তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং সাংবাদিক মিশুক মুনীরের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের এই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামের একটি জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব ও তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতিসংঘ জোকায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচানসভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এদিকে, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় তারেক মাসুদের গ্রামের বাড়ি নূরপুরে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশন। আজ সকাল ১০টায় নূরপুরে তারেক মাসুদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন ভক্ত ও অনুরাগীরা। পরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
ওই দুর্ঘটনায় আরও তিনজন নিহত হন। তারা হলেন- চালক মুস্তাফিজ, তারেক মাসুদের প্রোডাকশন ম্যানেজার ওয়াসিম ও কর্মী জামাল। তারেক মাসুদ, তার সহধর্মিণী ক্যাথরিন মাসুদ, আশফাক মিশুক মুনীরসহ ৯ সদস্যের একটি দল ‘কাগজের ফুল’ নামে একটি নতুন চলচ্চিত্রের লোকেশন দেখতে যান মানিকগঞ্জ। সেখান থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশের চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন ‘মাটির ময়না’র পরিচালক তারেক মাসুদ। ১৯৮৯ সালে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে ‘আদম সুরত’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১৯৯৫ সালে তারেক মাসুদের নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ ও ‘মুক্তির কথা’ (১৯৯৬) প্রশংসিত হয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।
শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আশফাক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিওগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। সবার কাছে মিশুক মুনীর নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন দেশে টেলিভিশন সাংবাদিকতার এই পথিকৃৎ। ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণকারী মিশুক মুনীরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করে সরকার।