বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে জলবায়ু প্রশ্নে সুবিচার চায় বাংলাদেশের তরুণরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে জলবায়ু প্রশ্নে সুবিচার চায় বাংলাদেশের তরুণরা

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে জলবায়ু প্রশ্নে সুবিচার চায় বাংলাদেশের তরুণরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সবার জন্য এবং সর্বত্র জলবায়ু প্রশ্নে সুবিচারের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের একদল তরুণ।

তারা বলছেন, আমরা সহানুভূতি, অনুকম্পা বা অনুদানের বদলে চাই ন্যায্যতা, সুবিচার এবং দায়িত্ববোধ। জলবায়ু কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা, অভিযোজন কিংবা সহনশীলতা আমাদের জন্য আপাত: অনেকটা কঠিন হলেও, তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। বাংলাদেশ তার সক্ষমতার চেয়ে বেশি করার চেষ্টা করছে। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, যে কোন দেশে বা সমাজে জলবায়ু সংকট, সবার অস্তিত্বকে সংকটাপন্ন করে। সবার অগ্রযাত্রা ব্যাহত করবে। জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তসরকার কমিটি বা আইপিসিসি'র প্রকাশিত মূল্যায়ন প্রতিবেদনের এক প্রতিক্রিয়ায় তরুণ জলবায়ু যোদ্ধারা এসব কথা বলেছেন।

ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) ‘সামারি ফর পলিসিমেকার্স’ শীর্ষক ৪২ পৃষ্ঠার রিপোর্টে সোমবার (৯ আগস্ট) এসব নিরপেক্ষ মূল্যায়ন হাজির করেছে। এতে বলা হয়েছে, মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে অপ্রত্যাশিত এবং অপরিবর্তনীয় উপায়ে। শিল্পযুগের আগে পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা যা ছিল, আগামী দু'হাজার তিরিশ সালের মধ্যে সেই তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য এর আগে যতটা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, এখন বলা হচ্ছে তার দশ বছর আগেই সেটা ঘটে যাবে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝুঁকিতে পড়বেন কোটি কোটি মানুষ। ২১০০ সালের মধ্যে ভেসে যাবে উপকূল। জাতিসংঘের এই গবেষণা রিপোর্টকে ল্যান্ডমার্ক বা মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

জলবায়ু আন্দোলন ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ এবং ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস যৌথভাবে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে। ইয়ুথনেটের সমন্বয়ক ও ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সোহানুর রহমান বলেন, আইপিসিসির প্রতিবেদন মানবজাতির জন্য এক ধরনের রেড এলার্ট। এই চরম সংকট মোকাবিলায় শিশু ও তরুণদের প্রতিক্রিয়া তুল ধরতেই এই খোলা চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান এখন একেবারে সুস্পষ্ট: আন্তরাষ্ট্রীয় জলবায়ু প্যানেলের (আইপিসিসি) ষষ্ঠ মূল্যায়ন মানবতার অস্তিত্বের কথা বলছে। ইউরোপ থেকে আমেরিকা, এশিয়া থেকে আফ্রিকা সর্বত্র জলবায়ু আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। দূষিত ও অ্যাসিডযুক্ত হয়ে উঠছে সাগর ও মহাসাগর। সংকটাবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে বাস্তুসংস্থান। মানুষের কর্মকাণ্ড দ্রুত প্রকৃতিকে ঠেলে দিচ্ছে খাদের দিকে। তাপপ্রবাহ, ভারী বৃষ্টিপাত, খরা বা সাইক্লোন তীব্রতর হচ্ছে, বাড়ছে প্লবণতা। মৌসুমি আবহাওয়ায় ও ঋতু পরিবর্তনে দেখা যাচ্ছে অনিয়ম, অনিশ্চয়তা। নতুন রোগজীবাণু ও পানি-পতঙ্গবাহিত ব্যাধি কৃষিকাজ থেকে শুরু করে জনস্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলছে। দৃশ্যমান হচ্ছে অপূরণীয় ক্ষতির আভাস।

