নওগাঁর ধামইরহাটে পানিতে ডুবে আবু রায়হান (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের বড় শিবপুর কাঁঠালবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রায়হান ওই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এতে এলাকাল ছোট ছোট ডোবা নালা দাড়া পানিতে ভরে যায়। দুপুরে প্রায় ৩০ ফুট চওড়া একটি দাড়া (বড় ড্রেন) বেয়ে পার হওয়ার সময় মানসিক ও মৃগী রোগী আবু রায়হান মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল মমিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চাকরীর নামে প্রতারণা ও চেক জালিয়াতি; প্রতারক গ্রেফতার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
|
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চেক জালিয়াতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্রতারক চক্রের হোতা মামুনুর রশীদ ফাত্তাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লোকজনকে পদস্থ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানে লোভনীয় বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিত ফাত্তাহ।
সোমবার (৩ মার্চ) সকালে গফরগাঁও থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকার শান্তিবাগের বাসা থেকে পলাতক এই প্রতারককে গ্রেফতার করে। পরে তাকে গফরগাঁও থানায় আনা হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দায়িত্বে থাকা প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমানে জনতা ব্যাংকের এমডি মজিবুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে মামুনুর রশীদ ফাত্তাহ (৪২) লোকজনকে বিভিন্ন ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরির নামে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর ও বাসস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে চলে যেতেন। পরিবারের লোকজনকে জানালেও তারা কেউ এই অপকর্মের দায়িত্ব নিতে চাইত না।
২০২১ সালে এক ভুক্তভোগী মামুনুর রশীদ ফাত্তাহর নামে চাকরি দেওয়ার নাম করে চেকের বিপরীতে টাকা নেওয়ায় ময়মনসিংহ অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করেন। লাপাত্তা আসামী ফাত্তাহকে সংশ্লিষ্ট চেক জালিয়াতি মামলায় ২০২৩ সালে আদালত ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার তাকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী নাহিদ আলম বলেন, আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পেয়েছি। পুলিশ প্রতারককে গ্রেফতার করলেও ফাত্তাহকে সাহায্যকারীরা বাইরে রয়ে গেল।
অপর ভুক্তভোগী মামুনুর রশীদ ফাত্তাহর আপন চাচাতো ভাই শেখ আলীম রেজা আপেল বলেন, আমার কাছ থেকে ইউসিবি ব্যাংকে চাকরী দিবে বলে সাত লাখ টাকা নেয় ফাত্তাহ। এবং ২০১৯ সালে আমাকে ইউসিবি ব্যাংকের এমডি স্বাক্ষরিত একটি এপয়েন্টমেন্ট কার্ড দেন। জয়েন করতে গেলে শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। আর টাকা চাইতে গেলে মিথ্যা মামলা ও হুমকি দিয়ে আসছে ফাত্তাহর বড় বোন হ্যাপিসহ পরিবারের লোকজন। আমি আইনি প্রক্রিয়ার এগুতে গেলেও ফাত্তাহ ও তার পরিবার তারা ক্ষমতা খাটিয়ে পুলিশকে প্রভাবিত করেন। আমি তার শাস্তি ও আমার টাকা ফেরত চাই।
দগফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, আসামি চেক জালিয়াতি মামলায় ময়মনসিংহ অর্থ ঋণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক ছিলেন। পুলিশ তাকে সোমবার ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলহাজতে পাঠায়। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ায় সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে যুবককে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
|
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
বগুড়ায় মোহন মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে কৌশলে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আহত মোহন মিয়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে বগুড়া শহরতলীর সাবগ্রাম এলাকায় এঘটনা ঘটে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোহন মিয়া বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পাইকপাড়ার নয়া মিয়ার ছেলে।
মোহন মিয়ার প্রতিবেশী রবিন জানান, একজন রিক্সা চালক মোহনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রবিন বলেন, আহত অবস্থায় মোহন তাকে জানায় সাবেক স্ত্রী খুকি বেগম কৌশলে দুপুরের দিকে মোবাইল ফোনে তাকে সাবগ্রাম হাটে ডাকে। মোহন সেখানে গেলে খুকি বেগমের সাথে আগে থেকে থাকা কয়েক যুবক উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ওসি বলেন, মোহন পুলিশের তালিকাভুক্ত চোর। তার সাবেক স্ত্রী খুকি বেগম তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনার পর থেকে খুকি বেগম পলাতক। প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের জের ধরে খুকি বেগম কৌশলে মোহনকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটায়। এঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি।
