লকডাউনে গরুর ক্রেতা সংকটে বিপাকে ঠাকুরগাঁওয়ের খামারিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
লকডাউনে গরুর ক্রেতা সংকটে ঠাকুরগাঁওয়ের খামারিরা

লকডাউনে গরুর ক্রেতা সংকটে ঠাকুরগাঁওয়ের খামারিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে কোরবানির গরু বিক্রয় নিয়ে খামারিরা যেমন শঙ্কায় আছেন তেমনি দুশ্চিন্তায় আছেন ক্রেতারাও। চলমান লকডাউনের কারণে এই শঙ্কা আর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া সারা দেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে চলছে কঠোর লকডাউন। লকডাউনের কারণে জেলার সকল গরুর হাটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল না করার কারণে জেলার বাহির থেকে কোন গরু ক্রেতা খামারেও আসছে না। দু-একজন এলেও কাঙ্খিত দাম না বলায় গরু বিক্রি করতে পারছেন না খামারিরা। অনলাইনেও কোনও সাড়া মিলছে না ক্রেতার। এমন পরিস্থিতিতে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জেলার ছোট বড় সকল খামারিরা বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে গরু বিক্রির জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এই খরা কেটে যাবে ঈদের দু-চারদিন আগেই। প্রশাসনের পক্ষ হতে অনলাইন ছাড়াও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কিছু হাট বাজার খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় আনুমানিক ৮০ হাজার ৪৫৯টি গরু ও ছাগল হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে কোরবানি দেওয়ার জন্য। এছাড়াও অনেকে বাসাবাড়িতে গরু লালন পালন করে সেই হিসেবে এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে কোরবানির পশু।

জেলা শহরের শীবগঞ্জ এলাকার ইমন এগ্রো ফার্মের মালিক খামারি রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কোরবানির বাজারকে সামনে রেখে প্রায় পাঁচ বছর ধরে গরু লালন পালন করে আসছেন তিনি। ঈদের আগে এই সময়ে খামারে একটা গরুও অবিক্রিত থাকতো না। গেল সপ্তাহে একজন পার্টি এসে ঘুরে গেছেন। গরুর যে দাম বলছেন, তাতে ক্রয়মূল্যও থাকছে না। এ বছর খামারে দেশী গরু মোট ২০০টি রয়েছে। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে গরু কিনেছি। গরু বিক্রি না হলে কি যে হবে- তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

ঠাকুরগাঁও সদরের লোহাগাড়া এলাকার মকবুল হোসেন। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে দোকানের পাশাপাশি নিজ বাড়িতে প্রতি বছর ৪-৫টি গরু হৃষ্টপুষ্ট করে থাকেন। গত কয়েক বছর ব্যবসা ভালো হলেও করোনার কারণে এ বছর বিক্রি নিয়ে সংশয়ে আছেন। মাত্র দুজন ক্রেতা এলেও তারা তেমন কোনও দাম বলেন নি।

ঠাকুরগাঁওয়ের প্রায় সকল খামারির একই অবস্থা। করোনার পরিস্থিতে খামার কিংবা হাট কোথাও দেখা মিলছে না ক্রেতার। জেলার বড় খোচাবাড়ি হাট, শীবগঞ্জ হাট, লাহিড়ী হাট, নেকমরদ হাটসহ আরও অনেকগুলো বড় বড় গরুর হাঁট রয়েছে। যেগুলো এখন লকডাউনের কারণে শূন্য মাঠ হিসেবে পড়ে রয়েছে। অথচ গেল বছরগুলোতে এই সময়ে হাঁটগুলো থাকতো গরু ও লোকের সমাগমে ভরপুর।

খোচাবাড়ি হাটের ইজারাদার মাসুদ রানা বলেন, আগে প্রতি হাটে কমপক্ষে পাঁচ হাজার পশু বিক্রি হতো। এইবার লকডাউনে হাটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে হাটগুলো খুলে দেওয়া না হলে মরণ ছাড়া কোনও গতি থাকবে না।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলতাফ হোসেন বলেন, খামারিদের এই হতাশা খুব শিগগিরই লাঘব হবে। অনলাইনের মাধ্যমে গরু বিক্রয়ের জন্য প্রশাসন থেকে একটি ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। তবে ঈদের আগে কিছু পশু বিক্রয়ের হাট নিয়ম মেনে খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খামারিরা যেন ক্ষতির সমুক্ষিন হতে না হয় সেজন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি।

   

৯ শিক্ষার্থীর জন্য ১৩ শিক্ষক, তবুও সবাই ‘ফেল’!



