সেনাপ্রধানকে নিয়ে ভুল বক্তব্য দেওয়ায় দুঃখপ্রকাশ ডা. জাফরুল্লাহর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

  • Font increase
  • Font Decrease

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এম এ আজিজকে নিয়ে ভুল বক্তব্য প্রদান করায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, জেনারেল আজিজের সন্মানহানি করার কোনো চিন্তা বা উদ্দেশ্য আমার ছিল না। ভুল বক্তব্য ও শব্দ বিভ্রাটের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি বেসরকারি সময় টেলিভিশনের এক টকশোতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার বক্তব্যে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।  ডা. জাফরুল্লাহর সেই মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অসত্য ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করে প্রতিবাদপত্র পাঠায় সেনা সদর দফতর।

এর প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন,‌ 'সময় টেলিভিশনের টকশোতে আলোচনাকালে আমি দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এম এ আজিজ সম্পর্কে অসাবধানতাবশত একটি ভুল তথ্য উল্লেখ করেছিলাম। জেনারেল আজিজ একজন দক্ষ আর্টিলারি সেনা কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের 'জিওসি' ছিলেন না, 'কমান্ডেন্ট' ও ছিলেন না। তিনি তার কর্মজীবনের এক সময়ে চট্টগ্রাম সেনাছাউনিতে আর্টিলারি প্রশিক্ষক ছিলেন।'

তিনি আরও বলেন, 'তার বিরুদ্ধে 'কোর্ট মার্শাল' হয়নি, একবার 'কোর্ট অব এনকোয়ারি' হয়েছিল। ভুল বক্তব্য ও শব্দ বিভ্রাটের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।'

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, 'সেনাবাহিনী বা জেনারেল আজিজের সন্মানহানি করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না এবং এরূপ কোনো অভিপ্রায়ও আমার নেই। আমাদের সেনাবাহিনীর গৌরবে আমি গর্বিত।

দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, 'জেনারেল আজিজের সন্মানহানি করার কোনো চিন্তা বা উদ্দেশ্য আমার ছিল না। জেনারেল আজিজকে আমি অসাবধানতাবশত কোনো মনোকষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্য আমি পুনরায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।'

 

   

‘মহাসুখের অট্টালিকা’ নির্মাণে শ্রমিকের মৃত্যু, আপসেই শেষ!



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা সাহিত্যের পঞ্চকবি খ্যাত গীতিকার ও কবি রজনীকান্ত সেনের রচিত স্বাধীনতার সুখ কবিতায় বাসস্থান নিয়ে বাবুই ও চড়ুই পাখির সংলাপ সবারই জানা। ‘আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে’। বাবুই পাখির উদ্দেশ্যে চড়ুই পাখির সংলাপটির বাস্তবতা বড়ই নির্মম। সমাজের খেটে খাওয়া দিনমজুরের জীবনের বিনিময়ে তৈরি হয় সেই ‘মহাসুখের অট্টালিকা’। সুউচ্চ এই সব দালানের প্রতিটি ইটের গাঁথুনিতে মিশে আছে শ্রমিকের ঘাম ও রক্তের ফোটা। জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নির্মম মৃত্যু হলেও শেষ পর্যন্ত বিচার কিংবা সঠিক ক্ষতিপূরণ মেলে না। বরং রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিদের চাপে নামমাত্র ক্ষতিপূরণে আপস করতে বাধ্য হয় নিহতের স্বজনরা।

যেমনটা ঘটেছে রাজধানীর সবুজবাগের মায়াকাননে নির্মাণাধীন দশতলা ভবন থেকে বাঁশের মাচান ভেঙে নিচে পড়ে নিহত তিন শ্রমিকের বেলায়। চলতি বছরের ১৭ মে (শুক্রবার) সকালে ভবনের বাইরের অংশের দেওয়ালের প্লাস্টারের কাজ করতে গিয়ে তারা নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলতাবুর (৪০) ও অন্তর (২০) নামের দুই শ্রমিক। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় মফিজুল (২০)। এই ঘটনায় সবুজবাগ থানায় ভবন মালিক আমিনুল হক ভূঁইয়া (৫১) ও ঠিকাদার ফারুক হোসেনকে (৪০) আসামি করে একটি অবহেলাজনিত হত্যা মামলা করেন নিহত শ্রমিক আলতাবুরের স্ত্রী আফরোজা বেগম। মামলা ১৩ দিনেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। বরং মাত্র তিন লাখ টাকায় মীমাংসা করা হয়ে গেছে।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তবে ঘটনার দুদিন পরেই আসামিরা নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তাই তাদের কাছে আমরা যেতে পারিনি।

মামলা হলেও আসামিরা মীমাংসা করার বিষয়টির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার কাছে এই বিষয় নিয়ে কেউ আসেনিও। আর যেহেতু আসামিরা জামিনে আছে, তাই আমার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই।

