মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬২, আহত ৫৪৯

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মে মাসে দেশে ৪৪১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৪৯ জন। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয়, এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ২২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৭ জন।

এছাড়াও মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৬ জন। দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে নারী ৮৩ জন ও শিশু ৬৬ জন।

বিজ্ঞাপন

মে মাসে ৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন। ৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪ জন এবং এক জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪৪ জন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ বিভাগে। ২৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ২৭ জন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৩২টি দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম পঞ্চগড় জেলায়। ৩টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

ফাউন্ডেশন জানায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৭৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৫৮টি আঞ্চলিক সড়কে এবং ৬৩টি গ্রামীণ সড়কে হয়েছে। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৬৯টি।

দুর্ঘটনার জন্য দায়ী যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২৬.০৭ শতাংশ, মোটরসাইকেল ৩০.৬৩ শতাংশ এবং থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-মিশুক-স্কুটার) ১৮.৩৮ শতাংশ।

সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগ ঘটেছে সকালে। এসময় ৩১ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুরে প্রায় ১৮.৫৯ শতাংশ এবং বিকালে ২১ শতাংশের কিছু বেশি।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ১০টি কারণ তুলে ধরে ফাউন্ডেশন। এগুলোর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা এবং বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা অন্যতম।

দুর্ঘটনা এড়াতে ১০টি সুপারিশও করা হয়। এসবের মধ্যে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানানো হয়।