মাসুম বিল্লাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার একটি এমপিওভুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ এর এসএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত ৯ শিক্ষার্থীসহ ১৪ শিক্ষার্থীর একজনও পাস করেনি। অথচ বিদ্যালয়টিতে ওই ১৪ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১৬ জন। তার মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যাই ১৩ জন।

ফেল করা ওই ১৪ জনের সকলেই মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৯ জন নিয়মিত এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন ৫ জন, অর্থাৎ গত বছরের অকৃতকার্য পাঁচ পরীক্ষার্থীও এ বছরের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। অনিয়মিত ওই পাঁচ শিক্ষার্থী ছাড়া এ বছরের ৯ জন নিয়মিত শিক্ষার্থীর জন্য বিদ্যালয়ে ছিলেন ১৩ শিক্ষক। তবুও পাস করেনি কেউই। আর নিয়মিত ওই ৯ শিক্ষার্থীর ছয় জনই ফেল করেছেন গণিত বিষয়ে।

বিদ্যালয়টির এমন নেতিবাচক হতাশ করা ফলাফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্বের পাশাপাশি যোগ্যতা নিয়েও। ১৪ শিক্ষার্থীর একজনও পাস করতে না পারা ওই বিদ্যালয়ের নাম ‘ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’। প্রতিষ্ঠানটি জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সাল হতে ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৩ শিক্ষকের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং নারীর সংখ্যা ৪।

স্থানীয়রা বলছেন, ১৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষক ১৩ জন। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় একজন শিক্ষক বলা যায়। আর এ বছরের (চলতি পরীক্ষার) নিয়মিত ৯ জন শিক্ষার্থী ধরলে একজন শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রায় দেড়জন করে শিক্ষক বলা যায়। তারপরেও একজনও পাস করতে না পারার জন্য কেবল ওই সব শিক্ষার্থী দায়ী নয়, এর জন্য দায়ী শিক্ষকরা। এমন ফলাফলে শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কম হয়ে যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন স্থানীয় বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিদিন খোলা থাকে ঠিকই। শিক্ষকদের মধ্যে যারা নিয়মিত আসেন, তারা কেবল বেতন নেওয়ার জন্য আসেন, পড়াতে আসেন না। বিদ্যালয়ে এসে নানান তালের, নানা গল্পে তারা ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু তারা যে জন্য বেতন পান, সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে অবশ্যই বাচ্চারা পাস করতো। এমপিওভুক্ত একটা বিদ্যালয়ে কী করে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয় বিষয়টি তদন্ত প্রয়োজন।

সকল পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়া প্রশ্নে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘১৯৯৯ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়। কোনো বছরই ফলাফলে এমন বিপর্যয় হয়নি। হ্যাঁ, ফলাফল খারাপ ছিল, তাই বলে এরকম নয়। এবছরের ১৪ শিক্ষার্থীর অন্তত পাঁচ থেকে সাত জন পাস করার শতভাগ যোগ্যতা রাখে। কেন তাদের রেজাল্ট ফেল আসল? আমরা বুঝতে পারছি না। তবে, ধারণা করা হচ্ছে উত্তরপত্র মূল্যায়নে যেকোনো ধরনের ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে।’ আমরা ফলাফল বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডে চ্যালেঞ্জ করব, বলেন তিনি।

তিনি জানান, ফলাফল প্রকাশের পর ইতোমধ্যে ১৪ শিক্ষার্থীর ১২ জন আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। তাদের ফলাফল মূল্যায়নে তারা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করবে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম মোবাইল ফোনে বলেন, যেকোনো বিদ্যালয়ই পরীক্ষার ফলাফলে শতকরা শূন্যের হারের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ওই বিদ্যালয়ের এ বছরের ১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জনই অকৃতকার্যের হওয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ফেল করা বিষয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ওই বিদ্যালয় থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যাদের মধ্যে পাস করে ১৩ জন এবং ফেল করে ৫ জন (যারা এ বছরও পরীক্ষায় অংশ নেয়)। এছাড়া বিদ্যালয়টি হতে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ২১ জন। যার মধ্যে কৃতকার্য হয় ১৭ জন। ওই বছরেও অকৃতকার্য হয় ৫ জন শিক্ষার্থী।

;