মায়াকাননের সেই ভবনে কাজ করা একাধিক শ্রমিক ও মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসসহ স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি গত ২২ মে আপস করে দেন। ঠিকাদার ফারুকের বাসায় হওয়া সেই বৈঠকে বলা হয়, প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে। ঘটনার দিন হাসপাতালের খরচ ও মরদেহ বহনে গাড়ি ভাড়ার খরচ বাবদ ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাকি আড়াই লাখ টাকা গত ২৯ তারিখ পরিশোধ করার কথা থাকলেও কোনো টাকা শ্রমিকরা পাননি। মালিকপক্ষ আরও ৩ থেকে ৪ দিন সময় নিয়েছে। ঠিকাদার ও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের চাপ দিচ্ছে ১ লাখ টাকা নিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে। বাকি টাকা মামলা তুলে ফেলার পর দেওয়া হবে। তবে এতে স্বজনরা রাজি হননি।

তিন শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় মধ্যস্থতা করার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, শ্রমিকদের মৃত্যুর বিষয়টি আমি শুনেছি। আমার কাছে কেউ আসেনি। বাড়ির মালিক বা ঠিকাদারকেও আমি চিনি না। এমনকি নিহত শ্রমিকদের পরিবারের কেউই আমার কাছে আসেনি। তাই মীমাংসার মধ্যস্থতার প্রশ্নই ওঠে না।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৭৫৮ জন শ্রমিক। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৮ জন শ্রমিক। ২০২৩ সালে বিভিন্ন পেশায় শ্রমিকদের মৃত্যুর সংখ্যা ৭৪২ জন। যার মধ্যে নির্মাণ শ্রমিকের সংখ্যা ১১৮ জন। আহত হয়েছেন ৬৫ জন। অর্থাৎ মোট শ্রমিকের মৃত্যুর ১৫ শতাংশ নির্মাণ শ্রমিক। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত শ্রমিক নিহতের তথ্যানুসারে ২০২২ সালে বিভিন্ন পেশার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৪ জন। আহত হয়েছে এক হাজার ৩৭ জন। ২০২১ সালে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৫৩ জন, আহত হয়েছেন ৫৯৪ জন। ২০২০ সালে নিহত হয়েছেন ৭২৯ জন ও আহত হয়েছেন ৪৩৩ জন। ২০১৯ সালে নিহত হয়েছেন ১২০০ জন, আহত হয়েছেন ৬৯৫ জন।

নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ভবন থেকে পড়ে বা দুর্ঘটনায় নিহতের পাশাপাশি নির্মাণ শ্রমিকদের নির্যাতনে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। ২০২৩ সালে নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বাইরেও বহু নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু ও আহতের ঘটনা ঘটে। যা স্থানীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবে এর সংবাদ কোনো মাধ্যমে প্রকাশিত হয় না। থেকে যায় আড়ালে। ফলে নাম মাত্র ক্ষতিপূরণ পেলেও পরিবারের প্রধান আয়ের মানুষটি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে অনেক পরিবার।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজধানীর বাড্ডার আফতাব নগরে একটি বহুতল ভবনের সাটারিংয়ের কাজ করতে গিয়ে মারা যান লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মমিনপুর জঙ্গরা গ্রামের আবু সাঈদের ছোট ছেলে মো. বায়েজিদ (২০)। নিজের আয় দিয়েই বয়স্ক বাবা মায়ের ভরণপোষণ করতেন বায়েজিদ। তার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেনি পরিবার। মাত্র ২ লাখ টাকার বিনিময়ে আপস করে নেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের বড় ভাই শাহিন বলেন, কাজ করতে গিয়ে ছোট ভাইটা মারা যায়। আমরা মামলা করিনি। মামলা করলেই কি হবে। বাড়ির মালিক আমাদের বাড়িতে এসেছিল। বাবাকে দুই লাখ টাকা দিয়ে বলেছে এটা দিয়ে ব্যবসা করে খাইয়েন। তারা আর কোনো খোঁজ নেয়নি।

নির্মাণ শ্রমিকদের মৃত্যু ও পরবর্তীতে মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, শ্রমিক আইন দুর্বল হওয়ায় এর কোনো বাস্তবায়ন নেই। বাংলাদেশের আইনে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ কম। ফলে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেন না। কোনো শ্রমিকের অবহেলায় মৃত্যু হলে নামমাত্র শাস্তি ও দুই লাখ টাকা জরিমানা। ফলে শ্রমিকদের স্বজনরা মামলার দীর্ঘসূত্রিতা এড়িয়ে নামমাত্র টাকার বিনিময়ে আপস করে।

শ্রমিকদের অধিকার আদায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সুলতান উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমাদের বেশিরভাগ শ্রমিক গ্রামাঞ্চল থেকে আসা। ফলে তাদের হয়ে ইউনিয়নগুলো তেমন কাজ করে না। আর দু-একটি ঘটনায় কাজ করলেও সেটিও শহরকেন্দ্রিক। অধিকাংশ ঘটনায় পরিবার এগিয়ে আসে না। এর সুযোগ নিচ্ছেন ঠিকাদারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

