স্কুল গেটে অভিভাবকদের জটলা

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার একটি স্কুল গেটের সামনে অভিভাবকদের জটলা। ছবি: বার্তা২৪

ঢাকার একটি স্কুল গেটের সামনে অভিভাবকদের জটলা। ছবি: বার্তা২৪

একটি স্কুল গেটের সামনে দেখলাম বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকদের জটলা। দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় তাদের মধ্যে কী উচ্ছ্বাস! চা খাচ্ছেন, বাদাম খাচ্ছেন। পাশাপাশি-মুখোমুখি দাঁড়িয়ে-বসে সে কী আড্ডা! অথচ সবচে জরুরি জিনিস মাস্কটাই রেখেছেন তারা থুতনিতে-হাতে ঝুলিয়ে।

আক্ষেপ করে বলছিলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান। সারা দেশে রবিবার স্কুল খুললেও আজ সোমবার করোনা পরবর্তী তার মেয়ের প্রথম স্কুল। তিনি বলেন, গতকাল ও আজ অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার এই চিত্র দেখে আমি তো হতবাক। সকালে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসেছি। কিন্তু এ অবস্থায় আমি ভয় ও শঙ্কায় আছি।

বিজ্ঞাপন

দেড় বছরেরও বেশি সময় পর গতকাল রবিবার দেশের স্কুল-কলেজ খুলেছে। শ্রেণিকক্ষে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। কোনো স্কুলে ফুল দিয়ে, কেউ বা বেলুন ও রঙিন কাগজ দিয়ে সাজিয়েছে স্কুলের ফটক ও প্রাঙ্গণ। কোনো কোনো স্কুল তাদের ক্লাসরুমও সাজিয়েছে। ছোটদের স্কুলের দেয়ালে পড়েছে তুলির নতুন আঁচড়ও। তাদের বরণ করে নেওয়া হয় সাদরে। তবে স্কুলের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মানলেও বাইরের ফটকে বেড়েছে জটলা। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও। অধিদপ্তর মনে করছে, এভাবে জটলা থাকলে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে রবিবার অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম কভিড-১৯ নিয়ে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলেছেন, স্কুলের সামনে অভিভাবকদের জটলা করোনা সংক্রমণের বর্তমানের নিম্ন মুখিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অভিভাবকদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। সংক্রমণের এই নিম্নমুখিতায় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। একে অপরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যেন কোনো অবস্থাতেই সংক্রমণের আগের চেহারা ফিরে না আসে।

বিজ্ঞাপন

এই মুখপাত্র আরও বলেন, করোনা মহামারীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছে। পুরো বিশ্বের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও করোনাভাইরাস ভীষণভাবে আক্রমণ করেছিল। এখনো দেখা যাচ্ছে এ অঞ্চলের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পরিস্থিতি অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে একটু বেশি ঝুঁকির মাঝে আছে। এর পরেই রয়েছে ভারতের অবস্থান। এ দুই দেশে গত এক সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম, যদিও প্রতিটি প্রাণই অনেক মূল্যবান। সেই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যেকোনো দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে আমরা স্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছি।