জাতির পিতার দেয়া মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ অর্জন করেছে ২০২১ সালে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতির পিতার দেয়া মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ অর্জন করেছে ২০২১ সালে

জাতির পিতার দেয়া মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ অর্জন করেছে ২০২১ সালে

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সরকারের অর্জিত মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল। জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার দুই মেয়াদের সরকারের মাথাপিছু আয় বঙ্গবন্ধুর সরকারের মাথাপিছু আয়ের চেয়ে অনেক কম ছিল। ২০২১ সালের পূর্বে একমাত্র জাতির পিতার মাথাপিছু আয় দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ছিল। বঙ্গবন্ধু সরকারের ১৯৭৫ সালের ২৭৮ ডলারের মাথাপিছু আয়ের বেঞ্চমার্ক অতিক্রম করতে বাংলাদেশের লেগেছিল ৪৬ বছর। আর এই কাজটি করেছেন তাঁর ই কন্যা শেখ হাসিনা ২০২১ সালে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকারের মাথাপিছু আয় চীনের মাথাপিছু আয়ের চেয়ে ১০০ ডলার বেশী ছিল। বঙ্গবন্ধু সরকারের মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির হার ৫৩ দশমিক ৮০ শতাংশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ নয়, গোটা পৃথিবীর জন্য একটি রেকর্ড।  ২০২১ সালে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলারে উন্নীত করে বাংলাদেশকে আবার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

মাথাপিছু আয়ে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী অর্জন নিয়ে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটি।  তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটি কর্তৃক আয়োজিত  "মাথা পিছু আয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের যুগান্তকারী সাফল্যঃ গবেষণা ফলাফল প্রকাশনা" শীর্ষক ওয়েবিনারে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ নয় পৃষ্ঠার এক গবেষণাপত্রে এই গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রাহমানের সভাপতিত্বে গবেষণা ফলাফল প্রকাশনার সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামী, ইউএন ডিপি’র কান্ট্রি ইকোনোমিষ্ট  ড. নাজনীন আহমেদ।

গবেষণা পত্রে বলা হয়, জাতির পিতার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, অসীম সাহসিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরে আমাদের মাথা পিছু আয় প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিলো। ১৯৭২ সালে মাথা পিছু আয় ছিল মাত্র ৯৪ মার্কিন ডলার।  জাতির পিতা ১৯৭৫ সালে মাথা পিছু আয় ২৭৮ ডলারে উন্নীত করেছিলেন।  মাত্র সাড়ে তিন বছরে কোন দেশের মাথা পিছু আয় তিন গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার নজীর পৃথিবীতে বিরল। ১৯৭৩ সালে মাথা পিছু আয় বৃদ্ধির হার ছিল ২৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ । ১৯৭২ সালের ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ঋণাত্মক হার বিবেচনায় ১৯৭৩ সালে  প্রকৃতপক্ষে এই বৃদ্ধির হার ছিল ৫৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ১৯৭৪ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ৫২ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং ১৯৭৫ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ৫২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মাথাপিছু আয়ের এই বৃদ্ধির হার ৫৩ দশমিক ৮০ শতাংশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ নয়, পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকটি অর্থনীতিতে এমনটি ঘটেছিল । তবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের সাথে  ঐ দেশ গুলোর তুলনা প্রযোজ্য নয় এই জন্য যে, বাংলাদেশ ছাড়া বাকি সকল দেশেই “windfall gain” এর কারণে মাথাপিছু আয়ের এই উল্লম্ফন হয়েছিল। ঐ দেশগুলোতে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে সরকারের নিজস্ব সাফল্য কম ।

গবেষণাপত্রে দেখানো হয়, বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ছিল। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর সরকারের মাথাপিছু আয়ের এই বৃদ্ধির হার ৫৩ দশমিক ৮০ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ছিল। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর মাথাপিছু আয় চীনের মাথাপিছু আয়কে অতিক্রম করেছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের মাথাপিছু আয় চীনের চেয়ে ১০০ ডলার বেশী ছিল। বঙ্গবন্ধুর সরকারের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হারের রেকর্ড দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশ এখনও ভাঙ্গতে পারেনি। এমনকি চীনও বঙ্গবন্ধুর এই রেকর্ড ভাঙ্গতে পারেনি । গবেষণায় দেখানো হয়, ১৯৭৫ সালে যখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৭৮ ডলার, তখন ভারতের মাথাপিছু আয় ছিল ১৫৮ ডলার, পাকিস্তানের ১৬৮ ডলার, শ্রীলঙ্কার ২৭৬ ডলার, নেপালের ১১৭ ডলার, আফগানিস্তানের ১৮৭ ডলার । ১৯৭৫ সালে চীনের মাথাপিছু আয় ছিল ১৭৮ ডলার, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের চেয়ে ১০০ ডলার নীচে।

