সামনে ভয়াবহ অবস্থা আসছে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন দিয়ে রাখলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু কোনোটিই কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড ১৫ হাজার ১৯২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। একই সময়ে রেকর্ড ২৪৭ জন মারা গেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটিই বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। কয়েকদিনের মতো ২৪ ঘণ্টায়ও ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণেও এগিয়ে এ বিভাগ। একদিনে এ বিভাগে ৭৯৫৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা সারা দেশের অর্ধেকেরও কিছু বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার এবং খুলনা বিভাগেও হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সামনে কঠিন অবস্থা আসছে। এখন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, হাসপাতালে বেড বাড়িয়ে লাভ নেই। করোনার কমিউনিটি সংক্রমণ কমাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যারা মাস্ক পরবে না, তাদের বয়কট করতে হবে, সম্মান করা যাবে না।

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে রোগীর চাপ। ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও আসছেন রোগীরা। রোগীর চাপে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর বেশিরভাগ হাসপাতালে ফাঁকা নেই আইসিইউ শয্যা। রোগীর স্বজনরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন। শুধু আইসিইউ নয়, সাধারণ শয্যা পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে অনেককে। পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে সাধারণ শয্যাও।

দেশের এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এজন্য ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।

   

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ছিনতাইকারীর কবলে নারী, বাঁচাতে গিয়ে জীবন শঙ্কায় যুবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরার ৮নং সেক্টরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইফতেখার নামে ২৮ বছরের যুবক আহত হয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত ইফতেখার উত্তরা ৬নং সেক্টর শিরিন ভিলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

বন্ধু আরমান জানান, গত রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল আরমান। এ সময় উত্তরা ৮নং সেক্টর বীমা কলোনির সামনে কয়েক জন ছিনতাইকারী এক নারীকে ঘিরে ধরে । ইফতার ছিনতাইকারীদের কবরে পড়া ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইফতেখারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইফতেখারকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন ইফতেখারের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতরাতে উত্তরা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আইডিয়ালের শিক্ষার্থী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মুগদায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মাহিন আহমেদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মাহিন মতিঝিল আইডিয়ালের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।

মাহিন মুগদার বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বাসা থেকে বের হন। পরে মদিনাবাগ এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি ধাক্কা দেয় মাহিনকে। প্রথমে মুগদা হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলেকে হারিয়ে বাবা মাসুম মিয়া স্তব্ধ। বাবা-মায়ের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে মুগদার বাতাস। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

মাহিনের মা জোছনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে সন্ধ্যায় বলল, সে চাচার বাসায় যাবে। আমি মানা করে বললাম, কাল সকালে যেও। মাহিন বলল, খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় চাচার বাসায় চলে যাবে। আর মাহিন ফিরল না।’

মাহিনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বড়ভাই মাহফুজও। স্বজনদের দাবি, ময়লার গাড়িটি খুব বেপরোয়াভাবে চলছিল। চালকও নেশাগ্রস্ত ছিল। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মুগদা থানার উপপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন দুর্ঘটনায় মাহিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

বৃষ্টি চেয়ে কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায়



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও বৃষ্টির জন্য কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮:৩০ মিনিটে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

বিশেষ এ নামাজে ইমামতি করেন কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী।

স্থানীয় পীর ও মাসায়েখদের আয়োজনে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম, মোয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী, আইনজীবী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তি সহ শত শত মুসল্লীরা এ নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে খুতবা পাঠসহ সারা দেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।

কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী বলেন, ইসতিসকার নামাজ বা (বৃষ্টির নামাজ) হল একটি সুন্নাহ নামাজ (ইসলামি প্রার্থনা) আল্লাহর কাছে বৃষ্টির পানির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য।তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হলে নবিজির (সা.) অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া, অসহ্য গরম, মাঠে ফসল ফলানো কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষদের কথা চিন্তা করে আজকে আমাদের এ বিশেষ নামাজ। ইনশাআল্লাহ এ নামাজকে কেন্দ্র করে আল্লাহ আমাদের সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজতে রাখবেন। আমিন।

;