প্রতিমা শিল্পীদের দুঃখগাথা জীবন!



শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য বাকি মাত্র আর দুইদিন। এ উপলক্ষে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। কিন্তু যে মানুষগুলোর হাতের রঙ তুলির নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে এসব প্রতিমা কেমন আছেন সেই মৃৎশিল্পীরা?

জানা গেছে, বছরে তিন মাস তাদের হাতে প্রতিমা তৈরির কাজ থাকে। আর বাকি সময় পার করতে হয় বেকার বা অন্য পেশায়। তবুও মনে যতই দুঃখ-কষ্ট থাকুক না কেন তার প্রভাব কিন্তু এতোটুকুও পড়ে না প্রতিমা তৈরির সময়। তারা শত কষ্ট ভুলে গিয়ে চেষ্টা করেন প্রতিমাগুলোকে সুন্দর করে তৈরি করে ভক্তদের আনন্দ দিতে। পূজারি ও ভক্তদের আনন্দ দিতে পারলেই সার্থকতা আসবে বলে মনে করেন শিল্পীরা।

এদিকে প্রতিমা তৈরির সামগ্রীর মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সে অনুপাতে তেমন বৃদ্ধি পায়নি শিল্পীদের মজুরি।

নড়াইল সদর উপজেলার দলজিতপুর গ্রামের রমেশ পাল বলেন, ‘আমরা ৩ জনের একটি দল এ বছর ৯টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। প্রতিমা তৈরির মাটি, রঙ, চুলসহ সংশ্লিষ্ট উপকরণের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও আমাদের পারিশ্রমিক তেমন বাড়েনি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয় স্বল্প পারিশ্রমিকে। পূর্ব পুরুষের পেশা তাই বাধ্য হয়ে পড়ে আছি।’

একই গ্রামের মনি মোহন পাল বলেন, ‘প্রতিমা শিল্পীদের কোনো সংগঠন না থাকায় আমরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। একটি প্রতিমা তৈরি করতে আমরা যখন ৫০ হাজার টাকা দাবি করছি, অন্য শিল্পীরা তখন ৪০ হাজার টাকায় সে কাজ করছে। যার কারণে আমরা বেশি পরিশ্রম করেও শ্রমের মূল্য কম পাচ্ছি।’

প্রতিমা শিল্পী আউড়িয়া গ্রামের চিত্ত ও অরজিত পাল বলেন, ‘দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরি করতে ৩-৪ জনের একটি গ্রুপের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। এক একটি গ্রুপ পূজার সময় ৮-১০টি করে প্রতিমা তৈরি করে থাকে। এ বছর আমরা ৪ জনের একটি দল ১০টি প্রতিমা তৈরির কাজ করছি।’

সিতারামপুর গ্রামের প্রতিমা শিল্পী সুরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘একটি প্রতিমা তৈরি করে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পাই। তবে বর্তমান দ্রব্য মূল্যের বাজারে এ কাজ করে জীবনযাপন করা অত্যন্ত কষ্টের। আগে এ পেশায় থাকলেও বর্তমানে রঙ, চুন এবং চুলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে পূর্ব পুরুষের এই পেশা।’

লোহাগড়া উপজেলার বারসিয়া গ্রামের জনক বিশ্বাস বলেন, ‘পূজা শুরুর আগের ৩ মাস থেকে আমাদের প্রতিমা তৈরির এ কাজ শুরু হয়। আর বাকি সময় মাঠে কৃষি কাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার চলে। ভালো নেই আমরা যারা এ শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছি।‘

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কুমখালী গ্রামের প্রতিমা শিল্পী দীপন ও গোবিন্দ বলেন, ‘আমরা দুজনে কালিয়ার রাধা-গোবিন্দ সার্বজনীন মন্দিরের পূজা মণ্ডপের কাজ করেছি। এটা তৈরিতে আমাদের ১৫ দিন সময় লেগেছে। এ প্রতিমা তৈরি করে আমরা পেয়েছি ২০ হাজার টাকা।’

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুমার কুণ্ডু বার্তা২৪.কমকে জানান, জেলায় এ বছর ৫৬৩টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫৫টি, লোহাগড়ায় ১৬১টি এবং কালিয়া উপজেলায় ১৪৭টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। মণ্ডপগুলোর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ১৪১টি, ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৩১৮টি এবং সাধারণ রয়েছে ১০৪টি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, জেলার ৫৬৩টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে। পূজা মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২৯৫ জন পুলিশ এবং ৫ হাজার ৪৭০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও থাকবে। যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ সুপারসহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

