মাতৃ ও শিশু মৃত্যু বেড়েছে

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনা মহামারিতে বেশি ভুগতে হচ্ছে গর্ভবতী মায়েদের। এই সময়ে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যু বেড়েছে। এই অবস্থা উত্তরণে ভবিষ্যৎ বাবাকেই ভূমিকা পালন করতে হবে। মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর ক্ষেত্রে অল্প বয়সে গর্ভধারণ, অপুষ্টি এবং সেবাকেন্দ্র থেকে সেবা না গ্রহণকেই দায়ী মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

'করোনাকালে মাতৃস্বাস্থ্য এবং বাবার দায়িত্ব' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এই মত প্রকাশ করেন। ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২১’ উপলক্ষে সোমবার ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) যৌথভাবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

বক্তাদের আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশে মাতৃস্বাস্থ্যের বিভিন্ন ঝুঁকি, মাতৃত্বকালীন সন্তানের বাবা ও পরিবারের দায়িত্ব, মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব এবং করোনাকালে প্রসূতিসেবার সংকট।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল। মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মুরাদ আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ বলেন, করোনা ও লকডাউনে নিম্নআয়ের পরিবারগুলোয় মাতৃস্বাস্থ্য সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তি যেমন বাবারা কর্মহীন হওয়ায় তারা সন্তানের মায়ের যথাযথ যত্ন নিতে পারছেন না। মাতৃস্বাস্থ্যের গুরুত্বের বিষয়টি এই সময়ে আরও বেশি করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। মা ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও বাবাকে ভাবতে হবে।

ডা. রেজাউল করিম কাজল বলেন, আমাদের দেশে প্রথমবার গর্ভধারণ করা অধিকাংশ মা-ই কিশোরী। মা হতে গিয়ে তাদের যে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হয়, তা পরিবারের অন্য সদস্যরা ভাবেন না। প্রসবকালীন ঠিক সময়ে হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়ায় দেশে মাতৃমৃত্যুর ৫৪ শতাংশ ঘটে বাড়িতে। করোনাকালে মায়েদের সেবাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা আরও বেড়েছে। পরিবার ও সন্তানের বাবার সহযোগিতা ছাড়া এই সংকট কাটিয়ে ওঠা কঠিন। মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের এখন এক সামাজিক যুদ্ধে নামতে হবে।

ডা. মুরাদ আহমেদ বলেন, অল্প বয়সে বিয়ে মাতৃমৃত্যুর হারকে বাড়িয়ে দেয়। ১৯ বছরের আগেই ৫৯ শতাংশ মেয়ে গর্ভধারণ করে। এক-তৃতীয়াংশ নারী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। প্রতি পাঁচজনে তিনজন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে মাত্র একজন এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে। ২৪ শতাংশ নারী একলামশিয়ায় মৃত্যু হয়।