মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের বদরগঞ্জে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আয়মনা বেগম (৩০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মোবাইল ফোনে রাতে বাড়ি থেকে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের কথা আদালতে স্বীকার করেছে ঘাতক তহিদার রহমান (৩২)।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বদরগঞ্জ আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে আয়মনাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন তহিদার রহমান ।

এর আগে সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে তাকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত শনিবার (২৪ জুলাই) উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বরকতপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় হাঁটুগেড়ে থাকা অবস্থায় গলায় রশি বাধা আয়মনার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। ঈদে নানীর বাড়ি বেড়াতে এসে রহস্যজনক হত্যার শিকার হন আয়মনা বেগম নামে ওই নারী। ওই সময় আয়মনার মৃত্যু রহস্যজনক বলে এলাকাবাসী ধারণা করলেও তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে তদন্তের স্বার্থে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর দুই ঘাতকের নাম পুলিশ প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। আয়মনা বেগম একই এলাকার আবেদ আলীর মেয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই সন্তানের জননী আয়মনার সঙ্গে তার স্বামী রাশেদুলের প্রায় দুই বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর নানীর বাড়ি এলাকার পূর্ব পরিচিত তহিদার রহমানের (আটক) সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জেরে গত শনিবার রাতে তহিদার রহমান মোবাইলে ফোন করে আয়মনাকে নানীর বাড়ি থেকে বাইরে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে ছিল তহিদারের অপর দুই বন্ধু। এক পর্যায়ে আয়মনাকে জোর করে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের বিষয়টি সালিস ডেকে তাদের নাম প্রকাশ করার কথা বললে আয়মনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ঘাতকরা। বাড়ির পাশে একটি নির্জন বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে আয়মনাকে হত্যা করা হয়। পরে গলায় রশি বেধে বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে একটি সজিনা গাছের ডালে তাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হলে রশি ছিঁড়ে মরদেহটি মাটিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আয়মনার ভাই জাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে তিনজনের জড়িত থাকার কথা জানতে পেরে একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তহিদার রহমানকে গ্রেফতার করে।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, নিহত আয়মনার পূর্ব পরিচিত ছিল গ্রেফতার তহিদার রহমান। মূলত তার অপর দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে সে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার অপর দুই সহযোগিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে ।

বেনজীরের ১০ কোটি টাকার বাংলো বাড়ি জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বেনজীর আহমেদের ১০ কোটি বাংলো বাড়ি

বেনজীর আহমেদের ১০ কোটি বাংলো বাড়ি

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জায়গার ওপর নির্মিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ১০ কোটি টাকার বাংলো বাড়ি আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত টিম রূপগঞ্জের আনন্দ হাউজিং সোসাইটি এলাকার এই বাড়িটি জব্দ করে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের নারায়ণগঞ্জের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মইনুল হাসান রওশানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রূপগঞ্জের কাঞ্চনগামী সড়কের পাশে নির্জন এলাকায় ‘আনন্দ হাউজিং সোসাইটি’ নামে একটি আবাসন প্রকল্পে বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন এই বাড়িটি আট বছর আগে এলাকার প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় ৫৫ শতাংশ জায়গা কেনেন বেনজীর আহমেদ। পরে বছর চারেক আগে এই জমিতে আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি করেন তিনি।

হাউজিংয়ের স্টাফরা জানান, প্লট আকারে প্রতি কাঠা জমি ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেখানেই ২৪ কাঠা জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

বাড়িটি দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মী জানান, ২০২২ সালের দিকে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। বেনজীর আহমেদ দেশে অবস্থানকালে মাঝে মধ্যেই এই বাড়িতে আসতেন এবং অবসরে রাত্রিযাপনও করতেন। বাড়িটিতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় কেয়ার টেকারের পাশাপাশি দুটি কুকুরও রাখা হয়েছে।

এদিকে, গত ১২ জুন উচ্চ আদালতের আদেশে তৃতীয় দফায় জব্দ করা হয়েছে বেনজীর আহমেদের অর্জিত আরও বিপুল পরিমাণ সম্পদ। সেই জব্দ তালিকায় রূপগঞ্জের এই বাড়িটিও রয়েছে। বলা হচ্ছে, বাড়িটির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

;