গবেষণা পত্রে দেখানো হয়, জাতির পিতার সরকারের ১৯৭৫ সালের ২৭৮ ডলার মাথাপিছু আয়ের বেঞ্চ মার্ক ২০২১ সালের পূর্বে বাংলাদেশের কোন সরকার অতিক্রম করতে পারেনি। এতে দেখানো হয়, জিয়ার সাড়ে পাঁচ বছরের শাসনামলের শেষ বছর ১৯৮১ সালে  মাথাপিছু আয় ছিল ২৪৮ ডলার। এটি জিয়া সরকারের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় ছিল। ডলারের মূল্যমান ও মূল্যস্ফীতি এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির হারের (৫৩.৮০%) দশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধি ধরলে এটি হওয়ার কথা ছিল ৫৬০ ডলার। বঙ্গবন্ধুর মাথাপিছু আয়ের বেঞ্চ মার্ক থেকে জিয়ার সরকারের মাথাপিছু আয় ৩১২ ডলার কম ছিল।

এরশাদের শেষ আর্থিক বছর ১৯৯০ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৩০৬ ডলার। এটি এরশাদ সরকারের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় ছিল। বঙ্গবন্ধুর ২৭৮ ডলারের বেঞ্চ মার্ক অনুযায়ী ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু থাকা উচিত ছিল ৬৭৫ ডলার। আর বঙ্গবন্ধু সরকারের মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির হারের (৫৩.৮০%) দশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধি ধরলে ১৯৯০ সালে এটি হওয়ার কথা ছিল ৮৮৩ ডলার। বঙ্গবন্ধুর মাথাপিছু আয়ের বেঞ্চ মার্ক থেকে এরশাদ সরকারের মাথাপিছু আয় ৫৭৭ ডলার কম ছিল।

খালেদা জিয়ার প্রথম মেয়াদ শেষে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৩২৯ ডলার। এটি তাঁর প্রথম মেয়াদের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় ছিল। ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর ২৭৮ ডলারের বেঞ্চ মার্ক অনুযায়ী ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় থাকা উচিত ছিল ৮০১.৮৬ ডলার। এর সাথে বঙ্গবন্ধু সরকারের মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির হারের (৫৩.৮০%) দশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধি ধরলে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় থাকা উচিত ছিল ১০৮০ ডলার। বঙ্গবন্ধুর মাথাপিছু আয়ের বেঞ্চ মার্ক থেকে খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারের মাথাপিছু আয় ৭৫১ ডলার কম ছিল।

খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫১০ ডলার। এটি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় ছিল। ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর ২৭৮ ডলারের বেঞ্চ মার্ক অনুযায়ী ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় থাকা উচিত ছিল ১০৫৪ ডলার। এর সাথে বঙ্গবন্ধু সরকারের মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির হারের (৫৩.৮০%) দশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধির হার ধরলে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় থাকা উচিত ছিল ১৪৮৫ ডলার। বঙ্গবন্ধুর মাথাপিছু আয়ের বেঞ্চ মার্ক থেকে খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় সরকারের মাথাপিছু আয় ৯৭৫ ডলার কম ছিল।

গবেষণায় দেখানো হয়, জিয়া ও এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার দুই মেয়াদে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারত ও পাকিস্তান থেকে কম ছিল। ২০২১ সালের পূর্বে একমাত্র জাতির পিতার মাথাপিছু আয় দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ছিল।

গবেষণায় দেখানো হয়, জাতির পিতার সরকারের ১৯৭৫ সালের ২৭৮ ডলারের বেঞ্চমার্ক ছুঁতে পেরেছিলেন তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনের মধ্যে। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৫ সালের ২৭৮ ডলার ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৩৯৫ ডলারে। এর সাথে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৫% ধরলে সেটি দাড়ায় ২০৩৪ ডলার। ২০২১ সালে রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলেরে উন্নীত করেছেন। ১৯৭৫ সালে মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে জাতির পিতা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিতে পরিণত করেছিলেন। ২০২১ সালে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আবার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

গবেষণায় দেখানো হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার একবারই ৯ শতাংশ অতিক্রম করেছিলো, সেটি ১৯৭৪ সালে জাতির পিতার সরকারের সময়। ঐ বছর প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৯%। জাতির পিতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ অতিক্রম করেছিলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে, সেটি ২০১৯ সালে। ঐ বছর জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮.১৫%।

