ভাসানচরে রোহিঙ্গা বিক্ষোভের কারণ জানতে তদন্ত চান পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দুই সহকারী হাইকমিশনারের উপস্থিতির সময় গত সোমবার ভাসানচরে রোহিঙ্গারা কেন বিক্ষোভ করেন। কিন্তু তাদের বিক্ষোবের কারণ জানতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (০১ জুন) বিকেলে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ সফরে আসা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস ও রাউফ মাজুও গত সোমবার ভাসানচরে যান। এ সময় বিভিন্ন দাবিতে রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে সেখানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে বেশ কয়েকজন আহত হন। রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক ও দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সম্প্রতি বিদেশি কূটনীতিক এবং ওআইসির প্রতিনিধি দল ভাসানচরে গেছে। আমিও সেখানে গেছি। গতকাল যা ঘটেছে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত। তবে এটা যে একেবারে অস্বাভাবিক তা বলা যায় না। তারা যখন কক্সবাজারের সঙ্গে যখন তুলনা করেন, কিছু পার্থক্য তো দেখতেই পান। জীবিকার যে বিকল্প ছিল তা ভাসানচরে পুরোপুরি করা যায়নি। অন্যান্য যেসব কার্যক্রম যেমন, টুকটাক ব্যবসা বা জীবিকার উপাদান এখানে নেই। এসব কারণে তাদের মধ্যে কিছুটা অসহিষ্ণুতা আছে বলে মনে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ভাসানচরে যাচ্ছেন এটা রোহিঙ্গারা আগে থেকেই জানতেন। মাঝি হিসেবে পরিচিত রোহিঙ্গাদের নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের মতবিনিময়ের ব্যবস্থা ছিল। মাঝিদের ওপর হয়তো আস্থা না থাকায় রোহিঙ্গাদের অন্তত চার থেকে পাঁচশ সেখানে জড়ো হলে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন ছিল দুটি জায়গায়। ভাসানচর নিরাপদ কি না, আর রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে সেখানে স্বেচ্ছায় নেওয়া হয়েছে কি না। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য নিরাপদ। আর রোহিঙ্গারা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে এসেছেন।’