ভুয়া ডিবি পুলিশ ধরা পড়ল আসল পুলিশের হাতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ভুয়া ডিবি পুলিশ ধরা পড়ল আসল পুলিশের হাতে

ভুয়া ডিবি পুলিশ ধরা পড়ল আসল পুলিশের হাতে

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আসামি ধরতে গিয়ে আসল পুুলিশের হাতে ধরা খেলেন দুই প্রতারক।

রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

দুই প্রতারক হলেন- উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বাতাসন দুর্গাপুর মৌসুমীপাড়া গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে কামরুজ্জামান ও জায়গীর বাসস্ট্যান্ড মসজিদ সংলগ্ন সাইফুল ইসলামের ছেলে দুলাল মিয়া।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরিফুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল মেকানিক কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামে বিয়ে করেন। সেখানে বউয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে ২৭ জুলাই শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরিফুলকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর সুযোগ বুঝে আরিফুলের পরিবারের লোকজনও তার শ্বশুরবাড়ির একজনকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে আরিফুলের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করা হয়। এরপর কাফ্রিখাল ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে দুলাভাইয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে যান আরিফুল ইসলাম। এ সুযোগে রোববার ভোরে কামরুজ্জামান ও দুলাল নামের দুজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই বাড়িতে আরিফুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেননি। পরে তারা ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানার পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আরিফুলের বোন বেবি নাজনিন বাদী হয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, আসামিদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আরিফুলের নামে মামলা ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশ সেজে তার বাড়িতে যায়। সেখানে তারা পুলিশের পরিচয় দেয় এবং চাঁদা দাবি করে। পরে খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুইজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

   

শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল, সিদ্ধান্ত শিগগিরই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যানজট নিরসনে সপ্তাহে শুক্রবার ব্যতীত ৬ দিনই চলাচল করছে বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহণ মেট্রোরেল। তবে যাত্রীদের চাহিদার বিবেচনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও (শুক্রবার) মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সূত্র জানায়, আগামী জুলাই মাস থেকে শুক্রবারেও অন্যান্য দিনের মতো মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে জুন মাসের মধ্যে পিক আওয়ারের হেডওয়ে ৮ মিনিট থেকে কমিয়ে ৫ মিনিট করা হতে পারে বলেও সূত্র জানায়।

তবে বিষয়টি এখনই প্রকাশ্যে আনতে নারাজ ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ। ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই।

তিনি বলেন, যদি এরকম কোন সিদ্ধান্ত হয় তাহলে এমডি স্যার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।

এদিকে, বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৯টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

;

আশা-হতাশার ডোনাল্ড লুর সফর



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
আশা-হতাশার ডোনাল্ড লুর সফর

আশা-হতাশার ডোনাল্ড লুর সফর

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ফের বাংলাদেশ সফর করছেন। উপমহাদেশের বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সরব থাকা এই কূটনীতিকের ঢাকা সফর উল্লেখের দাবি রাখে। যদিও তার এই সফর রাজনৈতিক কর্মসূচিভিত্তিক নয়, স্রেফ কূটনীতিক সফর।

নানা কারণে এ-অঞ্চলে আলোচিত ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের সবশেষ অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। আলোচিত ছিলেন ভিসানীতি নিয়ে চলা সকল আলোচনায়। বাংলাদেশের নির্বাচনের রাজনীতি নিয়ে হস্তক্ষেপ করার মতো পরিস্থিতির তৈরি করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া নিয়ে হম্বিতম্বি ছিল মার্কিনীদের। বাংলাদেশ সফর করেছেন একাধিকবার। তাদের সেই সব সফর, নানা মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার খোরাক যুগিয়েছে। সরকার বিব্রত হয়েছে, সরকারবিরোধী দল বিএনপি আশাবাদী হয়েছে, জনগণ ছিল অনিশ্চয়তায়।