তিনি আরও বলেন, কোনো দেশের কাজের ক্ষেত্র নিরাপদ করার দায়িত্ব সরকারের। তার জন্য শ্রম আইন রয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী একজন শ্রমিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে তাকে জানানো। প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রদান করা মালিকপক্ষের দায়িত্ব। মালিকপক্ষ দায়িত্ব পালন করছে কি না সেটিও দেখার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো অধিকাংশ বড় বড় প্রতিষ্ঠান এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। আর সরকারের এই শ্রমিকদের কাজের বিষয়গুলো যাদের দেখার দায়িত্ব তারাও ঠিকমতো পরিদর্শন করে না। তারা কিছু বড় প্রজেক্টে গেলেও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে তারা যান না। অথচ এই সব ভবনেও বহু শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

;

যশোরে বাথরুমের ফ্লাশট্যাংক থেকে ইয়াবা উদ্ধার, দুই বোন আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম , যশোর
ইয়াবা পাচারে আটক দুই বোন / ছবি: বার্তা২৪

ইয়াবা পাচারে আটক দুই বোন / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুইবোনকে আটক করেছে র‌্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। শনিবার (১জুন) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেন র‌্যাব-৬ যশোর সদস্যরা।

আটককৃতরা হলেন, বকচর কবরস্থান রোডের লুৎফর শেখের দুই মেয়ে ফরিদা বেগম ও বকচর মাঠপাড়ার ফাতেমা বেগম । দুই বোনের কাছ থেকে ১৯ হাজার ৮শ’পিস ইয়াবা এবং মাদক বিক্রির এক লাখ ৪৮ হাজার ৮শ’টাকা উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে তারা জানতে পারেন বকচর কবরস্থান এলাকার একটি ফ্লাট বাড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা রয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে তার নেতৃত্বে একটি টিম ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বড় বোন ফরিদার বাড়ির কমোডের ফ্লাশ ট্যাংকের ভেতর থেকে ৯ হাজার ৮শ’পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একইসাথে তার কাছ থেকে প্রায় দেড়লাখ টাকাও পাওয়া যায়।

উদ্ধারকৃত টাকা এবং বিপুল সংখ্যক ইয়াবা / ছবি: সংগৃহীত

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার আপন ছোট বোন ফাতেমার কাছে ইয়াবার আরও একটি চালান রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বকচর মাঠপাড়ায় ফাতেমার বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। ফাতেমার খাটের নিচ থেকে আরও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, এই দুই বোনসহ তাদের একটি চক্র রয়েছে। তারা যশোর থেকে ইয়াবা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন। নিজেরাই বোরকা পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে অভিনব কায়দায় ইয়াবা লুকিয়ে চলে যান দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। তাদের সহযোগীদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রেখেছে র‌্যাব যশোরের সদস্যরা।

;

আমাদের সাড়ে ৪ মাসের রিজার্ভ আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আইএমএফ-এর নিয়ম অনুযায়ী আমাদের তিন মাসের রিজার্ভ থাকাই যথেষ্ট। সেখানে আমাদের এখনো সাড়ে চার মাসের রিজার্ভ আছে।

শনিবার (১ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ১০ দিনব্যাপী বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা প্রবাসী ভাইয়েরা আছেন তারা যদি বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠান, রফতানি আয় যদি আরেকটু বাড়ে তাহলে আমরা অনেক এগিয়ে যাবো। সবচেয়ে বড় কথা বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমাদের যে আমদানি-রফতানির গ্যাপ রয়েছে, এই গ্যাপ পূরণ করার জন্য আমাদের বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ দরকার। আমরা অনেক দেশ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তারা বিনিয়োগ করলে আমরা অনেকটা চাপ মুক্তভাবে কাজ করতে পারবো।

আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের ৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে আলুর দাম কম। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

এর আগে, বেলুন উড়িয়ে বিসিক উদ্যোক্ত মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। পরে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, আঞ্চলিক কার্যালয় বিসিক পরিচালক ও উপসচিব ড. আলমগীর হোসেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল বিসিক-এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক শাহনাছ বেগম। মেলায় ৫৪টি স্টল অংশ নিয়েছে।

;

সময়ের আগেই কেন্দ্রে তালা, শিশুরা বঞ্চিত ভিটামিন-এ ক্যাপসুল থেকে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ার পূর্বে উল্লেখযোগ্য প্রচার না করায় অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারেনি। এছাড়া সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলেও দুপুরের মধ্যে সদরের অধিকাংশ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কেন্দ্র বন্ধ দেখা যায়।

শনিবার (১ জুন) সকালে লালমনিরহাট শহরের অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ঘুড়ে দেখা যায় অধিকাংশ টিকাদান কেন্দ্র খালি ও কিছু কিছু কেন্দ্র বন্ধ পাওয়া যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর চিনিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের দরজায় দুপুর ৩টায় তালা ঝুলানো অবস্থায় দেখা যায়।

ওই এলাকার মিনা বেগম জানান, আমার সন্তানকে টিকা দিতে এসেছি। এসে দেখি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ। এখন কিভাবে আমার ছেলেকে ক্যাপসুল খাওয়াবো।

এ বিষয়ে চিনিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপিকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বার্তা২৪. কমকে বলেন, বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা কিন্তু কেনো তারা আগেই বন্ধ করেছে সেটা বুঝতে পারিনি।

;