ময়মনসিংহের শতবর্ষী পুস্তিকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব



ড. রূপকুমার বর্মণ
শতবর্ষ আগের গ্রন্থ

শতবর্ষ আগের গ্রন্থ

  • Font increase
  • Font Decrease

সভ্যতার পথচলায়, সাংস্কৃতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক পরিক্রমায় এবং মনন ও সৃজনের ইতিহাসে লেখক ও পাঠকের পারস্পরিক সম্পর্ক এতটাই গভীর যে একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনের কথা চিন্তাই করা যায় না। প্রজন্মান্তরের পাঠকই স্থির করেন লেখার গুণগত মান।

গল্প, কবিতা, উপন্যাস, কাব্য, মহাকাব্য বা গবেষণামূলক প্রবন্ধের গ্রহণযোগ্যতা ও তাদের স্থায়িত্ব অনেকটাই নির্ভর করে প্রচার ও পাঠকের উপর। বিজ্ঞাপনের মাহাত্ম্য থাকলেও উপভোক্তা হিসাবে লেখকের গ্রহণযোগ্যতা পাঠকের মননশীলতার উর্দ্ধে উঠতে পারেনা। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে নোবেলজয়ী আমেরিকান সাহিত্যিক উইলিয়াম ফকনারের (William Faulkner: ১৮৯৭-১৯৬২) কথা। তিনি একবার বলেছিলেন:

“Read, read and read. Read everything----trash, classics, good and bad, and see how they do it. Just like a carpenter who works as an apprentice and studies the master. Read! You will absorb it.”

হ্যাঁ, পাঠকেই সব পড়েন---- কাগজের ঠোঙ্গা থেকে ক্লাসিক। ভাল, মন্দ, ছোট, বড়, রসাত্মক, ব্যঙ্গাত্মক, শ্লীল, অশ্লীল, ভাববাদী, স্থুলবাদী, বেদনাদায়ক বা হাস্যরসাত্মক----সবধরণের লেখারই অসংখ্য পাঠক আছেন। পাঠকের জন্যই ভাল সৃষ্টিগুলোর পাঠ যুগযুগ ধরে চলতে থাকে। পাঠকের অভাবেই অনেক লেখাই চলে যায় বিস্মৃতির গভীর সমুদ্রে। নিজের তাগিদে পাঠকই আবার সেগুলোকে ফিরিয়ে আনেন।

স্বাভাবতই কোন একজন সুলেখক বা চিন্তাবিদ তাঁর অর্ন্তদৃষ্টি দিয়ে তাঁর সমকালীন সমাজের ঘটনাবলী,  জীবন-দর্শন ও সংস্কৃতির যে ধারাকে তাঁর সুচিন্তিত মতামত দিয়ে পৃষ্ঠাবদ্ধ করে নেন, বহু বছর পর পাঠক যখন সেই মুদ্রিত পাতায় চোখ রাখেন পৃষ্ঠাবদ্ধ সেই ধারা পুনরায় বইতে শুরু করে। এই পুনর্পাঠ অবশ্য পাঠকের সমকালীন ভাবনা ও বিচারের দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা প্রভাবিত হয় (তা সে ধর্মগ্রন্থ, ক্লাসিক, আত্মজীবনী বা রম্যরচনা যাই হউক না কেন)। অর্থাৎ কোন গ্রন্থের শতবর্ষ পড়ে তার পুনর্পাঠ শতবর্ষ পুরানো পৃষ্ঠাবদ্ধ ধারাকে যেমন খুলে দেয় তেমনি নতুন পাঠকের সমকালীন ভাবনায় তাকে প্রানবন্ত করে তোলে।

