গোপন বৈঠকের সময় চুয়াডাঙ্গার জামায়াতের আমিরসহ ৯ জন আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪,কম
চুয়াডাঙ্গার জামায়াতের আমিরসহ ৯ জন আটক/ছবি: বার্তা২৪

চুয়াডাঙ্গার জামায়াতের আমিরসহ ৯ জন আটক/ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াত ইসলামির আমির আনোয়ার হক মালিক, সেক্রেটারি অ্যাড. রুহুল আমিনসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ অক্টাবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ এলাকার একটি বাসাতে গোপন বৈঠকের সময় পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

এ সময় ওই বাসা থেকে ৫টি বোমা, ২টি কম্পিউটার, ডিস্ক ও বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই পুস্তুক জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত অন্য ৭ জন হলেন- জেলা জামায়াতের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা কমিটির সূরা সদস্য কাওয়েম উদ্দীন হিরক, শরীফ উদ্দীন, জব্বার উর রহমান, জীবননগর উপজেলা শিবিরের সভাপতি মাহফুজ রহমান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির ও বাড়ি মালিক সুমন কবির।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/11/1539194461731.jpg

পুলিশ জানায়, রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ এলাকার একটি বাড়িতে ২০/২৫ জন গোপন বৈঠক করছে। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট রাত ৮টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করে। পুলিশী অভিযান টের পেয়ে বেশ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াত ইসলামির আমির আনোয়ার হক মালিক সেক্রেটারি অ্যাড. রুহুল আমিনসহ ৯ জন।

পরে পুলিশ দলটি বাড়িটির বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে ৫টি বোমা, ২টি কম্পিউটার,ডিস্ক, ও বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই পুস্তক। 

রাতে এক প্রেস বিফ্রিং এ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কলিমুল্লাহ জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরে বড় ধরণের নাশকতার ছক আঁকছিলো জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা। ওই বৈঠকে জামায়াত ইসলামি ও ছাত্র শিবিরের ২০/ ২৫ জন অংশগ্রহণ করে। কিন্তু পুলিশী অভিযান টের পেয়ে অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে এই ৯ জন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

   

কটিয়াদীতে বিজয়ী দুজনেই নতুন মুখ, একজন সাবেক



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন দুজন বিজয়ী হয়েছেন৷ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক একজন বিজয়ী হয়েছেন৷

মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফল দেওয়া হয়েছে রাত সাড়ে এগারোটায়।

এর আগে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় কোন অঘটন ছাড়াই শেষ হয় ভোটগ্রহণ৷ তাই কোন চাপ ছাড়াই ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্টরা স্বাভাবিক দিনপার করেছেন। খোশমেজাজে সময় কাটান নিয়জিত নিরাপত্তা কর্মীরা।

এতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন,মইনুজ্জামান অপু (ঘোড়া) ৪৪৩০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলী আকবর (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ১৯৮৮৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বদরুল আলম নাঈম (চশমা) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩০৫৮ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শিকদার (তালা) পেয়েছেন ২৯৪৫৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাথী বেগম (কলস) ৩৮৭৩৫ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রোকসানা।

কটিয়াদী সম্মেলন কক্ষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান৷

১০১ টি মোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১,৮৬ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৯.১১৪ জন। মহিলা ভোটার ১,৬৩,৫১২ জন।

;

জামালপুরে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, বকশিগঞ্জ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকে নজরুল ইসলাম সাত্তার উপজেলা ৫৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের চার বারের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

এই উপজেলায় মো: শাহজামাল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে ভাইস এবং জহুরা বেগম হাঁস প্রতীকে ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৭০৩ ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক সোলাইমান হোসেন ২৫ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে ইসলামপুর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট আব্দুস ছালাম।

৯৩ টি ভোট কেন্দ্রে ১৮ হাজার ২৫৫ টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পেয়ে পুনরায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল খালেক আখন্দ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকে ফারুক ইকবাল হিরো ৪ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ১২ হাজার ১২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবিদা সুলতানা যুথি ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের আঞ্জুমানয়ারা বেগম ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

;

চুয়াডাঙ্গার দুটি উপজেলাতেই নতুন মুখ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ভাস্তে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কে এম মঞ্জিলুর রহমান। ভোট গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুল হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ১৭২ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, পরপর তিনবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪১৯টি।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪০ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কে এম মঞ্জিলুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. জিল্লুর রহমান ২৬ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আইয়ুব হোসেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট, মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট ও মো. নুরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১৪ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৭ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ জন। উপজেলার মোট ৯৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এখানে মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৫ জন। উপজেলার মোট ১১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ উপজেলায় মোট ভোট প্রদত্ত হয়েছে ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

;

গৌরীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী সোমনাথ সাহা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৩.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সোমনাথ সাহা আনারস প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খান দোয়াত কলম প্রতীকে ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোহেল রানা পালকী প্রতীকে ৪২ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জহিরুল হুদা চশমা প্রতীকে ২৯ হাজার ২৩ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিলুফা ইয়াসমিন হাঁস প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সালমা আক্তার প্রজাপতি প্রতীকে ২১ হাজার ৯৩৩ ভোট পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহমেদ বেসরকারি ভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৫টি ভোট কেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

উপজেলায় মোট ভোট ২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫৯ ভোট। নির্বাচনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৫ ভোট। বৈধ ভোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৬২ টি। বাতিল ভোট ২ হাজার ৭৯৩ টি। প্রদত্ত ভোটের হার ৪১.৩৮%।

;