কোভিডে আক্রান্ত আবুল মাল আবদুল মুহিত: দেশ-বিদেশে উদ্বেগ



সাঈদ চৌধুরী
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, লেখক, ভাষাসৈনিক ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কোভিডে আক্রান্ত! এই খবর প্রকাশের পর দেশ-বিদেশে অসংখ্য মানুষ তাঁর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। সকলেই দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রার্থনা আর শুভ কামনায় সয়লাব সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই লিখেছেন,‘আমাদের প্রার্থনা আল্লাহর কাছে, আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’।

আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং আরেক ছোট ভাই পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন ও ডেল্টা হাসপাতালের চেয়ারম্যান এ এস এ মুয়িয (সুজন) সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। গত রোববার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এ কয়দিন তিনি বনানীস্থ নিজ বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। সতর্কতার জন্য এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক অর্থমন্ত্রীর ছেলে শাহেদ মুহিতেরও করোনা পজিটিভ আসে। ইতিপূর্বে তাদের বাসার দুই গৃহকর্মীর করোনা পজিটিভ হয়। আবদুল মুহিতের দুই দফা টিকা নেওয়া আছে। কোরবানির ঈদে পশু কাটাকাটির সময়ের কোনো এক ফাঁকে তিনি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট শহরের ধোপাদীঘিরপার হাফিজ কমপ্লেক্সে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা, তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আব্দুল হাফিজের তৃতীয় সন্তান। তাঁর মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড সহ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৮ সালে সিলেট সফররত পাকিস্তানের যোগাযোগ মন্ত্রী সরদার আবদুর রব নিশতারকে বাংলা রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আমৃত্যু সিলেট মহিলা সমিতির সভানেত্রী ছিলেন। তাঁর দাদা খান বাহাদুর আব্দুর রহিম মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) এবং আসাম সিভিল সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।

মুহিত ছাত্রজীবনে অত্যন্ত উজ্জ্বল মেধাবী ছিলেন। ১৯৫১ সালে তিনি সিলেট এমসি কলেজ থেকে তৎকালীন সারা প্রদেশে আইএ পরীক্ষায় প্রথম স্থান, ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এমএ পাস করেন। তিনি সলিমুল্লাহ হল ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সর্বদলীয় কর্মপরিষদের আহবায়ক ছিলেন। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি লাভ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আবদুল মুহিত ভাষা সংগ্রামেও অংশ নিয়েছেন। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে বিশেষ নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন। তারও আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ১৯৪৭ সালের ৯ নভেম্বর, ৩০
নভেম্বর এবং ২৮ ডিসেম্বর তিনটি সভার আয়োজন করেছিল। সবকটি সভাতেই তিনি সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে আইয়ুব খানের ডাকে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধুসহ পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা এবং ডেপুটি সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটন দূতাবাসে তিনিই প্রথম কূটনীতিক বাংলাদেশের পক্ষে অনুগত্য প্রকাশ করেন। তখন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে তিনি সদস্য সচিব ছিলেন।

১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদানের পর মুহিত তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার, পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি পরিকল্পনা সচিব এবং ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগে সচিব পদে নিযুক্ত হন।

মুহিত পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের চিফ ও উপসচিব থাকাকালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তার ওপর ১৯৬৬ সালে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করেন। সংবিধানের বাধ্যবাধকতা পালনে পাকিস্তান ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলিতে এটিই ছিল এবিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন।

অর্থনৈতিক কূটনীতিতে মুহিত সবিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় তিনি একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব।

১৯৮১ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে তিনি অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরামর্শক হিসেবে ফোর্ড ফাউন্ডেশন এবং ইফাদে কাজ শুরু করেন। তখন জাতিসংঘ সম্মেলনে স্বল্পন্নোত দেশের প্রথম কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হন।

১৯৮২ সালের মার্চ মাস থেকে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮৩-৮৪ তে এসকাপের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে উড্রো উইলসন স্কুলে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন।

