বরিশালে ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকাগামী যাত্রীরা
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে বন্ধ থাকা পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা চালু করার ঘোষণায় বিপাকে পড়েছে বরিশালে আটকে পড়া কয়েক হাজার শ্রমিক। ঢাকায় কর্মসংস্থানে যোগ দিতে যানবাহন সংকটে পড়েছে তারা।
সরকারি নির্দেশনা থাকলেও বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে বাস চলাচল করলেও ছেড়ে যায়নি কোন লঞ্চ। যাত্রীর তুলনায় সড়ক পথে যানবাহন কম থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এসব যাত্রীরা।
গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। চাকরি বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই যে যার মত করে ছুটছেন ঢাকার উদ্দেশে।
ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল নদীবন্দর থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের সরকারি নির্দেশ থাকলেও খরচের তুলানায় যাত্রী কম থাকায় রোববার (০১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান, ১টি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকা যেতে আসতে সাড়ে ছয় হাজার লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু খরচের তুলনায় যাত্রী কম হওয়ায় কোন লঞ্চ না ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
এতে ভিড় বেড়েছে নগরীর নথুল্লাবাত কেন্দ্রীয় টার্মিনালে। ঢাকায় যাওয়ার জন্য পরিবহনের জন্য টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন অনেকে। আবার অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের।
ঢাকাগামী নয়ন নামে এক যাত্রী জানান, বাসে কোন টিকিট পাইনি ৷ তাই বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে মাইক্রোবাসে যাচ্ছি।
সুরভী লঞ্চ কোম্পানির পরিচালক রিয়াজুল কবির জানান, প্রশাসন থেকে আমাদের লঞ্চ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু একটি লঞ্চ ঢাকা যেতে ৬০ থেকে ৭০ ব্যারেল তেল দরকার হয়। যাত্রী না হলে আমরা কিভাবে লঞ্চ ছাড়ব। লোকসান করে লঞ্চ চালানো সম্ভব নয়। এতদিন লোকসান দিছি। আর পারছি না।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঢাকাগামী যাত্রীদের কথা চিন্তা করে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত যাত্রী না থাকায় বরিশাল থেকে কোনো লঞ্চই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি।
তবে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ভোলাসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটে পাঁচটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়েছে।
তিনি জানান, ঢাকাগামী কিছু যাত্রীকে পৌঁছে দিতে ‘এডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চটি রোববার রাতে বরিশাল থেকে ছেড়ে যাবে। তবে যাত্রী বাড়লে আরও লঞ্চ ছাড়বে বলেও জানান তিনি।