সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষেধ
মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে বুধবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আজ (১৯ মে) দুপুরে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ এর ক্ষমতাবলে এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ১৩ এপ্রিল এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় যেকোনও প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়বেন হাজার-হাজার জেলে। অভাব-অনটন আর সংকটের মধ্য পড়বেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন অনেকে।
এদিকে উপকূলীয় মৎস্য আড়তে দেখা গেছে, সমুদ্রগামী জেলেরা জাল, ট্রলার ও ফিশিংবোট নিয়ে সাগর থেকে নিজ নিজ ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মৎস আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেশের উপকূলীয় ১৪ টি জেলার ৬৬ টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫ জেলে পরিবারকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলে পরিবার প্রথম ধাপে (২০ মে থেকে ৩০ জুন) মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪২ দিনের জন্য মোট ৫৬ কেজি চাল পাবে।
ভিজিএফ চাল ১০ জুনের মধ্যে যথানিয়মে উত্তোলন এবং নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য মঞ্জুরি আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কার্ডধারী জেলে ছাড়া অন্য কাউকে এ ভিজিএফ প্রদান করা যাবে না।