এই বিষয়টি উপলব্ধি করার জন্য ১৯১৪ সালে (তৎকালীন অখণ্ড বাংলার) ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত একটি ক্ষুদ্র পুস্তিকার পুনর্পাঠের উপলদ্ধি তুলে ধরা যেতে পারে। ময়মনসিংহের সেন ব্রার্দাস প্রেসে মুদ্রিত এই পুস্তিকার নাম ‘দ্বিতীয়বর্ণ (ক্ষত্রিয়) বা ঝালমাল তত্ত্ব’। লেখক ময়মনসিংহের ছত্রপুরের শ্রীমহেন্দ্রনাথ মল্লবর্মণ। এর প্রকাশক ছিলেন ময়মনসিংহ জেলারই আচারগ্রামের (বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সংলগ্ন নান্দাইল উপজেলাধীন) দীননাথ মল্লবর্মণ।

‘ঝালমাল তত্ত্ব’ রচিত হয়েছিল পূর্ব ও মধ্যবাংলার মৎস্যজীবীদের সম্মানজনক সামাজিক পরিচিতি নির্মাণের জন্য। ইতিহাসের দিকে লক্ষ রাখলে দেখা যাবে যে, প্রাচীনকাল থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার ‘জাত-বর্ণ ব্যবস্থায়’ মৎস্যজীবীদের অন্তজঃ হিসাবে দেখা হতো। বিশ শতকের গোড়াতেও বাংলার মৎস্যজীবীরা জাত-ব্যবস্থার অভিশাপে জর্জরিত ছিলেন। তাঁরা বাঙালীদের প্রিয় খাদ্য মাছের যোগানদার হলেও উচ্চবর্ণীয়/উচ্চবর্গীয় মানুষেরা তাঁদের জাতিগত পেশাকে (মাছ ধরা/ বিক্রি করা) সম্মানের চোখে দেখতেন না।

মহেন্দ্রনাথ মল্লবর্মণ তাঁর স্বজাতিবর্গের (ব্রজনাথ ঝল্লবর্মণ, অনন্ত চন্দ্র ঝল্লবর্মণ, দীননাথ মল্লবর্মণ, হৃদয়নাথ হালদার, আনন্দ চন্দ্র মল্লবর্মণ এবং আরও অনেকের) উৎসাহে মৎস্যজীবীদের ক্ষত্রিয় পরিচিতি নির্মাণে প্রায়াসী হয়েছিলেন। তারই ফলশ্রুতি হল ‘ঝলমাল তত্ত্ব’।

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, ঊনিশ শতকের শেষ লগ্নে ও বিশ শতকের সূচনাপর্বে ঔপনিবেশিক বাংলার বেশ কয়েকটি নিম্নবর্ণীয় জাতি [যেমন পৌন্ড্র, রাজবংশী, নমঃশূদ্র, ভুঁইমালী, মালো, শুঁড়ি, বাগদি, বাউড়ি, ধোবা, গোপ, ইত্যাদি] সম্মানজনক জাতি পরিচিতি নির্মাণে জন্য সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছিল। তৎকালীন বাংলার ক্ষত্রিয় আন্দোলনকারী বিভিন্ন জাতির মধ্যে ‘জাতি বিষয়ক’ গ্রন্থ প্রকাশের একটি সুনির্দিষ্ট ধারাও তৈরি হয়েছিল। পৌন্ড্র জাতির শ্রীমন্ত নস্করের (১৮৬৩-১৯০৭) ‘জাতিচন্দ্রিকা’ (১৮৮৭) প্রকাশের মধ্য দিয়ে এর সূচনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে বেণীমাধব হালদারের (১৮৫৮-১৯২৩) ‘জাতিবিবেক’ (১৮৯৩), মহেন্দ্রনাথ করনের (১৮৮৬-১৯২৮) ‘A Short History and Ethnology of the Cultivating Pods’ (১৯১৯), ও হরকিশোর অধিকারীর ‘রাজবংশী কুলপ্রদীপ’ (১৯০৮) এই ধারাকে সমৃদ্ধ করেছিল। এই ধারারই অন্যতম সংযোজন হিসাবে মহেন্দ্রনাথের ‘ঝলমাল তত্ত্ব’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯১৪ সালে।

‘ঝলমাল তত্ত্বে’  মহেন্দ্রনাথ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কেন ও কিভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজস্থানের মল্লগড় ও ঝালোয়ারা রাজ্য থেকে মল্লক্ষত্রিয়রা ভারতের দক্ষিণের মালাবার উপকূল (ওয়াস্টার্ন ঘাট) ও বঙ্গোপসাগর (ইস্টার্ন ঘাট) হয়ে বাংলায় এসেছিলেন। তাঁর মতে ক্ষত্রিয় জাতির বংশধর বাংলার মল্লক্ষত্রিয়রা মাছধরাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন, যা কোনোভাবেই নিন্দনীয় হতে পারে না। মাছের মূল যোগানদাতারূপে তাঁদেরকে হেয় চোখে দেখা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক। তাঁর মতে প্রয়োজনের তাগিদে জাতিগত পেশাকে পরিত্যাগ করে অন্য পেশা গ্রহণ করা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। ব্রাহ্মণেরা পুরুষানুক্রমে চালিয়ে যাওয়া পৌরহিত্যের পেশা পরিত্যাগ করে অন্যান্য পেশা গ্রহণ করে ধনবান হচ্ছেন তাতে তাঁদের জাত নষ্ট হচ্ছে না। তাহলে বর্ণব্যবস্থার অন্যান্য বর্ণের মানুষেরা তাঁদের বর্ণগত পেশা ত্যাগ করলে তাঁদের কি জাতি পরিচয় নষ্ট হয়ে যাবে? ঝালমাল তত্ত্বের এই অনুসন্ধিৎসা নিঃসন্দেহে একটি মৌলিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল, যা আজও প্রাসঙ্গিক।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, ঝালমাল তত্ত্ব জাতি বিষয়ক অন্যান্য পুস্তকের মতোই সাধারণ একটি পদক্ষেপ মাত্র। কিন্তু একটু অন্য দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যাবে যে, এই পুস্তিকাটি তার সমকালীন সমগোত্রীয় পুস্তকগুলো থেকে অনেকটাই আলাদা। বেদে বর্ণিত ‘প্রকৃতি পুরুষের’ বিভিন্ন অঙ্গ থেকে বর্ণব্যবস্থা উৎপত্তি নিয়ে বহুচর্চিত শ্লোকটির মহেন্দ্রনাথ নতুন একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে প্রকৃতি পুরুষ কোন একজন ব্যাক্তি নন (যা প্রথাগত ব্যাখ্যায় লক্ষ্য করা যায়)। তিনি হলেন সমগ্র মানব গোষ্ঠীর সমাহার। তাঁর মতে ‘মানুষের জন্ম কারোর মুখ, বাহু, ঊরূ ও পদ থেকে হয় নি। পূর্বে কোন জাতি বা বর্ণ বিভাগ ছিল না। সকল মানুষই একজাতি বা এক বর্ণ ছিল। এরপর বহুদিন পরে কাজের সুবিধার একই মানবমন্ডলী গুণ ও কর্মানুসারে  ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র এই চারিভাগে বিভক্ত হয়।’ ভারত ও বাংলাদেশে মার্কসবাদী ও বস্তুবাদী ইতিহাসচর্চার সূচনার বহুপূর্বে ময়মনসিংহের ছত্রপুরে বসে মহেন্দ্রনাথ জাত-বর্ণব্যবস্থার যে বস্তুবাদী ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাকে এককথায় বৈপ্লবিক বলা যায়। শুধু তাই নয়, প্রাচীন ও ধ্রুপদী গ্রিক নগর রাষ্ট্রের উন্নত ব্যবস্থায় গুণ ও কর্মবিভাজনের ভিত্তিতে মহামতি প্লেটো মানবসমাজের যে শ্রেণিকরণ করেছিলেন, শতবর্ষ আগে মহেন্দ্রনাথের বিশ্লেষণে তারও প্রতিধ্বনি শুনত পাওয়া যায়।

