টা করতেও দেখা যায়নি।

বাজারে মানুষের এমন হুড়োহুড়িতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ক্রেতাদের পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। আরডিএ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, লকডাউনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। বাজার খুলে দেওয়ার পর তারা কিছুটা ব্যবসা করতে পারছেন। হঠাৎ মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে ক্রেতা কমে যায়। বুধবার মার্কেটে আবার ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবারও মানুষ কেনাকাটা করছেন। এ দিন বেচাবিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে।

বাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, আসলে মানুষ সচেতন না হলে কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। মানুষের যদি মৃত্যুর ভয় না থাকে, তাহলে প্রশাসন কতোটুকু স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারে! তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। দোকান মালিকদের বলা আছে যেনো দোকানের ভেতর ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি না থাকে। দুই-তিনজনের কেনাকাটা শেষ হলেই যেনো অন্যদের দোকানে ঢোকানো হয়।

   

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫০) এবং অপরজন হলেন ছানোয়ার হোসেন (৪৫)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবজি বিক্রেতাদের বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহ আলম বলেন, সকালে মানিকগঞ্জের জাগীর সবজি আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে কাটিগ্রাম এলাকার মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম এবং আব্দুস সামাদের ছেলে ছানোয়ার হোসেন নিজ এলাকায় যাচ্ছিলো।

যাত্রাপথে তাদের বহন করা ভ্যানটিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় ভ্যান চালক রাস্তার পাশে পড়ে গেলেও ওই দুই সবজি বিক্রেতা মারা যায় বলে জানান তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত এক জনের মরদেহ জেলা হাসপাতালে এবং একজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;