সৌদি খেজুর চাষে স্বাবলম্বী চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুবেল

  • হাবিবা বিনতে আবদুল্লাহ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সৌদি খেজুর চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওবায়দুল ইসলাম রুবেল নামে এক যুবক। তিনি নাচোল উপজেলার ভেরেন্ডি এলাকার বাসিন্দা। সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুরের বাগান করে সফলতা পান তিনি। এখন তার বাগানে ধরে আছে হলুদ ও গাঢ় লাল রঙের অনেক খেজুর। স্বাদে ও দেখতে সৌদি খেজুরের মতো হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশি।

সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে রুবেলের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সুবাস ছড়াচ্ছে লাল ও হদুল রঙের খেজুরগুলো। থোকায় থোকায় দুলছে সুককারি, বারোহি, আম্বার, বারি, মিগটুল, নাখাল, খালাসসহ বিভিন্ন জাতের খেজুর।

বিজ্ঞাপন

কৃষি বিভাগ বলছে, জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের মতো তাই এ খেজুরের ফলন ভালো হচ্ছে।

হলুদ খেজুর

ওবায়দুল ইসলাম রুবেল জানান, ২০১৭ সালে সৌদি আরব থেকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বীজ এনে বাড়ির পাশে ১ একর জমিতে খেজুরের বাগান করি। বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করছি। আর এখন খেজুর বিক্রি করছি হদুলটা প্রতিকেজি ১০০০-১২০০ টাকা ও লালটা ২৫০০-৩০০০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

এ বছর প্রায় পাঁচ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছি। গাছে আরও অনেক খেজুর আছে। গত বছর প্রায় ১৬ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছিলাম। এখন দিন দিন গাছ বড় হবে ফল আসার পরিমাণও বাড়বে। গত বছর এ গাছগুলোতে খেজুর ধরেছিল গড়ে প্রায় ৭০ কেজি, এবার ধরেছে ১০০ কেজির উপরে। আমার বাগান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেজুর গাছের চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

নাসীম নামে খেজুর বাগানের এক কর্মী জানান, আমি বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এখন রুবেলের খেজুর বাগানের পরিচর্যা করি। মাসে আমাকে দশ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই দিয়েই চলে আমার সংসার।

পাকা খেজুর

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, নাচোলের খেজুর এখন সারা দেশে সরবরাহ হচ্ছে। আমরা এ বাগানগুলো পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করছি। যেহেতু জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের মতো। তাই আমাদের আশা এই অঞ্চলে খেজুর চাষ সম্ভব।

তিনি আরও জানান, আমের দাম কম হওয়ার জেলায় অনেক মানুষ খেজুর চাষে ঝুঁকছেন।