   

পূর্বাঞ্চলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, থাকছে জোড়া স্পেশাল ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। প্রথমদিন বিক্রি হচ্ছে ১২ জুনের টিকিট।

রেলওয়ে জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলে চার জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন থাকবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। সব টিকিট অনলাইনেই করা হবে।

রোববার (২ জুন) দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে। ১৭ জুন সম্ভাব্য ঈদের তারিখ ধরে রেলওয়ে এই আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।

এর আগে সকাল সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্বাঞ্চলে আলাদা সময়ে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে জানায়, রোববার বিক্রি হচ্ছে ১২ জুনের অগ্রিম টিকিট। একইভাবে ৩ জুন যাত্রীদের দেওয়া হবে ১৩ জুনের টিকিট, ৪ জুন দেওয়া হবে ১৪ জুনের টিকিট, ৫ জুন দেওয়া হবে ১৫ জুনের টিকিট এবং ৬ জুন দেওয়া হবে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট।

একইভাবে ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৪ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ঈদ উপলক্ষে এবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চার জোড়া স্পেশাল ট্রেনসহ দেশের বিভিন্ন রুটে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন ৭ হাজার ৭শ ১৫ জন যাত্রী ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন।

ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল চলবে দুই জোড়া এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল চলবে এক জোড়া।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রোববার দুপুর ২টা থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। টিকিট কালোবাজারি রুখতে গোয়েন্দা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে।

;

অস্বস্তির গরমে আবহাওয়া অফিসের স্বস্তির খবর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেঘ ও রোদের খেলার মধ্যে বেশ ভ্যাপসা গরম বিরাজমান। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তিকর পরিবেশ। এমন পরিস্থিতে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি গরমের তেজও কমে আসবে।

রোববার (২ জুন) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি বা ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।

এ সময় ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারিপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্র ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কুড়িগ্রামে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। এছাড়া সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।

;

নানির সঙ্গে দোকানে যাওয়ার পথে প্রাণ গেলো ছোট্ট শেফার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় শেফা আক্তার (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর উত্তম হাজির হাট এলাকার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজির হাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব বসুনিয়া।

নিহত শেফা হাজিরহাট ডাক্তারপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে।

দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশু শেফার নানি বিলকিস বেগম (৫০)। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশ দিয়ে শিশুটি তার নানির সঙ্গে মুদি দোকানে যাওয়ার পথে ডাম্পট্রাকটি চাপা দেয়। এতে চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে শেফা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নানি বিলকিস বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় স্থানীয় লোকজন গাড়িটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান।

;

হিজড়াদের ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে চোখ হারালেন এসআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম. ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর রমনা থানার পরিবাগ এলাকায় ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে হিজড়াদের হামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আহত ওই এসআইয়ের নাম মো. মোজাহিদ।

শনিবার (১ জুন) দিনগত রাত সাড়ে তিনটায় পরিবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমনা থানার এসআই মোজাহিদসহ পুলিশের একটি দল পরিবাগ এলাকায় ডিউটি করছিলেন। এসময় হিজড়াদের একটি দল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হিজড়ারা পুলিশের ওপর হামলা করেন। পুলিশকে উদ্দেশ করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

একপর্যায়ে একটি ইট এসআই মোজাহিদের চোখে গিয়ে পড়ে। মুজাহিদের চোখের চশমার কাচ ভেদ করে চোখে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। এতে মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।

রমনা থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত) উৎপল বড়ুয়া বলেন, হিজড়ারা বিভিন্ন রিকশা থেকে ছিনতাই ও অনৈতিক কাজ করায় শাহবাগ থানা পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানের একপর্যায়ে হিজড়ারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে এসআই মিজানের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের বিভিন্ন অংশ আঘাত প্রাপ্ত হয়।

ওসি আরো বলেন, এসআই মোজাহিদকে শেরেবাংলা নগর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চোখের অপারেশন হয়েছে। আরো কয়েকটি অপারেশন লাগবে বলে জানান তিনি ।
এঘটনায় জড়িত তিন হিজড়াকে আটক করা হয়েছে।

;