গবেষণা পত্রের সূচনায় বলা হয়, জাতির পিতাকে নিয়ে যত বেশী গবেষণা করা হচ্ছে, তাঁর যুগান্তকারী কীর্তিসমূহ- যা বহুবছর রাষ্ট্রীয় অপপ্রচারের কারণে ধামাচাপা পরেছিল, সেগুলো নতুনভাবে আমাদের সামনে উঠে আসছে। যথাযথ ও মানসম্মত গবেষণার মাধ্যমে জাতির পিতার মহান কীর্তি সমূহ নতুন প্রজন্মের সামনে নিয়ে আসতে হবে। ইতিহাস এবং জাতির কাছে এটি আমাদের দায়বদ্ধতা। এতে বলা হয়, একটি রাষ্ট্র প্রকৃত অর্থে কতোটা উন্নতি লাভ করছে, তার মাপকাঠি হচ্ছে ঐ রাষ্ট্রের মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি। একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের জন্য জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধির হার অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, একটি দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছি। আসলে এই পদ্মা মেঘনা যমুনা পাড়ের এই অঞ্চলটি বা দ্বীপ অঞ্চলটি কোনদিনই একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র ছিল না। কোনদিনই স্বশাসিত ছিল না। এটি দীর্ঘদিন পাঠান, মোঘল, পরবর্তীতে ইংরেজরা প্রায় ২০০ বছর এবং শেষে, পাকিস্তানি, জমিদার, সামন্ত প্রভুরা, সামরিক, বেসামরিক আমলারা বাংলাদেশকে শাসন করেছে, শোষণ করেছে।

ফলশ্রুতিতে,  কৃষক, শ্রমিক যারা সকাল-সন্ধ্যা কঠোর পরিশ্রম করেছে, যাদের ঘামে, রক্তে সোনালী ফসল জন্মেছে, তারা চিরদিনই অর্ধাহারে, অনাহারে থেকেছে, কষ্ট করেছে এবং তারা সবসময় বঞ্চিত ছিল।

বঙ্গবন্ধু তাঁর কৈশর বয়স থেকেই এই মানুষগুলোর বঞ্চনা দেখেছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সারাটা জীবন জুড়েই ছিল কৃষি, কৃষকের কল্যাণ, মানুষের কল্যাণ।

দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, শিল্পকারখানা ধ্বংস হয়েছে, রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়েছে এরকম একটি পরিস্থিতি থেকে বঙ্গবন্ধু সরকারকে নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যখন শুরু করেন, তখন পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ছিল ৯০ ডলার এবং এই ৯০ ডলার থেকে বঙ্গবন্ধু এটাকে ২৩৮ ডলার করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের শেষে বাংলাদেশের সাইজ অব ইকোনমি ছিল, ৮ বিলিয়ন ডলার মাত্র। ২০০৬ সালে বিএনপির সময়ে আমাদের টোটাল জিডিপির সাইজ ছিল ৪ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। সেই আজকে বাংলাদেশের জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৩০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি এবং মাথাপিছু আয়, যেটা বঙ্গবন্ধু রেখে গিয়েছিলেন ২৩৮ ডলার, এটি এখন হয়েছে ২২৬০ বা ২২৩০ ডলার।

ড. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শণের প্রধাণ তিনটি দিক হলো, গভীর গণতান্ত্রিক মানবতা, মানুষের মর্যাদা, দেশকে চেনা ও গভীর দেশপ্রেম।

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধন নিয়ে বক্তব্য এসেছে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছিল সবচেয়ে বড় দল; তারপরেই কৃষক প্রজা পার্টি। যে সকল রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় সমর্থন করেছিল, মূলত সেই দেশপ্রেমিক দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে একটি নতুন দল, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করা হয়। রাজনেতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনের কাঠামো ভিত্তিক সমন্বয় করে, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজকে প্রশাসনে সম্পৃক্ত করে।  মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের স্হান ছিলনা।

বঙ্গবন্ধুর সরকার, আমদানি ও সরকারি ব্যায় মিটাবার প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলে যোগ দিয়েছিল। বাংলাদেশ রেয়াতি সুদে ঋণ এবং অনুদান পায়। স্বাধীনতার আগের ঋণের কিছু দায়, বাংলাদেশের উপর বর্তায়; দ্বিপক্ষিক ঋণের বড় অংশ অনুদানে রূপান্তরিত হয়। বৈদেশিক মূদ্রায় ঋণ পরিশোধের দায় লাঘব হয়। আমাদের সক্ষমতা ঘাটতি সম্পর্কে ধারনা সঠিক নয়। বিশ্বব্যাংক ভারতে কতিপয় ঋণ স্হগিত করে এবং ঐসব ঋণ ব্যবহার শতভাগ নিরীক্ষা (প্রত্যেক ভাউচার পরীক্ষা) করে। প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। ।

বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত শাসনকালে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়। দেশদ্রোহীদের হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর নেমে আসে অরাজকতা। দিক নির্দেশনাহীন প্রশাসন, দেশের কোন মঙ্গল করতে পারেনা। বঙ্গবন্ধু যে উন্নয়ন শুরু করেছিলেন, তা থমকে যায়। জনগনের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্ৰহনের পরে, উন্নয়নের ধারা ফিরে আসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে ধারা নতুন গতি পায়। বঙ্গবন্ধু উন্নয়নের যে ধারা সূচনা করেছিলেন, তাতে যদি বিরতি না পড়তো তাহলে বাংলাদেশ, নিঃসন্দেহে আরো উন্নত পর্যায়ে থাকত।

ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু কিভাবে অর্থনীতির ভিত্তিটা স্থাপন করলেন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি অর্থনীতি, যেটা একেবারেই বিধ্বস্ত ছিল, কৃষি বিধ্বস্ত ছিল, রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত ছিল,  পাকিস্তানিরা ফেলে যাওয়া শিল্প বন্ধ ছিল এবং বাংলাদেশি যে শিল্পগুলো ছিল, সেগুলোও চলছিল না। কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল না। এরকম একটি অবস্থা থেকে বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন, তারপর শুরু হলো অগ্রগতি।

   

বীর মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ, পৌর মেয়রের বিচারের দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রকাশ্যে অবমাননার ঘটনায় মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্তোরায় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজল ইসলাম, জাফর আহমেদ ভূঁইয়া ও মোকতার আহমেদ ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে রায়পুর থানা মসজিদ সংলগ্ন আমি ও আমার অংশীদার যৌথভাবে একটি ৯ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। শুরু থেকেই মেয়র রুবেল ভাট আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছে। কিন্তু আমি চাঁদা দেবো না বলছি। এরমধ্যেই পঞ্চম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ তলার কাজ চলমান রয়েছে। গত ৪ মার্চ মেয়র রুবেল ভাটের লোকজন এসে আমাদের ভবনের সামনে রাউন্ড দেওয়াল ভেঙে দেয়। আমি এসে কারণ জানতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইদিন আমি ওমরাহর জন্য রায়পুর থেকে চলে যায়। আমার অংশীদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মদ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরও পরদিনের একটি মারামারির ঘটনা সাজিয়ে মেয়র তার কার্যালয়ের কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপুকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ চাঁদা দাবির ঘটনায় আমি মেয়র রুবেলভাটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে ২১ এপ্রিল মামলা দায়ের করি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মেয়রের লোকজন আমার কুশপুত্তলিকা দাহ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারের অন্যতম স্লোগান। এরপরও মেয়র রুবেল ভাট একজন মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছে। যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের এমন অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আগে জানতাম না, পরে শুনেছি। আমি পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আমার পক্ষে লোকজন আসতেই পারে। কেউ যদি এসে মিছিল বা অন্য কিছু করে তাতো আমার বিষয় না। পক্ষে-বিপক্ষে লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। আগামি ৬ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এছাড়া পৌর কর্মচারী বিপুও একটি মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাই তদন্ত চলছে। মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাটি জানা নেই।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে শুনেছি। কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাটি জানা নেই। কেউ আমাকে বলেনি। এমন ধরণের ঘটনা অবশ্যই ঘৃণিত কান্ড। এ ঘটনায় তিনি মানহানি মামলা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগীতা করা হবে।

;

বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখ ও মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত নারীর নাম আনজু খাতুন (৩১)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগোয়া ইনিয়নের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

নিহত আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একটি বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ তাকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটনের চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম। সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা ২৪ কমকে জানান, সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার বুড়িমারী স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীসহ ২ জন পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারী যাওয়ার সময় উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাটগামী পাকা রাস্তায় পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আহতরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে ওলিউর রহমান অলু (৪০) ও আব্দুল খলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, পাটগ্রামে থেকে আসার পথে কল্লাটারী উচা ব্রিজে কয়েকজন লোককে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন মারা গেছেন আর দুজন মোটরসাইকেলসহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন।

;