মুহিত ২০০৮ সালে সিলেট-১ সংসদীয় আসনে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত এ দায়িত্বে বহাল ছিলেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি সর্বাধিক সংখ্যক ১২টি বাজেট প্রণয়ন করেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তিনি একজন পথিকৃৎ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এবং পূর্বসুরি ‘পরশ’ এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

লেখক হিসেবেও মুহিত সমান পারদর্শী। উন্নয়ন এবং স্মৃতিচারণ মিলিয়ে নিজের লেখালেখিতে সদা সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ইতিহাস, জনপ্রশাসন এবং রাজনৈতিক সমস্যা সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ২৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ২০০০ সালে তাঁর লেখা ‘বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্রের উদ্ভব’ জাতীয়
আরকাইভসের বিচারে সেরা গ্রন্থ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে।

আবুল মাল আবদুল মুহিতের জীবন ও কর্মের আলোকময় দিক নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম প্রজ্ঞাদীপ মুহিতমানস। এক অসাধারণ গ্রন্থ। ৭৩২ পৃষ্ঠার এই অনন্য প্রকাশনার ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস আনিসুজ্জামান। গ্রন্থের ‘মুগ্ধতার বয়ান ও স্মৃতিপাঠ’ পর্বে মুহিত জীবনের আলোকময় ব্যক্তিগত দিক থেকে শুরু করে উঠে এসেছে তার সহপাঠী, সহকর্মী ও সমকালীন লেখকদের মুহিত-পর্যালোচনা। এ পর্বে লিখেছেন রফিকুল ইসলাম, ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জেবা রশীদ চৌধুরী, নাসিরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী, নূরুল ইসলাম, মো. আবদুল আজিজ, বিজিত কুমার দে, কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, মনিরুজ্জামান, শামসুজ্জামান খান, রামেন্দু মজুমদার, আবদুল বায়েস, মফিদুল হক, স্বদেশ রায়, হারুন-অর-রশিদ, মুনতাসীর মামুন, শাহলা খাতুন, নূহ-উল-আলম লেনিন, এম. মোকাম্মেল হক, মো. সালেহ উদ্দিন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সেলিনা হোসেন, এ.কে আবদুল মোমেন, মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, গ ক ম আলমগীর, তবারক হোসেইন, মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, আহমদ আল-কবির, আজিজ আহমদ সেলিম, আশফাক হোসেন, আহমদ সিরাজ, তাজুল মোহাম্মদ, সেলু বাসিত, মাসুদা ভাট্টি, মো. আবু তাহের, এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম, ফাহিমা ইয়াসমিন, সর্ব্বানী অর্জ্জুন, সুজাত আলী রফিক, মুক্তাদীর আহমদ, অপূর্ব শর্মা।

গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম ‘বয়ন-অন্তর্বয়ন ও দৃষ্টিপাত’। এ অধ্যায়ে মূলত আলোকপাত করা হয়েছে মননশীল লেখক মুহিতের গ্রন্থপরিচয় ও লেখা সমূহের বিচার বিশ্লেষণ। এ পর্বে লিখেছেন সালেহ মাহমুদ রিয়াদ, রসময় মোহান্ত, নন্দলাল শর্মা, নৃপেন্দ্রলাল দাশ, মিহিরকান্তি চৌধুরী, গোলাম রব্বানী, এ
কে শেরাম, শামসুল করিম কয়েস, নজমুল হক, তাপসী চক্রবর্তী, আসমা-উল-হোসনা, দীপংকর মোহান্ত, মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, শংকর চৌধুরী, হোসনে আরা কামালী, রজত কান্তি ভট্টাচার্য, জয়ারাণী আইন, প্রণবকান্তি দেব, আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।

