সড়ক নিরাপত্তায় নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই



সা‌ব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ব্যস্ততম বাংলামোটর মোড় থেকে কিছু দূরে বাসস্টপ চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড লাগায় পুলিশ। তার পাশেই নির্মাণ করা হয় যাত্রী ছাউনী। কিন্তু একদিনও সেখানে বাস থামতে দেখা যায়নি। এছাড়াও রাজধানীর কুড়িল থেকে মালিবাগ পর্যন্ত প্রগতি স্মরণী সড়কে অনেক জায়গায় বাসস্ট্যান্ড লেখা সাইনবোর্ড কেবল খুঁটিতেই ঝুলছে। সেখানেও একই চিত্র।

মূলত স্কুল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সড়ক নিরাপত্তায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। যেমন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশকে বাসস্টপ চিহ্নিত করে ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছি। পুলিশ প্রথম কিছুদিন ওই নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করেছিল। কিন্তু এখন বাসস্টপে বাস থামাতে পুলিশের পদক্ষেপ দেখা যায় না।

এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ (২২ অক্টোবর) দেশে নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর নিরাপদ সড়কের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাস্তবে সড়কের অবস্থা আগের মতোই আছে।

জানা গেছে, গত জুন মাসে দূরপাল্লার রুটে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাসে দু’জন চালক রাখাসহ প্রধানমন্ত্রী ৬ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়ন করা হয়নি।

পরিবহন মালিকদের দাবি, ‘টানা ৫ ঘণ্টার বেশি একজন চালক গাড়ি চালাতে পারবেন না’- এই নির্দেশনা মানতে গেলে সব গাড়িতে দু’জন চালক রাখতে হবে। কারণ দেশে ৫ ঘণ্টার কম কোনো দূরপাল্লার রুট নেই। এক্ষেত্রে ১৫ হাজার দূরপাল্লার গাড়ির বিপরীতে ৩০ হাজার চালক প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের আছে মাত্র ৭ হাজার চালক।

এ বিষয়ে বাং‌লা‌দেশ সড়ক প‌রিবহন মা‌লিক স‌মি‌তির মহাস‌চিব ও এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনা‌য়েত উল্ল্যাহ বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘দে‌শে মোট বাস-ট্রাক-ট্যাংক-ল‌রি আছে সাড়ে ৩ লাখ। এর মধ্যে শুরু হয়েছে ২ জন চালক রাখার সংকট। কিন্তু অনেকের হেভি লাই‌সেন্সই নেই। তাই দক্ষ ড্রাইভার তৈরিতে বেশ বিপদে আছি। তবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনা পরিবহনের ৬০০ চালকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’

গত সে‌প্টেম্বর মাসে পরিবহন মা‌লিক‌দের এক সভায় খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ জানিয়েছিলেন, ‘‌প্রয়াত মেয়র আ‌নিসুল হক ও আমি রাজধানীতে ৪ হাজার বাস নামানোর কাজ শুরু করেছিলাম। তিনি মারা যাওয়ায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবরা বিষয়টি কোনো সভায় তুলতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু আবার কাজটি শুরু হয়েছে। আমরা চাই বিষয়টা হোক। মা‌লিকরা এর পক্ষে আছে।’

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম ছিল গাড়ি চলন্ত অবস্থায় সিটবেল্ট বাঁধা। কিন্তু সেটা এখন শুধু কাগজে কলমেই থেকে গেছে। গ্রিণলাইন পরিবহন কোম্পানি দেশে স্ক্যানিয়া, ভলভো ও ম্যান ব্রান্ডের বাস চালায়। তাদের কোনো বাসে সিটবেল্ট নেই। সম্প্রতি যুক্ত হওয়া ডাবলডেকারেও সিটবেল্ট নাই। এছাড়া সোহাগ, লন্ডন এক্সপ্রেস, হানিফ, শ্যামলি ও এনা পরিবহনসহ বিলাসবহুল কোনো বাসে সিটবেল্ট সুবিধা পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিকরা জানিয়েছেন, দেশে কোনো সিট‌বে‌ল্টযুক্ত বাস আসে না। তারা শিল্প মন্ত্রণালয়‌কে সিটবেল্টযুক্ত বাস আমাদানির কথা জানিয়েছেন। তবে বর্তমানে দেশে সিটবেল্ট ছাড়া যেসব বাস আছে এগুলো নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সিটি করপোরেশনের কাছে কাউন্টার সা‌র্ভি‌স চালুর লি‌খিত আবেদন করেছে। ওই আবেদনে, কাউন্টারের জায়গা বা কাউন্টার বা‌নি‌য়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাস মালিকরা কাউন্টার কিনবেন। কিন্তু তারপরও সিটি করপোরেশন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে অর্ধশতাধিক ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। প্রায় সবগুলো ফুটওভারব্রিজের দু’পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের লাগানো বিশাল ব্যানারে নিরপদ সড়ক দিবসের নানা স্লোগান শোভা পাচ্ছে। কিন্তু খিঁলক্ষেত ফুটওভারব্রিজ থেকে নামতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে পথচারীরা। কারণ সেখানে যত্রতত্র পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

খাঁপাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ জামান জানান, ফুটওভারব্রিজের সিড়িগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। কিন্তু সেগুলো মেরামত করা হয়না। আর ফুটপাতে তো হাঁটার জায়গা নেই।

জানা গেছে, রাজধানীতে মোট ৭২টি ফুট ওভারব্রিজ আছে। যার বেশির ভাগই ব্যবহৃত হয় না বা দখল হয়ে গেছে। তবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাফিক সপ্তাহ ও ট্রাফিক সচেতনতা মাসে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার বেড়েছিল।

এদিকে, লে মেরিডিয়ানের সামনে রাস্তার মাঝের আইল্যান্ড টপকে রাস্তা পার হতে দেখা গেছে। পথচারীদের কথা চিন্তা করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সেখানে একটি ‍ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করছিল। কিন্তু হোটেলের সৌন্দর্যহানির অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

রাজধানীতে ৬ কোম্পানির অধীনে বাস পরিচালনা প্রকল্পের সাবেক কনসালট্যান্ট প্রকৌশলী ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘২৫টি বৈঠক করেও নতুন বাস নামানো সম্ভব হয়নি। মন্ত্রণালয়ে ও সিটি করপোরেশনে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।’

   

ঢাকায় বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বায়ুদূষণের সাথে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ।

রোববার (১৯ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৭০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ সময় বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩৫২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। এছাড়া ২৮১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। আর ১৬৭ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চীনের উহান শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসের স্কোর ১৫৯।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

;

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
বাবর আলী

বাবর আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

পেশায় চিকিৎসক, নেশায় পর্বতারোহণ। সেই নেশায় চট্টগ্রামের সন্তান বাবর আলীকে নিয়ে গেল এভারেস্টের চূড়ায়। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এভারেস্ট জয় করেছেন। 

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছেন ৩৩ বছরের এই তরুণ।

বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

বাবর আলীর প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে আপডেট তথ্য দেওয়া 'ভারটিক্যাল ড্রিমার্স' পেজেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, 'অবশেষে! পৃথিবীর শীর্ষ এভারেস্ট ছুঁয়েছি আমরা! ১১ বছর প্রতীক্ষার পর আজ তৃতীয় মেরুতে উড়েছে লাল-সবুজ! ঠিক শুনছেন। আমাদের স্বপ্ন সারথি বাবর আলী আজ (রোববার) সকাল স্থানীয় সময় ৮টা ৩০ (বাংলাদেশের সময় ৮টা ৪৫ মিনিটে) আকাশ ছুঁয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়ায় প্রকৃতি মাতা বাবরকে ক্ষণিকের জন্য স্থান দিয়েছেন নিজের চূড়ায়। খানিক আগে বেসক্যাম্প ম্যানেজার এবং আউটফিট মালিক আমাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।'

এখন বাবর আছেন ক্যাম্প-৪ এ নামার পথে। ওই ডেথ জোনে যোগাযোগ সম্ভব নয়। তাই এভারেস্ট ছোঁয়ার ছবি এখনো পাওয়া যায়নি।

অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান জানান, মাউন্ট এভারেস্টে অভিযান নিঃসন্দেহে দুরূহ একটা কাজ। আজ সেটি সম্পন্ন করে বাবর ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট উচ্চতার মাউন্ট লোৎসে আরোহণে যাত্রা করবেন। বাংলাদেশ থেকে আগে এভারেস্ট আরোহণ হলেও একই অভিযানে এভারেস্ট এবং লোৎসে আরোহণের চেষ্টা হয়নি পূর্বে। সেই চ্যালেঞ্জই নিয়েছেন গত বেশ কয়েক বছর ধরে নিজেকে হিমালয়ের নানান চূড়ায় অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা বাবর।

এই অভিযানে মোট খরচ হচ্ছে ৪৫ লাখ টাকা। যাতে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন ভিজ্যুয়াল নীটওয়্যার লিমিটেড। এছাড়া সহ-পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ঢাকা ডাইর্ভাস ক্লাব, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ব্লু জে, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনী, গিরি, ভারটিক্যাল ড্রিমার্স।

