ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান ও করোনার ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কমিটি
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। আগামী ৭ আগস্ট শনিবার থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সঠিকভাবে টিকাদান ও করোনার ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে দেশের প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) উপসচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসকল কমিটি গঠণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ইউনিয়ন কমিটি: এই কমিটির সভাপতি হবেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক/ স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, একজন মুক্তিযোদ্ধা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন এনজিও প্রতিনিধি, ইউনিয়নের অন্তর্গত বৃহত্তম হাট-বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন প্রতিনিধি, ইউপি সচিব সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ। এ কমিটি কাজের সুবিধার্থে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
ওয়ার্ড কমিটি: সভাপতি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার। কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক/স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, মাদরাসার একজন শিক্ষক, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন এনজিও প্রতিনিধি, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, স্বাস্থ্য সহকারী, মসজিদের ইমাম, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন প্রতিনিধি, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপাইটর, গ্রামপুলিশ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড, আনসার/ভিডিপির একজন সদস্য। তবে সদস্যসমূহ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিটির সভাপতির মতামত প্রাধান্য পাবেন।
কমিটির কর্মপরিধি: ভ্যাকসিন গ্রহণে সর্বস্তরের জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, বয়স্ক ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন সেন্টারে নিয়ে আসতে সহায়তা করা, করোনাভাইরাস সন্দেহজনক ব্যক্তিদের শরীরের তাপমাত্রা ও অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপজেলা হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য পাঠানো, শনাক্তকৃত ব্যক্তিদের আইসোলেশন বা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করা, করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তিদের আইসোলেশন কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ এবং তাদের মাধ্যমে সেকেন্ডারি সংক্রমণ প্রতিরোধ করণ, সর্বস্তরের জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে মাস্ক ব্যবহারের উদ্বুদ্ধকরণ, হাট-বাজার চায়ের দোকান বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিড় পরিহারের ব্যবস্থা করা, সুরক্ষায় অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন সহায়তা করা, স্বাস্থ্যবিধি পালন মাস্ক ব্যবহার ভ্যাকসিন এর কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে এলাকার হাট-বাজার ও অন্যান্য স্থানে মাইকিং এর ব্যবস্থা করা।