ময়মনসিংহে নারী পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত, আটক চার
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে প্রতিপক্ষের রামদার কুপে গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য সুমাইয়া খাতুন। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া খাতুন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- আজিজুল হক (৫২), সারোয়ার (২৭), আবুল কালাম (৩৫) ও মঞ্জু (২৯)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চর ভবানীপুরে ২৫ বছর ধরে জমিজমা নিয়ে আলী আকবর এবং আজিজুল হক এই দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। শনিবার বিকালে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা থাকলেও আজিজুল হকরা সালিসে না বসে উল্টো রাস্তায় গাছ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।
এনিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আজিজুল হকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী আকবরের পরিবারের ওপর হামলা করে। এসময় আলী আকবরের বোন পুলিশ সদস্য সুমাইয়া খাতুন তাঁর শিশু বাচ্চাকে নিয়ে বারান্দায় বসে থাকলে তাঁর মাথায়ও রামদা দিয়ে কুপ দেয়। এতে সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সুমাইয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত সুমাইয়া খাতুন বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সুমাইয়ার ভাই আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নারী পুলিশ সদস্য সুমাইয়া ছুটিতে এসে হামলার শিকার হয়েছে। তাঁর অবস্থা গুরুতর। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।