কিছু সম্পদশালী মানুষ ও সমাজের নির্লিপ্ততা ও উদাসীনতায় দায়ী করে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা এখন নিশ্চিতপক্ষে সংকটাপন্ন। তারা ভুগছে বিনা দোষে, নিঃশব্দে। কোথাও কোথাও অভিযোজন করার সীমাও অতিক্রম করছে সহনশীলতা। অন্য দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ করছে, আর আমরা জীবন দিয়ে এর মূল্য পরিশোধ করছি। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের ক্রমবর্ধমান জলবায়ু অনিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তাই বিশ্ব গণমাধ্যম এবং বিশ্ব সমাজ-কে তাগিদ দিচ্ছে। সর্বোপরি, বাংলাদেশের মতো বিপদাপন্ন দেশগুলো অস্তিত্বগত হুমকির মুখোমুখি, নীরবেই: আমাদের উপকূল, দ্বীপ, চর, নদী-তীরবর্তী অঞ্চল, জলাভূমিতে মানুষের জীবন-জীবিকা ক্রমান্বয়ে ঝুঁকিপূর্ণ; মাটি ও পানিতে লবণাক্ততা এখন সহনীয় মাত্রার অনেক বাইরে।

এসব সবাই এখন জানি। বিশ্ব সমাজও অবগত। তবুও, আমাদের সবার যা’ করার কথা, তা’ হচ্ছে খুবই স্বল্প আকারে। বা এগুচ্ছে, খুব ধীর গতিতে।

পৃথিবীর প্রকৃতির পরিচর্যা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো আমাদের সবার সমন্বিত দায়িত্ব উল্লেখ করে বলা হয়, সম্পদ, সক্ষমতার দিক থেকে যেসব দেশ ও সমাজ সমৃদ্ধশালী, বাংলাদেশের মতো দেশে জলবায়ু পরিবর্তনগত পরিস্থিতি উপেক্ষা করে কারো ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে না।

বিশ্বের সব রাজনীতিক এবং গণমাধ্যমের দৃষ্টি এখন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৬)-এ ধাবিত। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে তরুণরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে ৫ দফা দাবি তুলে ধরে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে: ফসলের মাঠ থেকে কলকারখানা সর্বত্র কৃষক, শ্রমিক, মৎস্যজীবীদের দুর্দশার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। সবচেয়ে বিদাপন্ন আমাদের শিশু, নারী ও কিশোরীদের কথাও শুনুন। তাদের দুর্দশা, দুর্ভোগ উপলব্ধি করুন। কার্যকরী উদ্যোগ নিন, এখনই! অন্য আহ্বানের মধ্যে রয়েছে, যে বিলাসবহুল জীবনযাত্রা -অভ্যাস- জীবনধারা-অগ্রাধিকার-ভোগ-পছন্দগুলো প্রকৃতি এবং জলবায়ুকে বিপর্যস্ত, ক্ষতি, দূষিত ও ধ্বংস করে, তা’ পুনর্বিবেচনা বা বর্জন করুন; সব দেশে শিল্পকারখানা ও উদ্যোক্তারা সর্বত্র দায়িত্বশীল, সংবেদনশীল এবং প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে বলুন। আর্থিক মুনাফা অবশ্যই সবার সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেই হওয়া প্রয়োজন। সর্বত্র উদ্ভিদ এবং জীববৈচিত্র্যের সর্বোত্তম ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রাণ-প্রকৃতিকে অপার ধন হিসেবে সংরক্ষণ করেই টেকসই সমৃদ্ধি অর্জন করুন। দেশের মানুষের প্রয়োজন জীবনরক্ষাকারী প্রযুক্তি-জ্ঞান। সব ধরনের প্রযুক্তি, জ্ঞান, উদ্ভাবন প্রয়োগ ও বিকাশ নিশ্চিত করে আমাদের প্রকৃতি ও জলবায়ু সুরক্ষিত করতেও আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।

   

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;