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লাখ মানুষ: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে চলমান বন্যায় দেশের ১৫ জেলা আক্রান্ত এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মো. মহিববুর রহমান বলেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার জেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত ১৫ জেলায় এ পর্যন্ত নগদ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ব্যাগ ও অন্যান্য খাবার, শিশুখাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো ১৫ জেলায় মানুষ পানিবন্দি নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যাকবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। কেউ মারা যায়নি। এর মধ্যেই পানিবন্দি মানুষ রয়েছে। প্রতিদিনই মানুষ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী। বলেন, বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সে জায়গাগুলোও আমরা অ্যাড্রেস করব।

তিনি জানান, বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবিত হতে পারে। আগামী আগস্ট বা পরের মাস সেপ্টেম্বরেও এমন আরেকটি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। তার পরও বিভিন্ন সময় পত্রিকায় দেখি কোনো কোনো জায়গায় খাদ্য পায়নি। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব। স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনও যখন যেটা চাচ্ছেন আমরা দিচ্ছি। ‌তার পরও গ্যাপ থাকার কোনো কারণ নেই, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

;

গুলিস্তানে চোরাই মোবাইল ও ট্যাবসহ গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গুলিস্তান এলাকা হতে ১৭০টি চোরাই মোবাইল ও ট্যাবসহ মোট ৫ জন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

শনিবার (৬ জুলাই) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো: মো. খোকন (৪৫), মো. হারুন (৪০), আব্দুর রহমান (২২), নেহাল রহমান সবুজ (৩০), কামাল হোসের (২৮)।


এম. জে. সোহেল বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ থানাধীন গুলিস্তান নগর ভবনের মেইন গেইটের উত্তর পাশে ওসমানী উদ্যান এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চোরাইকৃত ১৬৩টি মোবাইল ফোন ও ৭টি ট্যাবসহ আনুমানিক ৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ১৭০টি বিভিন্ন ব্যান্ডের পুরাতন ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ট্যাব উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫ জন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ চোর ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও ট্যাব ক্রয় করে রাজধানীর গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

ফেনীতে ভেঙে পড়েছে কাঠের সেতু, দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা বৃষ্টি ও নদীর পানির মাত্রাতিরিক্ত উচ্চতায় ভেঙে গেছে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের কালিদাস পাহালিয়া নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতু। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১০ গ্রামের হাজারও মানুষ। বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে। ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কায় স্থানীয়রা।

জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পিএসসি গার্ডার ব্রিজের পাশে বিকল্পভাবে চলাচলের জন্য কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির তোড়ে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই পাড়ের হাজারও মানুষ। এ গ্রামগুলোর যোগাযোগের জন্য সংযোগ মাধ্যম ছিল কালিদাস পাহালিয়া নদীর ওপরে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা কাঠের সেতুটি।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর, মধ্যম চাঁদপুর, দক্ষিণ চাঁদপুর, নেয়ামতপুর, টংগীর পাড় ও তেরবাড়িয়াসহ দশ গ্রামের হাজারও মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। সেতুটি ইউনিয়ন পরিষদ, রেজিস্ট্রি অফিস, লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ লেমুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেমুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ নিত্যদিনের চিকিৎসা ও হাট-বাজারের যাওয়া হাজারও মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল।

ওমর ফারুক নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'সেতুটি ভেঙে পড়ায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে উল্টোপথে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হবে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ রোগীদের পারাপারে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা যদি বিষয়টি গুরুত্ব দেন তাহলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে। কারণ মহাসড়কে অনেক গাড়ি চলাচল করে, এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।'

এমরান উদ্দিন নামে আরেকজন বলেন, 'সেতুটি না থাকলে কষ্ট করে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উল্টোপথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হবে। আমাদের হাজারও মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এটি মেরামত করা উচিত।'

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মামুন চৌধুরী বলেন, 'পানির তোড়ে অস্থায়ীভাবে তৈরি কাঠের সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মানুষের চলাচলের জন্য সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করতে কাজ শুরু হবে।'

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দীপ্ত দাশ গুপ্ত বলেন, 'বর্ষাকালে কচুরিপানা এসে নিচে জমা হয়ে যাওয়ায় পানির তোড়ে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যে ঠিকাদারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া জন্য বলা হয়েছে।'

;