টিকার অনিশ্চয়তায় অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে: জিএম কাদের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস রোধে একমাত্র কার্যকরী উপায় অধিকহারে টিকা প্রদান। টিকা প্রাপ্তি ও টিকা প্রদান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)।

তিনি বলেন, একটি মাত্র কোম্পানির সাথে চুক্তি করার কারণে পরবর্তিতে তারা যখন টিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তখন আমাদের হাতের সামনে বিকল্প ছিল না। এখন টিকা নিয়ে খুবই অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। টিকা কোথা থেকে কার কাছ থেকে আসবে শুধু আশার বানী শুনতে পাচ্ছি। নিশ্চিতভাবে আসবে এমন কথা জানি না। সময়মতো টিকা না আনতে পারলে জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে।

সোমবার (৭ জুন) সকালে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতা এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

জিএম কাদের বলেন, দেড় বছরের বেশি হয়ে গেল করোনাকাল অতিক্রম করছি। করোনার মধ্যে দেশ এবং সারাবিশ্ব বিভীষিকাময় জীবন কাটছে। বিভিন্ন দেশে অনামিষার অন্ধকার থেকে রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, উন্নত বিশ্বে টিকা আবিষ্কার হয়েছে। টিকা আবিষ্কার হওয়ার পর তারা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পর অর্থনীতিকে কর্মকাণ্ড গুলো খুলে দিচ্ছে আস্তে আস্তে। এক সঙ্গে জীবন যেমন রক্ষা করছে টিকার কারণে টিকা বেশি দিয়ে সমাজকে আবার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। উন্নত দেশগুলো সফল হচ্ছে।

তিনি বলেন, টিকা দিয়ে শুধু জীবন নয়, জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী প্রতি মাসে ২৫ লাখ করে টিকা প্রদান করা হবে। তার মানে ১৮ কোটি জনসংখ্যা যদি হয় তাহলে ৮০ ভাগ লোক হবে ১৫ কোটি জনসংখ্যা। হিসেব অনুযায়ী একটি ডোজ করে দিতে ৫ বছর সময় লাগবে। আর দুটি ডোজ দিলে ১০ বছরের কাছাকাছি সময় লাগবে। ১০ বছর সময় ধরে হার্ড ইমিউনিটি জনশক্তি ধারণ করার মতো জনশক্তিকে টিকা দেওয়া হয় তাহলে এই দশ বছর দেশের অর্থনীতির কি অবস্থা হবে। জীবন ও জীবিকার কি অবস্থা হবে?

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত টিকা কোথা থেকে কতটুক পাব? কখন পাব? এটা কেউ জানি না। কিছু কিছু জায়গা থেকে পাচ্ছি। আমাদের বন্ধু দেশগুলো উপহার দিয়েছে সেই টিকা দিয়ে চলছি। একটি মাত্র কোম্পানির সাথে চুক্তি করার কারণে পরবর্তিতে তারা যখন টিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তখন আমাদের হাতের সামনে বিকল্প ছিল না। এখন টিকা নিয়ে খুবই অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। টিকা দেওয়া হবে ২৫ লাখ কোথা থেকে কার কাছ থেকে আসবে সেটা নিশ্চিত করা হয়নি। শুধু আশার বানী শুনতে পাচ্ছি, নিশ্চিতভাবে আসবে এসব কথা জানি না। টিকার অনিশ্চয়তা দূর করতে না পারলে জীবন জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে।

সম্পূরক বাজেট নিয়ে বলেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে বরাদ্দ ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ১৯ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ১৩ লাখ ৯৮৭ দশমকি ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর দিকে ৪৩ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ৪২ হাজার ৪৮১ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ২৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে নীট ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮৩ কোটি টাকা। এটাকে নেতিবাচক বলা যায় না।

তিনি আরো বলেন, বরাদ্দের চাইতে কম খরচও যেমন অস্বাভাবিক। বরাদ্দের চাইতে বেশি খরচ সেটাও অস্বাভাবিক। খরচ করতে না পারা অদক্ষতা সেখানে যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিষয়টা দেখা উচিত।

   

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;