পাটুরিয়ায় বিকল দুই ফেরি, পারের অপেক্ষায় তিন শতাধিক ট্রাক
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় মিলে মোট ২০টি ফেরি রয়েছে এই নৌরুটে। তবে বড় দুইটি ফেরি বিকল থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। পারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন অপেক্ষমান দীর্ঘ সারি থাকলেও ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির অপেক্ষমান কোন সারি নেই। ঘাট এলাকায় আসা মাত্রই নৌরুট পারাপারের সুযোগ পাচ্ছে এসব যানবাহন।
যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে বাস এবং ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হয়। একইভাবে অগ্রাধিকার পায় জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক চালকেরা। যে কারণে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালকদেরকে দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার পর নৌরুট পারাপার হতে হয়।
ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ২০টি ফেরি রয়েছে। এরমধ্যে বড় ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এবং ভাষা শহিদ বরকত যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ভাসমান মেরামত কারখানা মধুমতিতে রয়েছে। যে কারণে যানবাহন পারাপারে কিছুটা ভোগান্তি বাড়ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও বাসের বেশ চাপ রয়েছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব যানবাহন পারাপারের জন্য সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে সীমিতভাবে। যে কারণে অপেক্ষমান সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দীর্ঘ হচ্ছে।
যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ কিছুটা কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী আটকে থাকা সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে। এছাড়া বিকল ফেরি দুইটি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত সম্পন্ন করে যানবাহন পারাপার উপযোগী করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান জিল্লুর রহমান।