সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে রেখে গিয়েছিল, এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা তো ঘুমিয়েই কাটাচ্ছিল। নিজেদের সম্পদ গড়তে ব্যস্ত ছিল। দেশের মানুষকে সম্পূর্ণ অবহেলা করেছে, ‍কিন্তু আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য রাজনীতি করে। কাজেই সেই আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের কল্যাণেই কাজ করেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবে না। বাঙালিকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি। সঠিক দিক নির্দেশনা, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে চললে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষকে কেউ কখনো দাবায়া রাখতে পারবে না। এটা আমরা বিশ্বাস করি এবং আমরা সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সকল দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এগিয়ে যাবো।

রোববার (২৩ মে) মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র ও ৫টি মুজিবকিল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা ১২ বছর ক্ষমতায়, এরমধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ অর্থাৎ যে কথাটা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছিলাম রূপকল্প-২০২১, আমরা তা বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়, অবকাঠামো উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া এবং ভূমিহীনদের মাঝে খাসজমি এবং ঘর তৈরি করে দিয়ে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল আমরা সেটাই বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি এবং করে যাচ্ছি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ গৃহহারা থাকবে না।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন বলেছিলাম কোন কুড়ে ঘর থাকবে না, টিনের ঘর দিলেও দিবো, দিয়েছিলাম। এখন সেমি পাকা অথবা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহনশীল ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। যাতে একটা জায়গা পেলে জীবন রক্ষা পায়। বাংলাদেশটা একটা বদ্বীপ যে কারণে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। আর তাছাড়া বাংলাদেশে মাঝে মাঝেই মনুষ্য সৃষ্টি ‍দুর্যোগও আসে এসব মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এগিয়ে যাবো। জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবে না। বাঙালিকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না এটা আমরা বিশ্বাস করি। সঠিক দিক নির্দেশনা, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে চললে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষকে কেউ কখনো দাবায়ে রাখতে পারবে না। এটা আমরা বিশ্বাস করি এবং আমরা সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গত কয়েক বছর ২৩০টি বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ হ্রাসে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সর্তকবার্তা পেতে পারি সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগ বার্তা পেতে আরো উন্নত করতে হবে এবং আমাদের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট যেটা করব সেটা আরও বেশি শক্তিশালী যাতে হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। তাছাড়া নদী ভাঙা বা বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত যারা হয় তাদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, পাশাপাশি বন্যা আসলে তাদের যেন আশ্রয় দেওয়া যায় সে ধরনের বুহুমুখী দুর্যোগের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করা এবং দুর্যোগের সময় যেকোন অবস্থা মোকাবিলা করা যায় সেটা আমরা করছি। পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তার দিকে নজর রেখে সেভাবেই ভবনগুলো তৈরি করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিবকিল্লা উন্নতমানের করে সেখানে একদিকে মানুষ যেমন আশ্রয় নিতে পারে আবার গৃহপালিত পশুপাখি সেগুলো যেন আশ্রয় নিতে পারে তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরনো মুজিবকিল্লাগুলো সংস্কার করা হবে। দুর্যোগের সময় মানুষের যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কেননা কোন সম্পদ চলে গেলে আবার পাওয়া যাবে, কিন্তু জীবন চলে গেলে আর পাওয়া যায় না। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, আগে প্রাকৃতিক উপায়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করা হতো, এটা কিন্তু মানুষ প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। বর্জ্রপাতে মানুষের যেন মৃত্যু না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া অর্থাৎ আধুনিক ব্যবস্থা তুলে ধরতে পারি সেটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস অথবা বর্জ্রপাত বা অগ্নিকাণ্ড সবকিছু থেকে মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যা যা করণীয় সেই ব্যবস্থাগুলি আমরা করে যাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ২০২১-২০৩৫ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা সেটা প্রণয়ন করেছি। তাছাড়া বাংলাদেশ একটা বদ্বীপ এই বদ্বীপ অঞ্চলটা সুরক্ষিত করে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আজকের জন্য নয় আগামী প্রজন্মের জন্য শত বছরের একটা পরিকল্পনা অর্থাৎ ২১০০ সালের জীবনযাত্রা কেমন হবে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ডেল্টাপ্লান করেছি। বদ্বীপকে সুরক্ষিত করা বদ্বীপ অঞ্চলের মানুষকে যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে নিরাপদে বাঁচতে পারে সেই পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করব। আল্লাহর রহমতে আজকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি।

   

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে আরও এক জনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রপাতে গনজ মারমা (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। 

রোববার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে রামগড়ের সদর ইউনিয়নের হাজা বৈদ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গনজ মারমা (৫৫) ওই এলাকার মৃত কংজ মারমার ছেলে। এ সময় গনজ মারমার গোয়ালে তাকে দুইটি গরুও মারা যায়।

রামগড় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম জানান, রোববার ভোরে বজ্রপাতে এক জনের মৃত্যুর খবর স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

এদিকে, রামগড়ে মৌসুমের প্রথম কাল বৈশাখে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন। রোববার ভোরে কাল বৈশাখীতে রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া, দারগাপাড়া ও রামগড় বাজারে কালবৈশাখীতে বসতবাড়ির টিন, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। 

রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন জানান, বজ্রপাতে নিহতের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান আছে।

এর আগে, রোববার ভোরে জেলার দীঘিনালার মধ্যবেতছড়িতে বজ্রপাতে বসতবাড়িতে আগুন লেগে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়।

;

এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভবনটির উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন শেষে প্যাথলজি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম সেনা প্রাঙ্গণ’ ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।

;

‘দ্য বয়েজ’ সিরিজের নতুন সিজনের ট্রেইলার প্রকাশ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে সুপারহিরো জনরার মানেই ‘দ্য বয়েজ’ সিরিজ৷ আর ১০ টি সুপার হিরো সিনেমার মতো নয়- যেখানে শুধুমাত্র ভালো মনের আদর্শ মানুষরাই অসীম শক্তির সন্ধান পায়৷ সুপার হিরোরা যদি অসৎ হতো এবং তাদের মানবজাতি রক্ষা করা যদি কেনল ভনিতা হতো তখন কি হতো- সেই গল্পেই সুপারহিরো সিরিজ ‘দ্য বয়েজ’৷ ভিন্নধর্মী এই গল্পের জন্য এই সিরিজের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী৷

বিখ্যাত এই টিভি সিরিজের সিজন ৪ নিয়ে হাজির হয়েছে অ্যামাজন প্রাইম। অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল প্রাইম ভিডিও থেকে ট্রেইলার প্রকাশ করা হয় শনিবার (৪মে)। জনপ্রিয় সিরিজটির গল্পে চমকপ্রদ নতুন মোড় নিয়ে ৪র্থ কিস্তি প্রকাশ করা হবে জুনের ১৩ তারিখ।

এই সিজনের ট্রেইলার ইতোমধ্যেই নেটিজেনদের কাছে লোমহর্ষক মনে হয়েছে৷ এই অবধি সবচেয়ে রক্তাক্ত সুপার হিরো সিরিজের তকমাও পেয়েছে৷ সুপারহিরোর বেশ ধরে হোমল্যান্ডার সাধারণ মানুষদের সামনে রক্ষকের ভং ধরে থাকতেন৷ অসাধারণ শক্তিধর একদল সুপারভিলেনদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ‘দ্য বয়েজ’ টিমের এই লড়াই কোনদিকে মোড় নেবে?

ট্রেইলারের এক অংশে দেখা যায় হোমল্যান্ডারের বুদ্ধিমত্তার কারণে জনগণ দু'টি ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যায়, তাদের মধ্যে দুর্ধর্ষ সংঘর্ষ হচ্ছে৷ লোক দেখানো সুপারহিরো টিম সেভেন এতদিন সবার আড়ালে স্বেচ্ছাচারিতায় মগ্ন থাকতেন৷ লোকসেবার আড়ালে ইচ্ছেমতো হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সকলকে বোকা বানাতো৷ বয়েজের গত সিজনে তাদের এই সত্য সকলের সামনে আসতে শুরু করে৷ এক পক্ষের লোক তাই সেভেন এর বিরুদ্ধে যেতে শুরু করে৷ সেভেন টিমের লোকজনদের এই সিজনে দেখা যাবে আরও হিংস্র রূপে৷

ট্রেইলারে দেখা যায়, দলনেতা হোমল্যান্ডার এবার তার দলের সদস্যদের আরও উগ্র হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে- এতদিন তারা মানুষের সামনে যে ভালো হিরো সেজে থাকতো তার অবসান হবে৷ এবার থেকে তারা গড হিসেবে নিজেদের প্রকাশ ঘটাবে৷ সেই সাথেই দলের একেকজন সদস্য ইচ্ছেমতো মানুষকে আঘাত করতে শুরু করে।

তাছাড়া আরও ট্রেইলারের আরও এক বিশেষ দৃশ্য নজরে পড়েছে৷ সুপার পাওয়ারড মানুষের পাশাপাশি এবার ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সুপার পাওয়ারড পশুপাখিও৷ একে একে মানুষ হত্যা করে চলেছে অবাধে৷

নতুন কিছু সুপার পাওয়ার সমৃদ্ধ চরিত্রকেও দেখা যায় ট্রেইলারে৷ একশন এবং থ্রিলারে পরিপূর্ণ সিরিজটির জন্য অপেক্ষা করে আছে দর্শক৷ একসঙ্গে এতগুলো সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে সিরিজের হিরো ‘দ্য বয়েজ’ দলের সদস্যদের৷ তারা কি পারবে একজোট হয়ে মানবজাতির রক্ষা করতে, জানতে হলে চোখ রাখতে হবে অ্যামাজন প্রাইমে৷

;

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদ হাসান (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর-প্রাগপুর সড়কের বাগোয়ান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ হাসান দৌলতপুর উপজেলার কোলদিয়াড় গ্রামের ক্লিকমোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি কোমল পানীয় (কোক,স্প্রাইট)'র ডেলিভারি ম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর-প্রাগপুর সড়কের বাগোয়ান নামক স্থানে হঠাৎ সড়কের ওপর উঠে আসা (বাথানের) গরুর পালকে সাইড দিতে গেলে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত (পটাং) টি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে যায়। এসময় পটাং এ থাকা দুই ডেলিভারিম্যান গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জাহিদ হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;