এছাড়াও অভিযানের জন্য গণ তহবিল সংগ্রহে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠন এবং অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী। অভিযানের সার্বিক সমন্বয় করেছে ডা. বাবর আলীর নিজের ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুডিশ্বচরে জন্ম নেওয়া এই তরুণ পেশায় একজন চিকিৎসক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সঙ্গে নানা স্বেচ্ছাসেবী কাজে যোগ দেন। করোনায় তার ভূমিকাও বেশ প্রশংসার ছিল। সব কিছুকে পিছনে রেখে পাহাড়-প্রেমী হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন এই তরুণ।

২০১৪ সালেই ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত নেপালে এক হিমালয় অভিযানে বাবর সামিট করেন এক পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত। সেই তার হিমালয়ে পথচলা শুরু। এরপর পর্বতারোহণের বিশুদ্ধতম ধরণ বলে পরিচিত আল্পাইন স্টাইলে ২০১৬ সালে ক্লাব থেকে সামিট হয় ভারতের মাউন্ট ইয়ানাম, যা ছিল বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার কোন ২০ হাজার ফুট উচ্চতার পর্বত সামিট এবং সেই দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

পর্বতারোহণকে ধ্যানজ্ঞান মেনে তিনি বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করেন ভারতের নেহেরু ইন্সটিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং থেকে। ২০১৪ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছর করেছেন এক বা একাধিক হিমালয় অভিযান। এছাড়াও নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে বাবর নিয়মিত দৌঁড়ান, করেছেন ক্রস কান্ট্রি সাইক্লিং, করেন কায়াকিং, পায়ে হেঁটে টানা ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন সিঙ্গেল ইজার প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে।

গত বছরের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে সাইকেলযাত্রা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী। এক মাসের চেষ্টায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারি গিয়ে থেমেছিলেন তিনি। পথে যেতে যেতে ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। এর আগে ২০১৯ সালে পরিবেশ রক্ষার ব্রত নিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা হেঁটে পার করেন তিনি। হেঁটে বাংলাদেশ ও সাইকেলে ভারতবর্ষ পাড়ি দেওয়া বাবর আলী এবার লিখলেন নতুন গল্প। এই গল্প শুধু নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নয়, দেশকে গর্বিত করারও। গল্পটা যে-এভারেস্ট-জয়!

;

ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল বাস্তবসম্মত নয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের চেষ্টা হলো মূলধারার বিদ্যালয় গুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা। যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা অটিজম বা যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের মধ্যে যাদের সাধারণ স্কুলে যাওয়ার নুন্যতম সক্ষমতা আছে, তাদেরকে সেখানেই দিয়ে দেওয়া। সেই স্কুলের শিক্ষকদেরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেন তারা একসাথে পড়াতে পারেন। এতে সাধারণ শিশুরাও সহমর্মী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর যাদের পক্ষে কোনভাবেই সাধারণ স্কুলে যাওয়া সম্ভব না, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ স্কুল শুধুমাত্র তাদের জন্য। সেজন্য শিক্ষক তৈরি করা বা কেয়ারগিভার তৈরি করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। কাজেই প্রতি ইউনিয়নে এরকম একটি করে স্কুল তৈরি করা খুব দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার হবে।

শনিবার(১৮ মে) বিকেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি কুড়িগ্রাম সদরের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দীপু মনি এব্যাপারে আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কিছু বিশেষ স্কুল আছে। আমরা হুজুকে জাতি। একটা কিছু করা শুরু হলে আমরা সবাই মিলে সেটা করা শুরু করি। সারাদেশে এমন অনেক স্কুল গজিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে যে সবগুলোই খুব ভালো বা শিশুদের জন্য বিশেষ স্কুল তা নয়। আমরা সেটারও একটা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যেগুলো প্রকৃত অর্থেই বিশেষ স্কুল সেগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা নিশ্চয়ই দেব। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে সাধারণ বিদ্যালয়ে যতদূর সম্ভব বিশেষ শিশুদেরকে আমরা যেন নিয়ে যেতে পারি।

সামনের অর্থবছরের জন্য আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা নাগরিকদের ভাতার অর্থ বৃদ্ধি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে না। ভাতার পরিমাণটা আসলে কোনও ভাতাভোগীর জন্য একমাত্র অবলম্বন নয়। অনেকগুলো কারণে ভাতা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তিনি (সুবিধাভোগী) যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। যেন ভাবেন, সরকার তার পাশে আছে।’ অবশ্যই দেশ ও সরকারের সক্ষমতা বাড়ার সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে ভাতাভোগীদের তালিকা প্রকাশ কিংবা তথ্যের সহজলভ্যতার বিষয়ে অধস্তন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেননি মন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জাদুঘরে রক্ষিত ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে রাত ৯ টার দিকে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন।

;

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;