এ গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে কবিতার পঙ্তিমালা ‘আলোকের পারাবত’। কবি দিলওয়ার, নির্মলেন্দু গুণ, নৃপেন্দ্রলাল দাশ, এ কে শেরাম, মাশুক ইবনে আনিস, শামস নূর, মোহাম্মদ হোসাইন, পুলিন রায়, আবিদ ফায়সাল প্রমুখ কবি মুহিতকে তুলে ধরেছেন কবিতার উপমা-উৎপ্রেক্ষায়।

গ্রন্থের চতুর্থ অধ্যায় বিন্যস্ত হয়েছে আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাক্ষাৎবচন ‘জীবনের গান, প্রাণের ফোয়ারা’ অভিধায়। এ অধ্যায়ে বিভিন্ন সময়ে মুহিত প্রদত্ত চারটি সাক্ষাৎকার স্থান পায়। সাক্ষাৎবচন পর্বে আছে দেশ টিভি সাক্ষাৎকার : আসাদুজ্জামান নূর, কালের কণ্ঠ সাক্ষাৎকার : আহমেদ নূর, প্রথম আলো সাক্ষাৎকার : সোহরাব হাসান, শওকত হোসেন, ফখরুল ইসলাম, এবং অভিমত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মুক্তাদীর আহমদ। গ্রন্থের পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে রয়েছে মুহিতের নির্বাচিত কিছু সময়োপোযোগী রচনা, সন্নিবেশিত হয়েছে তার বর্ণাঢ্য জীবন ও রচনাপঞ্জি, বিভিন্ন গ্রন্থে পত্রস্থ প্রবন্ধ-নিবন্ধ।

একজন বাঙালি মনীষার জীবন ও কর্মের অতলস্পর্শী দলিলটি সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গবেষক ডক্টর আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। গ্রন্থের প্রচ্ছদ একেছেন শিল্পী তামিম বিন ইমদাদ। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে প্রত্মপাঠ প্রকাশনী।

কবি ও ছড়াকার মাশুক ইবনে আনিসের আমন্ত্রণে লেখক ও প্রকাশক শামস নূরের প্যারাডাইম অফসেট প্রেসে গিয়ে এই অসাধারণ গ্রন্থটি পেলাম। একজন ব্যক্তির প্রজ্ঞার যে বহুমাত্রিক স্ফুরণ ঘটতে পারে এ গ্রন্থটি পাঠ না করলে বুঝা যাবে না। একজন অনন্য মনীষার জীবন ও কর্মের অতলস্পর্শী দলিল এটি। সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবুল মাল আবদুল মুহিত স্বতন্ত্র মহিমায় প্রদীপ্ত আলোকশিখা হিসেবে ভাস্কর হয়ে আছেন। তিনি গতানুগতিক ধারার রাজনীতিক নন। একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। অন্যান্য রাজনীতিকদের সঙ্গে তাঁর তুলনা হয় না। রাজনীতিক না বলে তাঁকে বুদ্ধিজীবী বলা ভালো।

পারিবারিক জীবনে মুহিত একজন রসঘন সংসারী পুরুষ। স্ত্রী সৈয়দ সাবিয়া মুহিত বিশিষ্ট ডিজাইনার। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে প্রথম কন্যা সামিনা মুহিত একজন ব্যাংকার এবং মুদ্রানীতি ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিউইয়র্কে রয়েছেন। জ্যেষ্ঠপুত্র সাহেদ মুহিত স্থপতি ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। কনিষ্ঠ পুত্র সামির মুহিত টেক্সাসের হিউস্টনে শিক্ষকতা করছেন।

   

পটিয়ায় ট্রাক-বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে ট্রাক-মিনিবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকসহ অনন্ত ৫ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে পটিয়া পৌরসভার আমজুর হাটে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রাকচালকের নাম মো. আবদুর রউফ (৩০)। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা। তবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি। সবাইকে পটিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারমুখী একটি মিনিবাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ড্রাইভারের বামপাশে দরজার অংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রাকটিরও। ট্রাকচালক পায়ে আঘাত পেয়েছে। এর আগে ওই বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

পটিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস এবং সিমেন্টবাহী ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাকে আমরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে সড়ক পিছলা হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ট্রাক ও বাস আটক করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

হবিগঞ্জে নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ৪ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখী সংঘর্ষে নারী পুরুষ ও শিশুসহ এক প্রাইভেটকারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত ৫ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৪ জন।

নিহতরা হলেন, মৌজালী মৃধার ছেলে জামাল মৃধা (৪২) ও খোকন মৃধা (৩৫), নিহত জামাল মৃধার স্ত্রী কামরুন নাহার (৩০) ও ছেলে কাওসার (১২)। এছাড়াও তাদের সাথে ড্রাইভারও মারা গেছে।

নিহতদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের চৌরাস্তা স্থানে। এ ঘটনায় নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

বুধবার (২ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হরিতলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত জামাল ও খোকনের মামা মোঃ সোনা মিয়া বলেন, নিহত জামাল মৃধা ঢাকার সাভারে পরিবার নিয়ে থাকত। জামাল মৃধার ইলেকট্রিক্যাল দোকান ছিল এবং খোকন মৃধা গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করত। ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কাওসারের মানত থাকায় সপরিবারে সিলেট শাহজালাল মাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার আগে সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে নিহত জামাল মৃধা তার মায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ হবিগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। মরদেহ পটুয়াখালীতে কখন আনা হবে সে বিষয়ে এখন তথ্য পাইনি।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। নিহতদের দাফনসহ নিহতের পরিবারের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন কাজ বরবে।

;

এলপি গ্যাসের দাম কমলো



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোক্তা পর্যায়ে আরেক দফা কমানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটো গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।

এর আগে এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

;

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার ইচ্ছে নেই: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছে নেই। তবে যারা সরকারের উন্নয়নের অপপ্রচার করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সেই সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন কে থামানোর জন্য বিদেশি স্পনসরশীপে অপপ্রচার চালানো হয় বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর ধানমন্ডি টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে 'বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় এই অভিমত জানানো হয়। ইউনেস্কো, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং আর্টিকেল নাইনটিন-এর যৌথ এই সভার আয়োজন করা হয়।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিদেশি সহযোগীতা গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের কিছু জায়গা থেকে সিস্টেমেটিক ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন করা হয়।সরকারের উন্নয়ন কে বাঁধাগ্রস্থ করতে এ ধরণের প্রচারণা চালানো হয়। এটা কেনো হয় আমরা জানি। বিদেশী স্পনসরশীপে এটা করা হয় মাঝে মধ্যে। হিল ট্র‍্যাকস, গার্মেন্টস নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যা হচ্ছে ভারত নিয়ে মিথ্যাচার। রিপোর্টিং এর সত্যতা থাকতে হবে, যে কোন ধরণের সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে মিথ্যাচারকে নয়। সরকারের কার্যক্রম নিয়ে যে কোন সমালোচনা যে কেউ করতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে যখন ধারাবাহিক মিথ্যাচার করা হয় তখন প্রশ্ন ওঠে।

রামপাল নিয়ে মিথ্যাচারকে অশুভ প্রচেষ্টা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো এটা বলা হয়েছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভারতে করতে দেওয়া হয়নি, এজন্য বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি করে করা হয়েছে। এনটিপিসি যারা আমাদের পার্টনার তাদের কোন ঠেকায় পরেনি যে এখানে প্ল্যান্ট করবে। ভারতের নিজেরই প্রচুর জ্বালানি প্রয়োজন। এখানে এনটিমিসির আসার কোন প্রয়োজন নাই। আমরা নিজের স্বার্থে তাদের এনেছি। এনটিপিসিকে নিজে ৭০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওর আরও ৭০ হাজার উৎপাদন করার সক্ষমতা আছে। ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে আমরা বিনিয়োগ এনেছি, এনটিপিসির সঙ্গে পার্টনারশিপ করেছি। যেহেতু তাদের বিনিয়োগ ৫০ শতাংশ, অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশপাশি ৫০ শতাংশ লাভ নেওয়া যাবে। দিন শেষে এটা ব্যবহার করবে এদেশের মানুষ।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নামে যখন এর অপব্যবহার হয় তখন এটার পরিণাম খুবই ভয়াবহ, এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের প্রসার ও এর স্বাধীনতার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে। আমার প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে সবাইকে আমরা স্বাগত জানাই যারা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে চায়। আমরা শুধু উন্নয়নই করতে চাই না আমরা টেকসই উন্নয়ন করতে চাই, যেটা আমাদের পরিবেশকে সুরক্ষা দিবে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারকে যে সহযোগিতা করবে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

