আমি যাবো এবং ভাঙবো: মেয়র আতিক
অবৈধ দখলদারদের কঠোর বার্তা দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, অবৈধ জায়গার জন্য আমি কোনও বৈধ নোটিশ করবো না। আমি যাবো এবং ভাঙবো। কারণ আপনারা নিজেরাই জানেন কোনটি বৈধ এবং কোনটি অবৈধ।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শনিবার (১৫ মে) ডিএনসিসি নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এভাবেই কথাগুলো বলেন।
বর্তমানে এডিস মশার প্রজনন বেড়ে যাওয়ায় মেয়র বলেন, এখন একবেলা বৃষ্টি তো আরেক বেলা রৌদ। এটা এডিস মশার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। তাই সামনের দিনগুলো এডিশ মশা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু বক্তব্য দিলেই হবে না। এজন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর যখন ডেঙ্গু প্রকোপ বেড়ে যায় তখন সাংবাদিক সম্মেলন করলে বলা হয় শুধু বক্তব্য দিলেই হবে। আমি বলি না, শুধু বক্তব্য দিলেই হবে না। আমাদেরকে কাজ করতে হবে। এখন এডিশ মশার উপযুক্ত সময়। এই মশা ময়লা পানিতে হয় না, পরিষ্কার পানিতে হয়। এডিস মশা অভিজাত মশা। তাই আমাদের সকল নাগরিককে দায়িত্ব নিতে হবে।
মেয়র বলেন, আমাদের চিরুনি অভিযান অব্যাহত আছে। একেকটি অভিযান পরিচালনা করতে আমাদের প্রায় এক কোটি টাকার মতো খরচ হয়। এরপরেও আমরা সব সময় চেষ্টা করি এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য। গতবছরও আমরা সাতবার চিরুনি অভিযান করেছি। নগরবাসীকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো। তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন।
বিগত এক বছরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মেয়র বলেন, মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেটের ২৫৮টি দোকান বরাদ্দ বাতিল করেছি। এখান থেকে বছরে ১০০ কোটি টাকা আয় হতো। আমি জনগণের জন্য হাসপাতাল করে দিয়েছি। বরাদ্দ প্রাপ্তদের সেই টাকা এখন আমরা পরিশোধ করছি। তাছাড়া ৪০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি।
মেয়র আরও বলেন, অনেক অনেক রাস্তা দখল হয়ে গেছে। আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। ভাষানটেক বাজার থেকে ক্যান্টনমেন্ট সংযোগ সড়কের মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী একটি স্থাপনা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ৯২ শতাংশ জমি ক্রয় করে সড়ক সম্প্রসারণ করেছি। আমি বলবো সিটি করপোরেশনের রাস্তা কেউ দখল করে যদি বাড়ি করে থাকেন, তাহলে ভুল করেছেন। এবার আর কোন নোটিশ নয় আমি যাবো আর ভাঙবো।
এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।