দুজন কর্মীর বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পেয়েছিল ২৯ মিলিয়ন ডলার, যার নামও কেউ শোনেনি, ট্রাম্পের তোলা এই অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।
অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের প্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরবর্তীতে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।
অনুসন্ধান থেকে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির (DOAG-Development Objective Assistance Agreement) মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।
শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।
এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।
চলতি মৌসুমেও পানি সরবরাহ নেই গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের খালে। এতে পানির অভাবে বোরো ধানের আবাদ করতে পারছেন না চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার হাজার হাজার কৃষক। দীর্ঘদিন পানি না থাকায় খাল শুকিয়ে ফাটল ধরেছে। বিভিন্ন অংশে পলি জমে তা এখন দৃশ্যমান। খালের পানি না পেয়ে অতিরিক্ত দামে তেল কিনে শ্যালোমেশিন দিয়ে বোরো ধান ও ভুট্টায় সেচ দেওয়া হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা পান্নি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পদ্মা নদীতে পলি জমে ও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের খালে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ভোড়ামার পাম্প হাউজ সূত্রে জানা যায়, ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বছরের ১০ মাস ২৪ ঘণ্টা তিনটি পাম্পের মাধ্যমে পদ্মা নদী থেকে পানি তোলা হয়। বাকি দুই মাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাম্প বন্ধ থাকে। এ পানি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এ বছর এখনো এসব খালে পানি সরবরাহ করা হয়নি। এতে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
মাটি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে
সরেজমিনে জিকে সেচ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ খাল এখন পানির অভাবে খা খা করছে, মাটি শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। খাল এখন তরুণদের খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। কেউ ব্যাট-বল হাতে আবার কেউ ফুটবল নিয়ে খালের মাঝে খেলছে। অনেকে আবার গরু-ছাগল চরাচ্ছেন। আর এ জিকে খালকে কেন্দ্র করে চাষ হওয়া ধান নিয়ে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা। তাদের বৈদ্যুতিক মোটর ও ডিজেল কিনে শ্যালোমেশিন দিয়ে চাষ করতে হচ্ছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী গ্রামের কৃষক ফুলচাঁন আলী বলেন, তিনি এ বছর ৮ বিঘা জমিতে ধানচাষ করেছেন। ধান রোপনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পানি পাননি। ধান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এক দিন পরপর ডিজেল কিনে শ্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বছরে ২০০ টাকা দিলে সারা বছর জিকে খালের পানি দিয়ে চাষ করা যায়। কিন্তু মেশিনে প্রতিদিনই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার তেল কিনতে হয়। এতে চাষে অনেক খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
হাউসপুর এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, জিকে খালে ঠিক মতো পানি না পাওয়ায় তিনি ধান চাষ থেকে সরে আসছেন। আগে তিনি ২০-২৫ বিঘা ধানচাষ করলেও এবার তিনি মাত্র ৫ বিঘা ধান লাগিয়েছেন। বাকি জমিতে ভুট্টা, তামাক লাগিয়েছেন। ধানে এক দিন পরপর পানি দেয়া লাগে, আর অন্য চাষে মাসে ২ বার সেচ দিলেই হয়ে যায়। এতে তার চাষে খরচ সাশ্রয় হয়।
একই এলাকার কৃষক শাহাজুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরে বছরে ঠিকই তো টাকা দিয়ে দিই, কিন্তু সময় মতো পানি পাই না। এভাবে চললে চাষ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। শ্যালোমেশিনেও পর্যাপ্ত পানি উঠছে না। সামনে চৈত্র-বৈশাখ মাসে খরায় পানি না পেলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আমরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভীন বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ হাজার ৯১০ হেক্টর জমি জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০ হেক্টর বোরো ধান চাষ হয়। এবার কৃষকরা ২১১ হেক্টর জমি বোরো থেকে ভুট্টা চাষ করছেন। আর বাকি যা আছে, আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। কৃষকদের বিকল্প সেচের জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি জিকে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, ওদের ইলেকট্রেশিয়ানদের কোনো একটা ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘট না ওঠা পর্যন্ত ওরা পানি দিতে পারবে না।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, জিকে সেচ প্রকল্পের কয়েকটা উইং আছে। আমাদের উইংয়ের সেচ খালগুলো মেরামত করছি। আর পানি যেখান থেকে আসবে, ভেড়ামারা পাম্প হাউজ, সেটা একটা আলাদা উইং। তারাও পাম্প মেরামত করছে। কানেক্টিং খাল যেটা, সেটা ড্রেনেজ করা হয়েছে। খুব দ্রুতই পাম্প চালু করা হবে।