ধর্মীয় ও সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক বিন্যাসের চলমান  বাস্তবতার নিরিখে প্রণীত  ‘ঝালমাল তত্ত্ব’ একই পেশায় যুক্ত ভিন্ন ভিন্ন জাতির প্রতি বৈষম্যমূলক সামাজিক রীতিনীতির সমালোচনা করেছে। মহেন্দ্রনাথ লিখেছেন, মৎস্যজীবী গোষ্ঠীগুলো মাছ ধরে বিক্রি করে বলে তাঁদেরকে অপাংক্তেয় করে রাখা হয়েছে। অথচ উচ্চবর্ণীয়/উচ্চবর্গীয়রা মাছের ব্যবসায় যুক্ত হলেও তাঁরা সামাজিক বঞ্চনার শিকার হন না। তাঁর ভাষায়: “বর্তমান কালেও দেখিতে পাওয়া যায়, হোটেল ওয়ালা ব্রাহ্মণ, কায়েস্থ হোটেলে রান্না করিয়া পর্য্যন্ত মৎস্য মাংস বিক্রয় করিয়া থাকে। রেলগাড়ি বা জাহাজ হইতে নামিলেই তন্নিকটবর্তী হোটেলওয়ালা ব্রাহ্মণ মহোদয় দৌড়ে এসে বলে, ‘আমার হোটেলে চলুন, ডাল মাছ সকলই পাবেন। যদি ডাল ভাত খান, তবে বার পয়সা, - আর মাছ ভাত খাইলে চারি আনা।’ – এই সব মহাশয়গন কি মৎস্য বিক্রয়ী নয়?”

ঝালমাল তত্ত্বের এই প্রশ্নটি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় দলিত প্রতর্কের মূল যুক্তির সঙ্গে। লক্ষ করার বিষয় হল যে, বিশ শতকের শেষ ও একুশ শতকের গোড়ায় মহারাষ্ট্রের ‘দলিত প্যান্থারপন্থী’ নামদেও দাসাল থেকে শুরু করে হিন্দি সাহিত্য জগতের ড. তুলসীরাম ও ওমপ্রকাশ বাল্মিকীর সঙ্গে বাংলাদেশের অধ্যাপক হরিশংকর জলদাস ‘দলিত সাহিত্যের’ মাধ্যমে সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার সাহস দেখিয়েছেন। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যতীন বালা,  মনোহর মৌলি বিশ্বাস, কাল্যানি ঠাকুর চাঁড়াল ও মনোরঞ্জন ব্যাপারী আত্মজীবনী রচনার মাধ্যমে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে লিপিবদ্ধ করে চলেছেন। কিন্তু তার বহুপূর্বে ময়মনসিংহের মহেন্দ্রনাথ মল্লবর্মণ সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। স্বভাবিকভাবেই বলা যায় যে শতবর্ষ পূর্বে প্রকাশিত ঝালমাল তত্ত্ব সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করেছিল যা তার পুনর্পাঠকে প্রাসঙ্গিক করে তোলে। তাছাড়া সম্প্রতি যে ৫০টি সম্প্রদায়কে ‘দলিত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে (২০১৭) তাঁদের ইতিহাস জানার জন্যও মহেন্দ্রনাথের এই পুস্তিকাটির গুরুত্ব অপরিসীম। তদুপরি সমকালীন ভাবনার আলোক সমাজ, মানুষ, ও জাতি, প্রকৃতি বিষয়ক মৌলিক-ঐতিহাসিক প্রকাশনা/গ্রন্থ/রচনারই পুনর্পাঠ ও সমকালের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ/মূল্যায়ন একান্তভাবে জরুরী।

ড. রূপ কুমার বর্মণ, কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও আম্বেদকর চর্চা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ।

   

চট্টগ্রামে ১২ মেট্রিক টন বিটুমিনসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ মেট্রিক টন চোরাই বিটুমিনসহ চক্রের ২ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) র‌্যব-৭ পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকায় একটি গোডাউনে অবৈধ উপায়ে ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে চোরাই বিটুমিন মজুদ করছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার র‌্যাব সাতের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাব আসামি সুমন চন্দ্র দে (৩৮) ও মোঃ আব্দুল্লাহ আজিজকে (৪০) আটক করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে বিটুমিন সংরক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে আসছে তারা। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিটুমিন পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত চোরাই বিটুমিনের আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা বলে জানায় র‌্যাব।

