অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়েছে: সিটিটিসি প্রধান
বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদের প্রত্যক্ষ কোনো অপতৎপরতা দেখা না গেলেও অনলাইনে তাদের তৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জঙ্গি দমনে গঠিত কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান এ তথ্য জানান।
তিনি বলন, অফলাইনে তাদের (জঙ্গিদের) তৎপরতা নেই, তবে তারা অনলাইনে সক্রিয়। যদিও এজন্য নগরবাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কোনো ঘটনা ঘটার আগেই জঙ্গি সদস্যদের গ্রেফতার করছে সিটিটিসি।
গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে শক্তিশালী একটি বোমা উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থেকে গতকাল (রোববার) দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের গ্রেফতারের পর সিটিটিসি প্রধান বলেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, শফিকুর রহমান হৃদয় ওরফে বাইতুল্লাহ মেহসুদ ওরফে ক্যাপ্টেন খাত্তাব ও মো. খালিদ হাসান ভূঁইয়া ওরফে আফনান।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম লাল রঙের বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ, তিনটি বিউটেন গ্যাসের ক্যান, একসেট রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, ৪ প্যাকেট ছোট সাইজের বিয়ারিং বল, ১০টি ক্রিসমাস বাল্ব, দুটি কালো রঙের ইলেকট্রিক টেপ, একটি আইইডি তৈরির ম্যানুয়াল, হামলায় ব্যবহৃত লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১১ জুলাই সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও সোয়াট টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজার থানার নোয়াগাঁও এলাকা থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার করে।