পরিবেশ রক্ষায় কোন প্রতিবেদন করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক আক্রমণের স্বীকার হয় তাহলে তাকে সুরক্ষা দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। তবে সেটা যেন সঠিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে, ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট, এআই অ্যাক্ট নিয়ে আইন হচ্ছে। কোন আইনের যেনো অপব্যবহার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, তবে আইনের প্রয়োজনীয়তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নামে কেউ যদি এর অপব্যবহার করে সেটা রোধ করতে হবে। আইন যেমন প্রয়োজন ঠিক একইভাবে কোন আইনের যাতে অপব্যবহার না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কোন আইনের অপব্যবহার হলে সকলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। তথ্য অধিকার আইনে যে সকল তথ্য জনগণের জানার অধিকার রয়েছে সে সব তথ্য সরকারি সংস্থাকে দিতে বাধ্য।

অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি কোন আইনে অসঙ্গতি থাকে সেগুলো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন করা হবে, সরকারের কোন উদ্দেশ্য নেই আইন দ্বারা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা।

সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ মোকাবিলায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। ক্রমবর্ধমান ভূমি দস্যুতা, উন্ননয়নের নামে জীব বৈচিত্র ধ্বংস করা, নগরায়নের নামে জবর দখল এখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। পরিবেশের উপর এমন আগ্রাসনে ক্ষমতাসীনদের একাংশ লাভবান হচ্ছে বিধায় এদের সুরক্ষা দিচ্ছে তারা। এসব নিয়ে যারা কাজ করবে গণমাধ্যমসহ সুশীল সমাজ সেই পরিবেশ দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। আইনের মধ্যেও দুর্বলতা রয়েছে। যাদের আইন প্রয়োগ করার কথা, জবাবদিহীতা নিশ্চিত করার কথা তাদের ও যোগ সাজোশ রয়েছে। সম্প্রতিক বছরগুলোতে ২৩টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, ৪৩ জন সাংবাদিক হামলা মামলার শিকার হয়েছে এই কাজ করতে গিয়ে। বিভিন্ন সংস্থার ফান্ড বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে, হামলার ঘটনা ঘটেছে, তৃণমূলে দখলটা বেশি এসব এলাকায় ঝুঁকিটা বেশি, যদি আমরা এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে না পারি।

তিনি আরও বলেন, কোনভাবেই মিডিয়া এবং সিভিল সোসাইটির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা যাবে না। এর জন্য ভয়াবহ পরিণতি হবে। ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথে আন্তর্জাতিক যোগসাজসেও পরিবেশ ধ্বংস করা হয়, এর বড় উদাহরণ সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর প্রতিবাদ করায় কিছু পরিবেশবাদী নেতার ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিলো।

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট ফোরাম এর সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বলেন, সাংবাদিকতা সারা বিশ্বেই চ্যালেঞ্জের মুখে। পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। বালু মহল, পাহাড় কেটে লেক। এসবের পেছনে অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা জড়িত। তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। টিভি সাংবাদিকদের দেখার কেউ নাই। ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা কোন একটা কাজ করতে গেলে বিপদে পড়লে কেউ পাশে থাকে না।

;