ঘাঘটের ভাঙনে ফসলী জমি-ঘরবাড়ি বিলীন, ঝুঁকিতে ৪০ পরিবার
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে ঘাঘট নদ। এ নদের অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি ও বসতবাড়ি। একই সঙ্গে ঝুঁকিতে রয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৪০ টি পরিবার।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা (খুনিয়পাড়া) এলাকায় দেখা যায়, ঘাঘট নদ ভাঙনের ভয়াবহ চিত্র। এসময় মছিরন বেওয়া নামের এক বৃদ্ধা রাক্ষুসী নদের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ঘাঘট নদের তীরবর্তি জামুডাঙ্গা (খুনিয়াপাড়া) এলাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০ একর আবাদী জমি ও শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। রাক্ষুসী এই নদের থাবায় অনেকে স্বর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।
এরই ধারাবাহিতায় নতুন করে আরও কয়েকটি ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি চলে গেছে নদের পেটে। সেই সঙ্গে ঘাঘটের তীরবর্তি প্রায় ৪০টি পরিবার ভাঙন ঝুকিতে রয়েছে।এছাড়া রাস্তা, কালভার্ট, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠও বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেকোন মুহূর্তে নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। এই স্থানের ভাঙন রোধে অতিদ্রুত নদের প্রবাহ পরিবর্তন না করা হলে, ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলো হারাতে পারে তাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি।
ভুক্তভোগি মছিরন বেওয়া বলেন, মাত্র দুই শতক জমিতে ঘরবাড়ি রয়েছে। এছাড়া অন্য কোথাও জায়গা জমি নেই। যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে, এতে করে হারাতে হবে ঘরবাড়ি ও সহায় সম্বল।
আরেক ভুক্তভোগি হারেজ আলী জানান, এখানকার ঘাঘটের ভাঙন ঠেকানোর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি।নদের প্রবাহ পরিবর্তন করা হলে জামুডাঙ্গা খনিয়াপাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার রেহাই পাবেন।
দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন ভাঙনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নদী খনন প্রকল্পের আওতায় ভাঙন রোধ করা দরকার। এটি নিরশনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন র্বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, এরইমধ্যে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।