‘রেলের ধারে মাথা রাইখা কোনো রকমে বাঁইচা আছি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাগো কষ্টের শ্যাষ নাই, কয়ডা কমু? দ্যাহার কেউ নাই। নাই ভালো একটা ঘর, নাই কল, নাই টয়লেট। কত জায়গায় বাচ্চাদের পুষ্টি দেয়, লেখাপড়ার জিনিসপত্র, গর্ভবতী মায়েদের সেবা দেয় বিনা পয়সায়। কিন্তু এই বস্তিতে কোনো সুবিধা আহে না। রেলের বস্তিতে না মইরা বাঁইচা আছি আমরা। এভাবেই কথাগুলো বলেছেন রংপুর নগরীর লালবাগ রেললাইনের বস্তিবাসীরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রেললাইনের দুই ধারে ছোট ছোট টিনশেড, বাঁশের ছাউনি আবার কোনো কোন ঘরের অধিকাংশই কাপড়ের পর্দা ও পলিথিনের আবরণে ঢাকা। এই বস্তিতে প্রায় ১৫০ পরিবারে ৫০০-র বেশি মানুষের বাস। দিনভর দেখা মেলে এক ঝাঁক শিশুসহ মায়েরা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। ঘনবসতিপূর্ণ প্রতিটি ঘরের নেই পর্যাপ্ত জায়গা। ঘিঞ্জি ভাবে যুবক-সন্তানদের নিয়ে এক ঘরেই থাকেন তারা। পরিবার পরিকল্পনা না থাকায় একাধিক শিশু ঘর আলো করে আসলেও জীবন আলোকিত হচ্ছে না তাদের। বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পুষ্টিসহ সুন্দর পরিবেশে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা থেকে।

বস্তিতে একটিমাত্র বেসরকারি স্কুল থাকলেও সেখানে স্বল্প সংখ্যক শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সুযোগ না পেয়ে ঝড়ে পড়ছে অসংখ্য শিশু। বিশেষ করে পরিবারের দারিদ্র্য প্রাথমিকের গণ্ডি পার হতে দিচ্ছে না শিশুদের। ন্যূনতম স্বাক্ষর শিখেই কাজে দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা না থাকায় সমস্যার যেন শেষ নেই তাদের।


জানতে চাইলে বস্তিবাসী বৃদ্ধ জয়নব, রমিজা, আজিরনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমাগো দুঃখ দেহার কেউ নাই। অনেকেই আহে শুধু খাতা কলমে নাম লেইহা আর খোঁজ নাই। পানি আয়রন থাকলেও তাও খাওয়া যায়। কিন্তু টয়লেট নাইগা। ড্রেনের ওপরে ইট দিয়া কাপড়-প্লাস্টিকের ঘেরাও করা। এভাবেই আমরা যুগের পর যুগ চলছি।

বস্তিবাসী আনোয়ার বলেন, এখানে বাচ্চাদের শিক্ষার হার খুবই কম। অধিকাংশ নারী গ্রাম ঘুইরা কাজ করে। আর পুরুষরা হকারি করে এই উপার্জনে পরিবার নিয়া খুব কষ্ট আমাগো। শুনছি রেলের এই বস্তি নাকি উঠাইয়া দিবো তহন কই যামু, সেই চিন্তায় আছি।

রেললাইনের ধারে ঠাঁই নেওয়া এই মানুষজনের দিন কাটে অভাব অনটনে, দুঃখ কষ্টে। নেই নিজস্ব জমিজমা, মাথা গোঁজার ঠাঁই। দারিদ্রে অকালে ঝড়ে পড়ছে শিশুরা। বঞ্চিত হচ্ছে মানবাধিকার থেকে।

;

এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। সেই একই পণ্য এই বছরের এপ্রিলে কিনতে খরচ করতে হয়েছে ১১০ টাকা ২২ পয়সা।

বিবিএসের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। মার্চে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এপ্রিলে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে এপ্রিলে। এ মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা মার্চে ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

একই সঙ্গে বেড়েছে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার। মার্চে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।

;

শেষ হল ৫ দিনের যুব মতবিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে শেষ হল ৫ দিন ব্যাপী যুব মতবিনিময় আয়োজন। সারা দেশ থেকে ২০০ যুবক ও যুব নারী উদ্যোক্তা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আয়োজন শেষ হয়। এ আয়োজনে যুব উদ্যক্তারা তাদের পরিশ্রম ও সফলতার গল্প সকলের সামনে তুলে ধরেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যাতে নিজের পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, উদ্যোক্তা না হলে, চাকরি করে আপনি বড় কিছু করতে পারবেন না। উদ্যোক্তা হলে আপনি নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করতে পারবেন।

এ আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। তিনি বলেন, সমাজে যারা উদ্যোক্তা হতে চেষ্টা করছেন তাদের কাছে এই ইনস্টিটিউটের কথা তুলে ধরবেন, অনুপ্রাণিত করবেন। আমাদের মূল লক্ষ্য যারা বেকার অদক্ষ তাদের উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করা।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান এ আয়োজনের উদ্বোধন করেছিলেন।

;