গত জানুয়ারিতে বিএনপি ও সমমনা দল আর জোটগুলোর বর্জনের মধ্যে দিয়ে ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুমিতভাবে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা থেকেছে। নতুন সরকারের সঙ্গে আমেরিকার আগের সম্পর্ক এখন নেই। বাংলাদেশ-আমেরিকার মধ্যকার অবিশ্বাসের যে সম্পর্ক সে সম্পর্ক যদিও মধুর হয়নি, তবে বিধুর সম্পর্কের পর্যায় থেকে কিছুটা সহনশীলতার পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। আগের মতো আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপিরা, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও আমেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করছেন না।

দ্বাদশ সংসদ নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক আলোচনা ছিল। আলোচনায় ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তার অতি-তৎপরতা সে সময় আলোচিত ছিল, সমালোচিত ছিল। তবে নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এরপর মন্ত্রণালয়-মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অবিশ্বাস দূর করার চেষ্টা করেছেন, সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছেন। নির্বাচনের আগের আমেরিকা আর নির্বাচনের পরের আমেরিকার অবস্থানের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তখন। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আশা ছিল নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না আমেরিকা, এমনকি সহযোগিতা বন্ধ করে দেবে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে; কিন্তু এর কিছুই হয়নি। আমেরিকা নতুন সরকারকে ‘অভিনন্দন বার্তা’ না পাঠালেও সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি দুই দেশের জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক’ উল্লেখ করে দেওয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থনের পাশাপাশি একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় ঢাকার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। চিঠিতে জো বাইডেন লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর পর্বে আমি বলতে চাই, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ আরও অনেক ইস্যুতে আমাদের প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করার ঐকান্তিক ইচ্ছা আমি তুলে ধরছি।’

বাইডেনের ওই চিঠির জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে বলে দৃশ্যমান হয়। যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ছিল আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রে, সেটা আগের মতো থাকেনি। ভিসা নিষেধাজ্ঞা, শ্রমনীতি নিয়ে নিষেধাজ্ঞার যে আলোচনা সেটাও কমতে শুরু করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আলোচনার বাইরে চলে যাওয়ায় এ-নিয়ে এখন দেশেও কেউ কথা বলছে না। সরকারের মধ্যকার থাকা বিব্রতকর অবস্থা কমতে শুরু করেছে, নির্বাচনের আগে আমেরিকাকে নিয়ে বিপুল আশাবাদী হয়ে ওঠা বিএনপিও বুঝতে পারছে মার্কিনীদের ওপর নির্ভর করে থাকাটা সঠিক ছিল না তাদের।

নির্বাচনের আগে পিটার হাস ও তার ভূমিকা নিয়ে এতখানি মগ্ন ছিল বিএনপি যে, ওই রাষ্ট্রদূত ‘অবতার’ হয়ে এসেছেন বলে প্রকাশ্য বৈঠকে মন্তব্য করে। পিটার হাসকে অবতার আখ্যা দেওয়া ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর তখন ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং খালেদা জিয়া সরকারের দুইবারের প্রতিমন্ত্রী। আন্দোলন চলাকালে নাশকতার একটা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন। এরপর জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন, এবং বিজয়ীও হন। কেবল শাহজাহান ওমরই নন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বারবার ধর্না দিয়েছেন পিটার হাসের কাছে, গোপন বৈঠকও করেছেন একাধিকবার। এর কিছু তারা স্বীকার করেছেন, আবার কিছু বৈঠকের তথ্য প্রথমে স্বীকার করলেও পরে অস্বীকার করেছেন।