;

বর্জ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় নিহতের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুগদায় করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় নিহত স্কুল শিক্ষার্থী মাহিন আহমেদের পরিবারের পাশে থাকার এবং এ দুর্ঘটনায় দোষী সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মাহিন আহমেদের পরিবারকে সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাতে নিহতের বাড়িতে যান। পরে তিনি গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক নয়টার সময় মুগদার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র হতে বর্জ্য স্থানান্তরকালে করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়িতে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ছোট্ট বালক মাহিন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় আমরা অত্যন্ত শোকাহত। আমরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেছি। ছোট্ট শিশু হারানোর ঘটনায় বাবা-মাকে কোন ভাষাতেই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। আমরা নিহতের পরিবারের পাশে থাকব।

এ দুর্ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এ দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি চাইছি। এই দুর্ঘটনায় যেন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু বিচার হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, আমাদের নির্ধারিত গাড়িচালক গাড়ি না চালিয়ে অন্যকে দিয়ে ভাড়া খাটিয়ে গাড়িটি চালানো হচ্ছিল। আমরা এ ধরনের অনিয়ম কোনভাবে বরদাশত করবো না। এ ঘটনায় কঠোরতর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ রকম কার্যক্রমে যারা জড়িত তাদের সকলের বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের ঘটনায় আগেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। জড়িতদের চাকুরিচ্যুত করেছি, ছাটাই করেছি। আবার অনেক নতুন নিয়মিত গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। ফলে বিগত ২ বছর করপোরেশনের গাড়ি দ্বারা কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটেনি। গতকালের এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা আমাদেরকে অত্যন্ত শোকাহত করে তুলেছে। এবারও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো। যাতে করে এ ধরনের দুর্ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাকসুদা শমশের প্রমুখসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে আগামী ৯ মে পর্যন্ত সকল পরীক্ষা ও একাডেকিম কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া জরুরি সিন্ডিকেট সভায় শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা আগামী ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং ১২ মে থেকে যথারীতি চালু হবে।

এতে আরও বলা হয়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের বিষয়টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট না করার শর্তে হলে অবস্থান করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চুয়েটের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ৯ মে পর্যন্ত সকল পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকব। ১২ মে থেকে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হবে। দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যদিও বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রোর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা চিঠিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে এদিন রাতে প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।

এর আগে, গত সোমবার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। ওইদিন আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে মাঠে নামেন। আন্দোলন চলার সময় শিক্ষার্থীরা বাসেও আগুন দেন।

;

চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাইফুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বগা গ্রেফতার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার আলোচিত সন্ত্রাসী সাইফুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডখ্যাত দেলোয়ার হোসেন ওরফে বগাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার পশ্চিম আমিলাইশ এলাকা থেকে এই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।

বগার বিরুদ্ধে সাতকানিয়ার কাঞ্চনা গ্রামে ডাকাতি করতে গিয়ে শিশু হত্যা, অপহরণ, ইয়াবা, ছিনতাই, ডাকাতি ও সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় সাতকানিয়ার সাবেক এমপির স্ত্রী-শ্যালকের ওপর হামলাসহ কমপক্ষে ১০টি মামলা রয়েছে।

বগাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার। তিনি বলেন, ইয়াবা মামলায় বগাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাতকানিয়া ও বাকলিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

৩ মাসে বগার নেতৃত্বে ২২ হামলা:

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে সাইফুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বগা। গত তিনমাসে সাতকানিয়ার চরতি-আমিলাইশ এলাকায় অন্তত ২২টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে এই সাইফুল বাহিনী। এরমধ্যে কমপক্ষে ১০টি ঘটনায় থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাকিরা ভয়ে মুখ খোলেননি।

নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যেতেই নির্বাচনের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় সাইফুল বাহিনীর অত্যাচার। দক্ষিণ চরতিতে নৌকার সমর্থকদের বাড়ি-ঘর ও দোকানে হামলা ও লুটপাট চালায় সাইফুল বাহিনী। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য ইলিয়াছ শাহীনের ফার্মাসি ও কৃষক লীগ নেতা ফারুকের বাড়ি ও ডেকোরেশনের দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়।

নির্বাচনের পরের দিন সোমবার খতিরহাট এলাকায় নৌকা সমর্থক জিল্লুর রহমানকেও মারধর করে সাইফুল বাহিনী। নির্বাচনের আগের দিন শনিবার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আমিন কে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী সাইফুলের বড় ভাই জসিম উদ্দিন।

এছাড়া নির্বাচনের পর ৫ ফেব্রুয়ারি চরতি ইউনিয়ন পরিষদ কার্য়ালয়ে ঢুকে বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে মারধর করে সাইফুল বাহিনী। পরে দক্ষিণ চরতি এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে পরিবারসহ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে সাইফুল বাহিনী। নির্বাচনের পর থেকে এখনো ঘর ছাড়া নুর মোহাম্মদের পরিবার। চরতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাইনুদ্দিনকে অপহরণ করে মারধর দক্ষিণ চরতির আরাফাত সিকদারকে মারধর করে এই সাইফুল বাহিনী।

নির্বাচনের আগে ২১ ডিসেম্বর দক্ষিণ চরতি কাটাখালী ব্রিজের পাশে নৌকার পথ সভায় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালায় সাইফুল ও তার বাহিনী। এই সময় নৌকা সমর্থক চরতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল্লাহ চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, মিছদাকুল বেসারত চৌধুরী, মোহাম্মদ রফিক, রবিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফয়সালসহ কমপক্ষে ৮-১০ জন আহত হন।

এর দুইদিন আগে ১৯ ডিসেম্বরও নৌকার পথসভা শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য ইলিয়াছ শাহীনকে মারধর করে সাইফুল বাহিনী। ওইদিনও ইলিয়াছ শাহীনের ফার্মাসি ও কৃষক লীগ নেতা ফারুককে বাড়ি-দোকানে হামলার ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নুর হোসেন কেও মারধর করে সাইফুল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এমন কোনো দিন নেই যে- সন্ত্রাসী সাইফুল ও তার বাহিনী দ্বারা এলাকার মানুষের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী সাইফুল কোনো পদ পদবিতে না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্য়াক্রম চালিয়ে আসছেন। এতদিন পর্যন্ত সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় তার পরিচিতি ছিল। গত বছর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে তখন থেকে এম এ মোতালেবের দিকে ভিড়েন সাইফুল মেম্বার। মোতালেব দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে তারপর থেকে আরো হিংস্র হয়ে উঠেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালে সন্ত্রাসী সাইফুল বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভিটে-মাটি ছেড়ে যায় দক্ষিণ চরতির ১০ পরিবার। নারী ও শিশুসহ এসব পরিবারের প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকজন দীর্ঘ এক বছর নিজেদের ভিটে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর উদ্ভাস্তুর মতো দিনযাপন করে। বাড়ি-ভিটে ফিরে পেতে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন উদ্ভাস্তু পরিবারসহ এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন।

সাইফুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার হিসেবে এসব মারধর ও হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (বগা)। ইতোমধ্যে দুই-তিন বার জেলেও গিয়েছে এই ইয়াবা ব্যবসায়ী। সাতকানিয়ার পশ্চিম অঞ্চল (চরতি, আমিলাইশ, কাঞ্চনা, এওচিয়া ও নলুয়া) সহ চন্দনাইশের বৈলতলী, আনোয়ারার হাইলধর ও বাঁশখালীর পুকুরিয়া অঞ্চলের অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে সাইফুল ও তার বাহিনী। এছাড়া রয়েছে খাল ও সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহাড় কেটে মাটি ব্যবসা।

সাইফুল বাহিনীর অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।

 

;