শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয়
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নত করার জন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তিনি বলেন, পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখতে এবং জীবনধারণের অতিপ্রয়োজনীয় অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
রোববার (১৩ জুন) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ঈদগাহবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঈদগাহবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও তালিমপুর বাহারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মহামারীর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন কালে এর গুনগতমান বজায় রাখতে তিনি উপস্থিত ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্ত্রী বলেন, সকল ক্ষেত্রে সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরেও দেশ বিরোধীরা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এসকল দেশদ্রোহী ও ভণ্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
উদবোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজিম উদ্দিন সরদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর প্রমুখ।
অনুষ্ঠনের পর মন্ত্রী ঈদগাহবাজার-মালিশ্রী-মাইজমজুরী-রাস্তা উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জুড়ী উপজেলার জুড়ী-ফুলতলা (বটুলী) রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।
‘মুসলিমদের একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখবে’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয়
মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৩ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুরের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের অকুন্ঠ সমর্থনের কথা তাকে অবহিত করেন।
ফিলিস্তিনি সাধারণ জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে নিরসনের লক্ষ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন।
পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসি’তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, গাম্বিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নাইজেরিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অণুবিভাগের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
‘রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টকে’ আরও কার্যকর করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয়
গণমাধ্যম যাতে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টকে আরো কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্পাদক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘রাইট টু ইনফরমেশন আইনের' প্রতি আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। গণমাধ্যম যাতে রাইট টু ইনফরমেশন এ্যাক্টকে আরো কার্যকরীভাবে ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। রাইট টু ইনফরমেশন এ্যাক্ট-এর অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠান তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকব। এধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে অরিয়েন্টেশন করবো।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে যে সকল সাংবাদিকরা তুলে ধরে তারা আমাদের বন্ধু। যে রিপোর্টাররা সকল তথ্য উপাত্ত দিয়ে পরিবেশ নিয়ে রিপোর্ট করবে তাদেরকে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট করা হবে।
এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ফরিদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ।
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস কী, কীভাবে সে দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতো এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবি প্রধান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এদিন রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।
ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ, গ্রেফতার ৮
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয়
ফ্ল্যাটের মালিকানার ভুয়া তথ্য ও জাল এনআইডি এবং টিন নম্বর তৈরি করতেন জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস। পরে এসব ব্যবহার করে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তৈরি করা হতো ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল। পরে এসব ভুয়া দলিল বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে মোটা অংকের টাকা লোন নিতো ইদ্রিস। ইদ্রিস ও তার চক্রের সদস্যরা ভুয়া সব দলিল ও কাগজপত্র দিয়ে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা লোন নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস ও তার সহযোগীরা মিলে দীর্ঘদিন ধরে জালিয়াতি করে আসছিলো।
পরে সুর্নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই জালিয়াতি চক্রের তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সংঘবদ্ধ ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
চক্রের গ্রেফতার বাকি সদস্যরা হলেন- ইদ্রিসের প্রধান সহযোগী মো. রাকিব হোসেন (৩৩), এ চক্রের সদস্য জয়নালের ভায়রা ভাই কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মো. লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান মিঠু (৩০), এনআরবিসির ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)।
এর আগে এই চক্রের ৪ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সীলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক এনআইডি ও টিন নম্বর, ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ নগদ ৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সম্প্রতি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট গোপন সূত্রে জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যদের সক্রিয় সহযোগীতায় চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় এনআইডি ও টিন তৈরি করে আসছে। পরবর্তীতে এই এনআইডি ও টিন ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করতো। পরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব জাল দলিল দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক লোন গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতা জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস। তার সংবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্যরা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হন। ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করেন। ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেওয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে তৈরি করেন জাল দলিল। জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হন আবার কখনো চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মালিক বানান। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে পাতেন ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ। ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকাও নেন জয়নাল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করে। এভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট ফ্ল্যাটের দলিলের দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, জয়নাল আবেদীন ইদ্রিসের নেতৃতাধীন এ ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে জাল দলিলের মাধ্যমে পথে বসিয়েছে বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছে নিঃস্ব। সিআইডির অনুসন্ধানে ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ'র অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নাল আবেদীন ইদ্রিসের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ, ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডি।
সিআইডি প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এ ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ চক্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধুকর্মকর্তা ও দালাল, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসাধু ব্যাংকার জড়িত।
তিনি বলেন, এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস রাজধানীর মিরপুরে কোঅপারেটিভ মার্কেটের একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরবর্তীতে জয়নাল আবেদীন ও শহিদুল ইসলাম সবুজ মিলে ফ্ল্যাট জালিয়াতি শুরু করেন। এ চক্রের সাথে জড়িত হয়ে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান জয়নাল। তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা। প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি সক্রিয় এনআইডি ব্যবহার করেন। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির অধিক হিসাব খুলেন। জয়নাল ফ্ল্যাটের মালিকানার দলিলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এ অবৈধ অর্থে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধার আবাসিক এলাকায় ৭ তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কিনেন।