সরকার হটাতে একদা আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল বিএনপি। এই অতি-নির্ভরশীলতার একটা পর্যায়ে তারা জনগণের ক্ষমতাকে অগ্রাহ্য করেছিল প্রায়। নির্বাচনের পর বাংলাদেশ-আমেরিকার সম্পর্কে স্বাভাবিকের পথে যাওয়ায় প্রথমে তারা ভারতকে দুষেছিল। আর এখন ঠিক রাজনীতির পথে ফিরতে শুরু করেছে। আমেরিকা নিয়ে তাদের আশাবাদে ধাক্কা লাগায় এখন তারা ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেই তার প্রমাণ মিলেছে। তিনি বলেছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই।’ মির্জা ফখরুল বলছেন, ‘তাদের দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’ কেবল মির্জা ফখরুলই নন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে।’ তিনি ডোনাল্ড লুর সফরের চাইতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘কুকি- চিনের’ আচরণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। তার দাবি, ‘সরকার এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।’

ডোনাল্ড লু কলম্বো হয়ে ঢাকা এসেছেন। তার সফরসূচি এই অঞ্চল নিয়ে তাদের আগ্রহের কথাটাই বলছে। সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব ড. মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তার। সফরসূচিতে বিএনপির সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি এখন পর্যন্ত নেই। অর্থাৎ সফরটা আগাগোড়া কূটনৈতিক, সরকারের ভাষ্যে সম্পর্কোন্নয়নের।

জো বাইডেনের চিঠিতে উল্লেখ ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর পর্ব’ শব্দগুলো ডোনাল্ড লুর বর্তমান সফরে আলোচিত হচ্ছে। সরকার এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, বিশেষ করে নানা বক্তব্যে-মন্তব্যে। সফরসূচিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি না থাকায় ডোনাল্ড লু যে বাংলাদেশে আসছেন অংশীদারত্বমূলক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে তা দৃশ্যমান হচ্ছে।

ডোনাল্ড লু এবারের সফর আর ঠিক আগের ঢাকা সফরের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দৃশ্যমান। আগে যখন তিনি এসেছিলেন তখন বিএনপি ছিল আশাবাদী হওয়ার দলে, সরকার ছিল বিব্রতকর অবস্থায়। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। আগের আশাবাদীরা এখন হতাশ, আবার আগের বিব্রতকর অবস্থায় থাকারা এখন আশাবাদী হওয়ার দলে। দেশে-দেশের সম্পর্ক, কূটনীতি ও কূটনীতিক, এমনই তো হয়! নয় কি?

;

বিভিন্ন দাবিতে বরিশালে বাসদ-রিকশাভ্যান সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাসচাপায় শ্রমিক হত্যার বিচার, বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও মহাসড়ক ৬ লেনে প্রশস্তকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে বাসদ এবং ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) কাশিপুরে বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে বাস চাপায় শ্রমিক হত্যার বিচার, গড়িয়ার পাড় থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণ, এবং বরিশালের আঞ্চলিক মহাসড়ক ছয় লাইনে প্রশস্তকরণসহ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

সমাবেশে বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য ও বরিশাল রিকশা-ভ্যানচালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল মল্লিক, বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য শহিদুল ইসলাম, শহিদুল শেখ, নিহত শ্রমিক শুভর আত্মীয় মোহাম্মদ সেলিম, ইজিবাইকচালক সংগ্রাম পরিষদের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী তালুকদার, বরিশাল রিকশা-ভ্যান-চালক শ্রমিক ইউনিয়নের মোহাম্মদ মনির হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন সিকদার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর সরকার জনগণকে স্বৈরাচারী শাসন থেকে চোখ ফেরাতে উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে পদ্মা সেতুকে দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পদ্মাসেতুর মধ্য দিয়ে যুক্ত হওয়া নতুন রুটের শতাধিক গাড়ি বরিশালের অপ্রশস্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের জন্য এক মৃত্যুফাঁদ তৈরি করেছে।

এতে করে ১৩ মে রাজমিস্ত্রি শুভ রাস্তা পার হতে গিয়ে যমুনা বাসের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। শুভর এই মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড।

তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে যে রকম বাস চালক এবং বাস কর্তৃপক্ষের দায় রয়েছে, ঠিক তেমনি অপ্রশস্ত মহাসড়ক প্রশস্ত না করা, গড়িয়ার পাড় থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত বাইপাস নির্মাণ না করা, গুরুত্বপূর্ণস্থানে ফুট ওভার ব্রিজ না থাকার জন্য দুর্ঘটনা অনেকগুণ বেড়েছে। কাজেই, এই দুর্ঘটনার পেছনে শাসকদের দায়ও রয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে বাসচাপায় শুভ হত্যার বিচার দাবি করেন।

একইসঙ্গে বক্তারা অবিলম্বে গড়িয়ারপাড় থেকে রূপাতলী পর্যন্ত প্রতিশ্রুত বাইপাস সড়ক নির্মাণ, বরিশাল জেলার সব মহাসড়ক ৬ লেনে প্রশস্তকরণ, থ্রি হুইলারের জন্য সাইডলেন চালু, বরিশাল নগরীর সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্পিড ব্রেকার-পার্কিং স্ট্যান্ড ও ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি জানান।

;

৭ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে শুক্রবার (৭ জুন) ভোর ৫ টায় ঢাকার হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ হাফ ম্যারাথন।

এ উপলক্ষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ প্রতিযোগিতার সব আপডেট প্রকাশের লক্ষ্যে তৈরিকৃত ওয়েবসাইট উদ্বোধন করলেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর মিন্টুরোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘জয় বাংলা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৪’র রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের উদ্যোগে হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হচ্ছে। ৭ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে তারিখটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই তারিখটি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য বিখ্যাতভাবে স্মরণ করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণ নামে পরিচিত এই ভাষণটি বাঙালি জনগণকে জাগিয়ে তুলতে এবং স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। 'জয় বাংলা' স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তাই ৭ মার্চ, ১৯৭১, বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে যাত্রার সূচনার প্রতীক এবং বাঙালি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্বের অন্বেষণে তাদের সাহস, সংকল্প এবং স্থিতিস্থাপকতার স্মারক হিসেবে কাজ করে।

এর আগে, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে এখনও একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট অব রেফারেন্স। দিনগুলোর তাৎপর্য স্মরণে রাখতে জয় বাংলা ম্যারাথন নামকরণ করা হয়েছে। এই ম্যারাথনের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে একটি সুস্থ ও সক্রিয় লাইফ স্টাইল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা।

তিনি বলেন, হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবে। প্রতিযোগীদেরকে ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১০ জনকে পুরস্কার প্রদানসহ অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে জার্সি, মেডেল ও সার্টিফিকেট। ম্যারাথনের সময় পুরো ট্র্যাক জুড়ে দৌড়বিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একাধিক মেডিকেল টিম এবং হাইড্রেশন পয়েন্ট, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোন নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

পিবিআই প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাব প্রতি বছর ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনস, মিল ব্যারাক, গেন্ডারিয়া, ঢাকায় ৪০০ থেকে ৮০০ মিটর দৌড়সহ কয়েকটি ইভেন্টের আয়োজন করে, যার অংশগ্রহণকারী ছিল পুলিশ সদস্যরা। আমরা বৃহৎ পরিসরে সাইক্লিং অথবা ম্যারাথন আয়োজনের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে একাধিক মিটিং করি এবং কমিটি গঠন করি।ম্যারাথন আয়োজন চ্যালেঞ্জিং হলেও আমরা এর বাস্তবায়নে অনেকদূর এগিয়েছি। সবার সহযোগিতায় এ মেগা ইভেন্টে বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।

"জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪" এর সভাপতি এবং সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম বারের মতো একটি বড় ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটিতে ৫ হাজার প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ হওয়ায় আয়োজকদের কার্যপরিধি বিশাল। সময় কম হলেও আমরা তা করছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ম্যারাথন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও পুরস্কার বিতরণ করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জয় বাংলা ম্যারাথন এর সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া), এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর), পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, পিবিআই মিডিয়া শাখার প্রধানসহ প্রমুখ।

;