বেড়েছে ছিনতাই, দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের!



মো আরমান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা, ডেঙ্গুসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনাও বেড়েছে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত এমনকি দিনে-দুপুরেও অহরহ ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। এসব ঘটনায় প্রতিদিন মানুষ মূল্যবান জিনিস যেমন খোয়াচ্ছে তেমনি আহত ও নিহত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। কম হলেও ঢাকা শহরে চিহ্নিত প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ছিনতাইয়ের স্পট আছে। যেখানে প্রতিনিয়ত তৎপরতা চালাচ্ছে ছিনতাইকারী চক্র।

ছিনতাই প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যত দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য।

সম্প্রতি রাজধানীর বসিলা ব্রিজ থেকে গাবতলী ব্রিজ পর্যন্ত নদীর পাড় ঘেঁষে মনোরম ওয়াকওয়ে তৈরি হয়েছে। এখানে প্রতিদিন ঘুরতে আসে নানা পেশার মানুষ। তাছাড়া এলাকার মানুষ যাতায়াতের জন্যে নদীপাড়ের হাঁটার রাস্তাটি ব্যবহার করে। সন্ধ্যার পরে এখানে হানা দেয় ছিনতাইকারীর দল। তাদের হাতে থাকে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র। প্রায় প্রতিদিন মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনতাই করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

গত ২৯ আগস্ট রাত ৯ টার সময় ছিনতাইকারীর হাতে আহত হন করিম নামে এক যুবক। যুবকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এলাকার কিছু লোক তাকে নদীতে নেমে উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে কিন্তু পুলিশ তেমনকোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। পুলিশ এসে কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করে ক্ষান্ত হয়।

শাহবাগ মোড় থেকে বাটা সিগন্যাল রিকশায় চড়ে রাতে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে সুমি নামে ঢাবির এক ছাত্রী। আচমকা বুঝে উঠার আগেই কেউ একজন  রানিং রিকশার মধ্যে তার হাত থেকে ছোঁ মেরে মোবাইল নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শাহবাগ থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত তার মোবাইল ফেরত পাননি।

খোকন নামে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা  এক তরুণ গত দুই দিন আগে অফিস থেকে বাসা যাওয়ার সময় হাতিরঝিল এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। একদল বখাটে ছেলে ধারালো অস্ত্রের মুখে তার স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয় এবং ঘটনার সময় ধস্তাধস্তির এক সময় অস্ত্রের আঘাতে তার হাত থেকে রক্ত বের হলেও আশপাশের কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন নি।

রাজধানীতে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান- তুরাগ হাউজিং এলাকা, শাহবাগ হয়ে বাটা সিগন্যাল ছাড়াও গুলিস্তান থেকে সদরঘাট বিশেষ করে জনসন রোড হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক, শহীদ মিনার,হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায়  নিয়মিত ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ছিনতাই মামলা হয়েছে ৭৮টি। ২০১৯ সালে ১১৯টি। আর ২০২০ সালে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৬টি। তবে ভুক্তভোগীদের মতে, ছিনতাইয়ের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। ঢাকার সিএমএম আদালতের জিআর খাতার তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ১০ বছরে শাহবাগ, রমনা, মতিঝিল, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, ডেমরাসহ ১৫টি থানা এলাকায় ছিনতাই হয় অপেক্ষাকৃত বেশি। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন খাতার তথ্যে দেখা গেছে, গত আট বছরে  ঢাকা মহানগর এলাকায় ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ৮৪৬টি। এ সময় ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয়েছেন মোট ৩৬ জন। ২০১৮ সালে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলা হয় ৭৮টি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ১১৯টি।

অপরদিকে ছিনতাই প্রতিরোধে  পুলিশ কি ভূমিকা পালন করছে এবং ভুক্তভোগীরা উপকার কতটুকু পাচ্ছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ  কমিশনার মো জসিম উদ্দিন মোল্লা  বার্তা২৪.কম কে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা যাতে তাৎক্ষণিক  প্রসাশনের সাহায্য নেয়,সে জন্য  পুলিশের   চেষ্টার কোন কমতি নেই। যাদের বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাইয়ের মামলা আছে,বিশেষ করে যারা এই ধরনের অপরাধ আগেও করছে তাদের প্রতি আমরা ইনফর্মারদের দ্বারা নজরে রাখি। প্রতিটি থানায় চিহ্নিত  ছিনতাইকারীদের ছবি সহ তাদের নামে ফাইল আছে। রাস্তায় আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেলেও অনেক ঘটনায় পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধার করেছে। তবে ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ ভুক্তভোগী মামলা না করায় পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের সহজে শনাক্ত করতে পারে না বলেও জানান তিনি।

চিহ্নিত জায়গা গুলোতে ছিনতাই রোধে র‍্যাব কি কাজ করছে? জানতে চাইলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ. ন. ম. ইমরান খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের স্বাধীন চলাফেরায় নিরাপত্তা দিতে র‍্যাব আগের চেয়ে অনেক জোড়ালোভাবে কাজ করে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নজরদারি আছে। নিয়মিত টহল দেওয়া হয় চিহ্নিত পয়েন্ট গুলোতে। ছিনতাই রোধে মাঝে মাঝে বিশেষ অভিযানও চালানো হয়।

ছিনতাইয়ের স্বীকার হওয়া ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তায় যেভাবেই যাতায়াত করুন না কেন যথেষ্ট সচেতন থাকার পরেও অনেক মানুষকে নিয়মিত এ ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিছু জায়গা আছে যেখানে ছিনতাইয়ের স্পট হিসেবে মানা হচ্ছে কিন্তু ঐ সব জায়গায় যথাযথ পুলিশী টহল বাড়ানো হচ্ছে না। অনেক জায়গায় এখনো সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয় নি। এছাড়া তাৎক্ষণিক সুফল পাওয়া যায় না বলে ভুক্তভোগীরা বেশির ভাগই আইনের আশ্রয় নেন না।

ভুক্তভোগীদের দাবি, পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারী জোরদার করতে চিহ্নিত স্পট গুলোতে এলাকাভিত্তিক সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হোক। এতে ছিনতাইকারী শনাক্ত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া সহজ হবে বলে মনে করেন তারা।

   

ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল বাস্তবসম্মত নয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের চেষ্টা হলো মূলধারার বিদ্যালয় গুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা। যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা অটিজম বা যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের মধ্যে যাদের সাধারণ স্কুলে যাওয়ার নুন্যতম সক্ষমতা আছে, তাদেরকে সেখানেই দিয়ে দেওয়া। সেই স্কুলের শিক্ষকদেরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেন তারা একসাথে পড়াতে পারেন। এতে সাধারণ শিশুরাও সহমর্মী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর যাদের পক্ষে কোনভাবেই সাধারণ স্কুলে যাওয়া সম্ভব না, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ স্কুল শুধুমাত্র তাদের জন্য। সেজন্য শিক্ষক তৈরি করা বা কেয়ারগিভার তৈরি করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। কাজেই প্রতি ইউনিয়নে এরকম একটি করে স্কুল তৈরি করা খুব দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার হবে।

শনিবার(১৮ মে) বিকেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি কুড়িগ্রাম সদরের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দীপু মনি এব্যাপারে আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কিছু বিশেষ স্কুল আছে। আমরা হুজুকে জাতি। একটা কিছু করা শুরু হলে আমরা সবাই মিলে সেটা করা শুরু করি। সারাদেশে এমন অনেক স্কুল গজিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে যে সবগুলোই খুব ভালো বা শিশুদের জন্য বিশেষ স্কুল তা নয়। আমরা সেটারও একটা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যেগুলো প্রকৃত অর্থেই বিশেষ স্কুল সেগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা নিশ্চয়ই দেব। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে সাধারণ বিদ্যালয়ে যতদূর সম্ভব বিশেষ শিশুদেরকে আমরা যেন নিয়ে যেতে পারি।

সামনের অর্থবছরের জন্য আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা নাগরিকদের ভাতার অর্থ বৃদ্ধি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে না। ভাতার পরিমাণটা আসলে কোনও ভাতাভোগীর জন্য একমাত্র অবলম্বন নয়। অনেকগুলো কারণে ভাতা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তিনি (সুবিধাভোগী) যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। যেন ভাবেন, সরকার তার পাশে আছে।’ অবশ্যই দেশ ও সরকারের সক্ষমতা বাড়ার সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে ভাতাভোগীদের তালিকা প্রকাশ কিংবা তথ্যের সহজলভ্যতার বিষয়ে অধস্তন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেননি মন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জাদুঘরে রক্ষিত ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে রাত ৯ টার দিকে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন।

;

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;