কোভিড -১৯: এশিয়ার ৭টি দেশের অবস্থা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা মহামারি মোকাবিলার অন্যতম একটি পদক্ষেপ কোভিড -১৯ টিকা দেওয়ার গতি পুরো এশিয়াতে ধীর গতিতে ছিল এবং চলছে। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের হুমকি পুরো মহাদেশ এবং সমগ্র বিশ্ব জুড়েই বিশাল আকার ধারণ করছে। ডেল্টা থেকে সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি ভারতে চিহ্নিত হয়েছিল এবং এখন করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্লাস রূপটি পুরো এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি দ্বারা আক্রান্ত এশিয় মহাদেশের সাতটি অঞ্চল:
১. ভারত: কোভিড -১৯ এর ক্ষেত্রে, ভারতে করোনা সংক্রমণের দিক দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৩০.৫ মিলিয়ন লোক কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪০০,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছে। দেশে বর্তমানে কোভিড -১৯-এর সক্রিয় রোগী রয়েছে ৪৮৬,৩৫০ এবং সুস্থ হয়েছেন ২৯.৬ মিলিয়ন মানুষ। দেশটিতে সুস্থার হার বেড়েছে ৯৬.৯৭ শতাংশ। সপ্তাহ হিসেবে যা ৫ শতাংশের নীচে থেকে যায়। দেশটি এখন পর্যন্ত ৩৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে টিকা দিয়েছে। ভারতে ডেল্টা প্লাসের প্রথম রোগী পাওয়া যায় ১১ জুন এবং এ পর্যন্ত দেশটিতে ৫০ টিরও বেশি করোনা ভাইরাসের ধরণ পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।
২. তুরস্ক: তুরস্ক এশিয়ার পরে ভারতের পরে দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড -১৯ এর ৫৪৩ মিলিয়নেরও বেশি রোগী পাওয়া গেছে এবং ৪৯,৮২৯ জন মারা গেছে। বর্তমানে, ৮০,১৪৬ জন আক্রান্ত আছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫৩০ মিলিয়ন মানুষ। এখন পর্যন্ত তুরস্কে ৫১.২ মিলিয়ন মানুষকে কোভিড -১৯ এর টিকা দেওয়া হয়েছে। ডেল্টা প্লাস যাতে ছড়িয়ে না পরে তাই সম্প্রতি তুরস্ক বাংলাদেশ, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা থেকে ফ্লাইট এবং সমস্ত সরাসরি ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে।
৩. ইরান: করোনভাইরাসের মারাত্মক প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। দেশটির রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি ইরানের অ্যান্টি-ভাইরাস টাস্কফোর্সের এক বৈঠকে বলেছেন "আশঙ্কা করা হচ্ছে যে আমরা দেশজুড়ে পঞ্চম তরঙ্গের পথে চলেছি,"।
দেশটিতে ৩.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮৪,৫১৬ জন মারা গেছে। বর্তমানে ২৪৬,০০০ জন সক্রিয় করোনা রোগী আছে এবং ২.৯ মিলিয়নেরও বেশি লোক সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৫.৭২ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
৪. ইন্দোনেশিয়া: করোনাভাইরাস ডেল্টা রূপটি ইন্দোনেশিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং ২০ শে জুলাই পর্যন্ত সরকার দেশের অনেক জায়গায় লকডাউন ঘোষণা করাছে। ইন্দোনেশিয়া এশিয়া মহাদেশের চতুর্থ দেশ, যেখানে এখন পর্যন্ত ২.২৫ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং ৬০,০২৭ জন মারা গেছে।এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় পাঁচ শতাংশ মানুষকে তিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
৫. ফিলিপাইন: ফিলিপাইন সরকার বলেছে যে এখনও পর্যন্ত দেশে ডেল্টা রূপের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ফিলিপাইনে কোভিড -১৯-তে আক্রান্ত ১৪২ মিলিয়ন এবং ২৪,৯৭৩ জন মারা গেছে। দেশটিতে বর্তমানে ৫৫,০০০ এরও বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছে এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩৪.৪ মিলিয়ন মানুষ। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১০.৭ মিলিয়ান টিকা দেওয়া হয়েছে।
৬. ইরাক: এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১,৩৪০,০০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৭,২৫৬ জন মানুষ মারা গেছেন।ইরাকে বর্তমানে ৮৭,৩৭৭ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত আছেন। দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ১,২৫৫,২০৩ জন। এখন পর্যন্ত ৮০৫,০০০ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। যা দেশটির জনসংখ্যার হিসেবে ২.৫ শতাংশ।
৭. পাকিস্তান: এশিয়ার কোভিড -১৯ ক্ষেত্রে পাকিস্তান ৭ নম্বরে রয়েছে এবং ৯৬১,০৮৫ জন সংক্রামিত হয়েছে এবং ২২,৩৭৯ জন মারা গেছে। দেশে বর্তমানে ৩২,৩১৯ জন করোনা রোগী রয়েছে এবং সুস্থ হয়েছে ৯০৬,০০০ জন। পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ১৬.৩ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।